পটলবাবু ফিল্মস্টার (Patalbabu Flimstar) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE

 পটলবাবু ফিল্মস্টার (Patalbabu Flimstar) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE


পটলবাবু ফিল্মস্টার প্রশ্ন উত্তর

 

. বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো :

 

. পটলবাবু অভিনয়ের সময়ে সংলাপ হিসেবে বলেছিলেন (ওঃ / উঃ / আঃ) শব্দটি

উত্তর – আঃ

 

. অভিনয়ের সময় পটলবাবুর হাতে ছিল (আনন্দবাজার পত্রিকা / যুগান্তর / স্টেটসম্যান)

উত্তর – যুগান্তর

 

. অভিনয়ের সময় পটলবাবুর নাকের নীচে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল (পো / চাড়া-দেওয়া / বাটারফ্লাই) গোঁফ

উত্তর – বাটারফ্লাই

 

. (বরেন দত্ত / বরেন মল্লিক /  বরেন চৌধুরি)- পরিচালিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন পটলবাবু

উত্তর - বরেন মল্লিক

 

. করালীবাবুর বাড়িতে (কীর্তন / শ্যামাসংগীত / কথকতা) হয় (শনিবার বিকেলে / রবিবার সকালে/ রবিবার বিকেলে)

উত্তর - শ্যামাসংগীত, রবিবার সকালে

 

. নীচের এলোমেলো ঘটনাগুলি গল্পের ঘটনাক্রম অনুযায়ী লেখো :

উত্তর –

 

(1) ২. পটলবাবু সবে বাজারের থলিটা কাঁধে ঝুলিয়েছেন এমন সময় বাইরে থেকে নিশিকান্তবাবু হাঁক দিলেন, 'পটল আছ নাকি হে?'

(2) ২. দুরুদুরু বুকে পটলবাবু এগিয়ে চললেন আপিসের গেটের দিকে

(3) ২. তা আপনি তো বেশ পাংচুয়াল দেখছি

(4) ২. ঠিক আধঘণ্টা পরেই পটলবাবুর ডাক পড়ল, এখন আর তাঁর মনে কোনো নিরুৎসাহের ভাব নেই

(5) ২. টাকার তাঁর অভাব ঠিকইকিন্তু আজকের এই যে আনন্দ, তার কাছে পাঁচটা টাকা আর কী?

(6) ২. সে কী, টাকা না নিয়েই চলে গেল নাকি লোকটা ?

 

. গল্প থেকে এই যে অংশটি নীচে উদ্ধৃত করা হয়েছে, শুটিং-এর সেই ব্যস্ত পরিস্থিতিটি তোমার নিজের ভাষায় নতুন করে লেখো

উত্তর –

 

গলিতে রিহার্সাল করতে করতে পটলবাবুর মনে একটা আইডিয়া এল, তিনি নির্দ্বিধায় সাহস করে বললেন, "তিনি ভাবছিলেন- আপনার হাতে একটা খবরের কাগজ আছে এবং পড়লে, অন্যদের দেখান এবং হতবাক হন।" -মানসিকতা..." তিনি শেষ করার আগেই ব্যারন মল্লিক উৎসাহের দুটি শব্দ উচ্চারণ করলেন, 'বেশ টু', এবং তারপর অনুনয় করে কাছের এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে যুগান্তর পত্রিকাটি নিয়ে পটলবাবুর হাতে দিলেন, এবং তারপর তাঁকে তাঁর কাছে যেতে বললেন। সঙ্গে সঙ্গে নায়ক চনাল কুমারও জিজ্ঞেস করলেন তিনি প্রস্তুত কিনা।

গাড়ির পাশ থেকে নায়ক 'ইয়েস স্যার' বললে বরেনবাবু প্রথমে খুশি হয়ে 'নিরবতা' চাইলেন, তারপর কিছুক্ষণ হাত তুলে নামিয়ে দিলেন। চরিত্রটি পুরো বৃত্তে আসছে বুঝতে না পেরে তিনি ব্যস্ততার সাথে কেশতকে ডাকলেন এবং ভদ্রলোকের নাকের নীচে গোঁফ রাখতে বললেন।

অর্ডার পেয়ে কেশত পরিচালকের কাছ থেকে জানতে পারেন যে তিনি 'ঘুপো, না চার-দেবা, নয় তিতলি'-এর মতো কোটি কোটি রেডিমেড গোঁফ চান। খুব ব্যস্ত পরিচালক ব্যারন মল্লিক 'প্রজাপতি' গোঁফের কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা দিতে বলেন।

 

. নীচের শব্দগুলির অনুরূপ শব্দ পাঠ্য অংশটিতে পাবে খুঁজে নিয়ে লেখো :

 

উৎসাহহীন, নিরালা, অপ্রত্যাশিত, নিরুপদ্রব, লাঞ্ছিত, সন্ধান, প্রশংসা, পথিক

উত্তর –

শব্দ

অনুরূপ শব্দ

উৎসাহহীন

নিরালা

অপ্রত্যাশিত

নিরুপদ্রব

লাঞ্ছিত

সন্ধান

প্রশংসা

পথিক

 

নিরুৎসাহ

নির্জন

অভাবনীয়

নির্বিবাদী

অপদস্থ

খোঁজ

তারিফ

পথচারী

 

 

. নীচের শব্দগুলিতে যে ইংরেজি শব্দগুলি আছে, তার বদলে বাংলা শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলি আবার নতুন করে লেখোঃ

 

. বুঝতে পারছেন, ব্যাপারটা কতটা ইম্পর্ট্যান্ট ?

