Maku book hate kalome question answer part 2

 




আগের পর্ব -১ দেখুন

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (শব্দসংখ্যা ৫০-১০০)

১. কালিয়ার বন কোথায়? সেখানে কীভাবে যেতে হয়?

উঃ- গলির পর বড়ো রাস্তা, তারপর গির্জে, তারপর গোরস্থান। গোরস্থানের পর শুনশুনির মাঠ। সেখান থেকে দেখা যায় ঘন নীল কালিয়ার বন। 

সেখানে গোরস্থানের পাশ দিয়ে হন হনিয়ে যেতে হয়।



২.ঘড়িওলার হ্যান্ডবিলে কী লেখা ছিল সংক্ষেপে লেখো।

উঃ-         মাত্র পঁচিশ পয়সায়!


 অদ্ভুত!                        অত‍্যাশ্চর্য !!


                মাকু দি গ্রেট !!!

         অভাবনীয় দৃশ্য দেখে যান।




৩. মাকুর চাবি কতদিনের জন্য ঘড়িওলা দিয়েছিল? তারপর কী হবার কথা?

উঃ-মাকুর চাবি এক বছরের জন্য ঘড়িওলা দিয়েছিল।

সাড়ে এগারো মাস কেটে গেছে ।আর ১৫ দিন বাকি ছিল ।ওর চাবি ফুরিয়ে গেলে যে নেতিয়ে পড়বে ।চোর ডাকাতে হয়তো ওর কলটা খুলে নিয়ে নেবে।



৪.হোটেলওলাকে কেমন দেখতে? সে সোনা-টিয়াকে কীভাবে সাহায্য করেছিল?

উঃ- হোটেল ওয়ালার মুখ ভরা  ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ঢাকা ছাই রঙের দাড়ি । দেখে মনে হয় যেন ধোপার বাড়ি থেকে ফিরছে।





৫.সং কেন সপ্তাহে তিনবার পোষ্টাপিশে যেত?

উঃ- সং লটারির টিকিট কিনেছিল ।যদি একবার সে জিতে যায় তো একসঙ্গে অনেক টাকা পেয়ে বড়লোক হয়ে যাবে। তাই সে পোস্ট অফিসে খবর আনতে যায়।





৬.সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা হোটেলওলা কীভাবে হারিয়েছিল?

উঃ-.সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা হোটেলওলা কানে গুঁজে দেখেছিল ।সেটি কোন এক সময় কান থেকে পড়ে গিয়ে হারিয়ে যায়।




৭.‘বাঘধরার বড়ো ফাঁদ'- কীরকম দেখতে?

উঃ- মাটিতে দু মানুষ গভীর গর্ত খুঁড়ে তার ওপরে খরকুটো লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখত। শস্য খেতে এসে তার মধ্যে শুয়োর পড়ে যেত।





৮.হোটেলওলা আসলে কে?

উঃ- ঘড়িওয়ালার দাদা হলেন হোটেল ওয়ালা গল্পে আসলে নোটোমাস্টার।




৯. মাকুকে কে দম দিয়ে আবার চালু করল? কীভাবে?

উঃ- টিয়া গোল একটা গোলাপি কাঠি দিয়ে মাকু কে ধোন দিয়ে হাওয়া চালু করেছিল যখন টিয়া চাবি দিয়ে দম দিচ্ছিল তখন চাবি আর ঘুরছিল না ভাবল সত্যি পুরো চাবিটা দেয়া হয়ে গেছে। তারপর ঘুড়িওয়ালা কিছু বলার আগেই পুট করে নাকে টিপ কলটা টিপে দিয়ে মাকুকে চালু করেছিল।





১০. সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল?

উঃ- টিয়া লটারি টিকিটে আধখানা বটতলায় কুড়িয়ে পেয়েছিল ।সেটা দিয়ে একটা গোলাপী কাঠির মত বানিয়ে পুটলিতে ভরে রেখেছিল ।যা দেখে সোনার মনে হয়েছিল মামনি্য সিঁদুরের কাঠি ।ওইটা আসলে সঙ্গে লটারি টিকিটে আটলানা ছিল।




নিজের ভাষায় উত্তর দাও (শব্দসংখ্যা ৭৫-২০০)



১. মাকু কে ? সে কেন ঘড়িওলাকে খুঁজছিল?

উঃ- মাকু গল্পে একজন যন্ত্র মানব আসলে তিনি হলেন সোনার টিয়ার পিসেমশাই একজন পুলিশ অফিসার। ঘড়িওয়ালা ছিলেন ফেরারী । তাই তাকে বনের মধ্যে  খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। সোনা দিয়া তাকে মাকু বলে মনে করেছিল।



২. নদীতে জানোয়ারদের চান করার যে দৃশ্য সোনা-টিয়া দেখেছিল তা নিজের ভাষায় লেখো।

উঃ-

সোনা-টিয়া দেখল গাছের নীচে টলটল করে বয়ে চলেছে এতটুকু একটা নদী। কী পরিষ্কার তার জল, তলাকার নুড়ি পাথর কেমন চকচক করছে দেখা যাচ্ছে, কী সুন্দর একটা ছলছল, ঝরঝর শব্দ কানে আসছে। নদীর ধারেই একটা বড়ো কালো পাথরে ঠেস দিয়ে সোনা-টিয়া বসে পড়ল।ছোট্ট নদী, তাতে একহাঁটু জলও নেই। সোনা-টিয়া পুঁটুলি নামিয়ে আশ মিটিয়ে হাতমুখ ধুলো,পা ডোবালো, আঁজলা আঁজলা জল তুলে খেল, ফ্রক ও ইজের ভিজে একাকার! তারপর খিদে পেয়ে গেল। পুঁটুলি খুলে ঠামুর ঘরের বড়ো পান খেল দুটো দুটো করে। কখন ঘুম পেয়ে গেছে খেয়াল নেই, কালো পাথরের আড়ালে পুঁটুলি মাথায় দিয়ে দুজনার সে কী অসাড়ে ঘুম!মটমট করে কাদের পায়ের চাপে কাঠকুটো ভাঙার শব্দে তবে ঘুম ভাঙল।চেয়ে দেখে নদীর ওপারে সরু নালামতো জায়গা বেয়ে জানোয়াররা জল খেতে আসছে।প্রথমে দুটো ঘোড়া, তাদের তাড়িয়ে আনছে টুপিপরা দুটো বাঁদর, তাদের পেছনে গলায় ঘণ্টা বাঁধাএকটা ছাগল, তার পেছনে পর পর পর দুটো মোটা মোটা ভাল্লুক, তার পেছনে গোটা ছয় কোঁকড়ালোম ছোটো কুকুর, সবার শেষে রঙচঙে লাঠি হাতে আধখানা লাল আধখানা নীল পোশাক পরা সত্যিকারএকটা সং।নিমেষের মধ্যে জায়গাটা টুংটুং, কিচিমিচি, ঘোঁৎ ঘোঁৎ, ঘেউ ঘেউ শব্দে একেবারে ভরপুর হয়ে উঠল। অবাক হয়ে সোনা-টিয়া উঠে দাঁড়িয়ে নদীর একেবারে কিনারায় এল। ঠিক সেই সময় চাপা

গলায় কে বলল, ‘স্-স্-এই, পুঁটুলি ফেলে গেলে  ধরে তারা সারি সারি মুখ নীচু করে অনেকক্ষণ জল খেল! কী সুন্দর একটা চকর-বকর গবর-গবর শব্দ হতে লাগল।




৩.‘হোটেল বলে হোটেল! সে এক এলাহি ব্যপার!’ -বনের মধ্যে এই হোটেল কে চালাত? তার কীর্তকলাপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উঃ- বনের মধ্যে হোটেল চালাতো ঘড়িওয়ালার দাদা অর্থাৎ নোটৈ মাস্টার।


এই হোটেল ওয়ালা মাঠের ভরা তাবু গ্যাস বাতি দাম না দিয়ে ফেরারি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । তার হোটেলের এলাহি ব্যাপারটা এরকম ,গাছ থেকে খানকতক বড়ো লন্ঠন ঝুলছে; গাছের গোড়ায় তিনটি পাথর বসিয়ে প্রকাণ্ড উনুন হয়েছে, তার গনগনে আগুনের ওপর মস্ত পেতলের হাঁড়িতে টগবগ করে কী যেন ফুটছে, চারদিক তার সুগন্ধ মো-মো করছে। মাথার ওপর ডালপালার ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো গলে আসে, শুকনো পাতা দিয়ে ঢাকা মাটিতে কোথাও ফুটফুট করছে, আবার কোথাও ঘন কালো ছোপ ছোপ ছায়া দেখা যাচ্ছে।হোটেলের ছিরি কত! বট গাছের নীচু নীচু ডালে রাজ্যের লোক সারি সারি পা ঝুলিয়ে বসে।এখান দিয়ে ওখান দিয়ে, মাঝখান দিয়ে রাশি রাশি ঝুরি নেমেছে, তাই মুখগুলো তাদের ভালো করে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু কাপড়-জামাগুলোকে কেমন যেন রং-বেরং অদ্ভুত মনে হচ্ছে। গাছের গুঁড়ির ওপর কাঁচা কাঠের তক্তা ফেলে খাওয়া-দাওয়া চলেছে। 



৪.সার্কাসের লোকেরা বনের মধ্যে কেন ছিল? 

হোটেলওলা সোনা-টিয়াকে কী ব্যাখ্যা দিয়েছিল?

উঃ- সার্কাসের লোকেরা বনের মধ্যে খেলা দেখি করতো আয় করতো। যে অর্থ দিয়ে তার বকেয়া দেনা শোধ করতে পারবে ।এই কথা সোনা টিয়াকে বলেছিল।




৫.ঘড়িওলা বনের মধ্যে লুকিয়ে বেড়াত কেন?

উঃ- ঘড়িওয়ালা ছিল ফেরারি । অনেক টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তাই তার পুলিশের হাতে ধরা পরার ভয় ছিল। তাই থেকে বনে লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়াতে হতো। অর্থাৎ বোনে লুকিয়ে লুকিয়ে তার দাদাকে গোঁফ জোড়া দিতে আসতো।



৬.বনের মধ্যে সোনা-টিয়া কী কী জন্তুজানোয়ার দেখেছিল নিজের ভাষায় লেখো।

উঃ- সোনাটিয়া বনের মধ্যে বাঁদর ,ভাল্লুক, ছাগল ,কুকুর খরগোশ প্রজাপতি ইত্যাদি রেখেছিল


৭.হোটেলওলার জন্মদিনের উৎসব কেমন হয়েছিল লেখো।

উঃ-




৮.কেমন করে বোঝা গেল যে হোটেলওলাই নোটো অধিকারী?

উঃ- সোনাটিয়ার পিসোমশাই ছিলেন একজন পুলিশ । তিনি হোটেল ওয়ালা নোটো

অধিকারী কে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। যখন বনের মধ্যে তাকে ধরে ফেললেন । তখন তার পরিচয় বোঝা গেল হোটেলওয়ালা ছিলেন নোটো অধিকারী।



৯. সোনা-টিয়া কীভাবে তাদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঘরে ফিরতে পারল?

উঃ- সোনা-টিয়া জিপ গাড়িতে উঠে ঠাম্মার গায়ে ঠেস দিয়ে হাই তুলে বললো ,প্যাঁ -প্যাদের আমাদের কোলে দাও। বাড়ি চলো ।ঘুম পেয়েছে। অর্থাৎ ঠাম্মার কোলে ঠেস দিয়ে জিপ গাড়ি করে বাড়ি ফিরেছিল।



১০. মাকু কীভাবে কাঁদতে পারল?

উঃ- মাকুর চাঁদি খুলে জ্যামের টিনে জল ঢালতেই মাকু, হাপুস নয়নে কান্না শুরু করলো।




১১. ‘মাকু’ পড়ে তোমার কেমন লাগল সেটা 

সংক্ষেপে লেখো। কোন চরিত্রকে সব থেকে

ভালো লাগলো সেকথাও লেখো।

উঃ- মাকু গল্পটি পড়ে আমার সবচেয়ে ভালো লাগলো সোনা টিওয়ার চরিত্র কারণ সোনাটিয়া একটি সহজ সরল শিশু শুলক চরিত্র যার মধ্যে দিয়ে গল্পে অন্য সকল চরিত্রগুলো বিশেষ রূপ পেয়েছি অন্য চরিত্রগুলিও সুন্দরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। গল্পটি হয়েছে সুন্দর গ্রহণযোগ্য আমার মত হয়তো সকল পাঠক কে আরো মুগ্ধ করতে পারে।





১২. ‘মাকু’ বইয়ের নাম কি ‘সোনা-টিয়ার অ্যাডভেঞ্চার’ হলে বেশি ভালো হতো? তোমার কী মনে হয়? এ বিষয়ে তোমার মতামত লেখো।

উত্তর- মাকু বইয়ের নাম সোনাটিয়ার অ্যাডভেঞ্চার বললেও ভুল হতো না। কারণ এই সমগ্র অংশটি সোনাটিয়া কে নিয়ে লেখা হয়েছে এবং তার নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নতুন পরিস্থিতির মধ্যে, নতুন কিছু আবিষ্কার করা। এ গল্পের মধ্যে রয়ে গেছে ।গল্পটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সোনাটিয়ার এক বনের নতুন অভিজ্ঞতার কাহিনী লেখা হয়েছে । তাই সোনাটিয়ার অ্যাডভেঞ্চার হলে নামটি হয়তো ভালো হতো।




Post a Comment (0)
Previous Post Next Post