উত্তর - বুঝতে পারছেন, ব্যাপারটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

 

. এই, দাদুকে ডায়ালগ লিখে দে

উত্তর - এই, দাদুকে সংলাপগুলোকে লিখে দে

 

. একজন অন্যমনস্ক, বদমেজাজি পেডেস্ট্রিয়ান..... ১৩২ পড়ার সাথি

উত্তর - একজন অন্যমনস্ক, বদমেজাজি পথচারী

 

. তাহলে একটু ওদিকে সরে গিয়ে ওয়েট করুন

উত্তর - তাহলে একটু ওদিকে সরে গিয়ে অপেক্ষা করুন

 

. আজ তো ট্যাগোরস বার্থ ডে

উত্তর - আজ তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন

 

. সাইলেন্স! রোদ বেরিয়েছে

উত্তর - চুপ! রোদ বেরিয়েছে

 

. থিয়েটার এর চেয়ে শতগুণে ভালো.......

উত্তর - রঙ্গমঞ্চ এর চেয়ে শতগুণে ভালো

 

. আপনি তো বেশ পাংচুয়াল দেখছি

উত্তর - আপনি তো বেশ সময়নিষ্ঠ দেখছি

 

. নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্যরচনা করো :

দোহারা, ব্যস্তসমস্ত, আমুদে, অন্যমনস্ক, দরকারি, গম্ভীর, নির্জন, আচ্ছন্ন

উত্তর -

 

বিশেষণ

উপযুক্ত বিশেষ্য

বাক্যরচনা

দোহারা

 

চেহারা

আমাদের মাস্টারমশাইয়ের ছিল দোহারা চেহারা

ব্যস্তসমস্ত

 

মানুষ

শিবশংকরবাবু সবসময়ই একজন ব্যস্তসমস্ত মানুষ

আমুদে

 

মানুষ

আমাদের পাড়ার সলিলবাবু একজন আমুদে মানুষ

অন্যমনস্ক

 

ছাত্র

শংকর একেবারেই অন্যমনস্ক ছাত্র নয়

দরকারি

 

জিনিস

সৌমেনবাবু দরকারি জিনিস কিনতে বাজারে গেছেন

গম্ভীর

 

চরিত্র

জয়ন্তবাবু একজন গম্ভীর চরিত্রের মানুষ

আচ্ছন্ন

 

বেলাভূমি

বকখালিতে গিয়ে আমরা নির্জন বেলাভূমিতে হাঁটলাম

নির্জন

 

রোগী

রোগীর আচ্ছন্ন অবস্থা কেটে গেছে

 

. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসিয়ে বাক্যরচনা করো :

প্রস্তাব, অভিনয়, ফরমাশ, ঔদ্ধত্য, পরিশ্রম, সাফল্য, উৎকণ্ঠা, আত্মতৃপ্তি

উত্তর -

 

বিশেষ্য

উপযুক্ত বিশেষণ

বাক্যরচনা

প্রস্তাব

 

লোভনীয়

 

রামবাবু লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে তাঁর জায়গাটি প্রোমোটারের হতে তুলে দিলেন

অভিনয়

 

প্রশংসনীয়

 

ছবি বিশ্বাসের অভিনয় সত্যই প্রশংসনীয়

ফরমাশ

 

লম্বা

 

গিন্নির ইয়া লম্বা ফরমাশ শুনে দ্বিজবাবু ঢোক গিলতে লাগলেন

ঔদ্ধত্য

 

মারাত্মক

 

দুর্যোধনের ছিল মারাত্মক ঔদ্ধত্য

পরিশ্রম

 

কঠোর

 

কঠোর পরিশ্রম না করলে কোনো কাজে সফলতা আসে না

সাফল্য

 

পরম

 

ছেলেটি মাধ্যমিকে আশাতীত সাফল্য লাভ করে খানিকটা কেঁদেই ফেলল

উৎকণ্ঠা

 

তীব্র

 

ছেলে ঘরে না-ফেরায় মা তীব্র উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছেন

আত্মতৃপ্তি

 

আশাতীত

 

সন্তানদের যথাযোগ্য মানুষ করে তুলতে পেরেছেন বলে কার্তিকবাবু পরম আত্মতৃপ্তি লাভ করেন

 

. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ আর পূরণবাচক শব্দগুলি খুঁজে বার করে লেখো  

 

.. নিশিকান্ত ঘোষ মশাই নেপাল ভট্ট্চাজ্যি লেনে পটলবাহাবুর তিনখানা বাড়ি পরেই থাকেন

উত্তরঃ তিনখানা - সংখ্যাবাচক

 

. বছর ত্রিশেক বয়স, লম্বা দোহারা চেহারা

উত্তর - বছর ত্রিশেক - অনির্দেশক সংখ্যাবাচক

 

. বাহান্ন বছর বয়সে ফিল্মে অভিনয় করার প্রস্তাব আসতে পারে এটা...অনুমান করা কঠিন বৈকি!

উত্তর - বাহান্ন (সংখ্যাবাচক শব্দ)

 

. পটলবাবুর ' বছরের সাধের চাকরিটি কর্পূরের মতো উবে গেল

উত্তর - বছরের (সংখ্যাবাচক শব্দ)

 

. তারপর এই দশটা বছর....কী-না করেছেন পটলবাবু

উত্তর : দশটা (সংখ্যাবাচক শব্দ)

 

. সেইটের সামনে ঠিক সাড়ে আটটায় পৌঁছে যাবেন

উত্তর : সাড়ে আটটা (ভগ্নাংশ সংখ্যা)

 

.  পটলবাবুদশ আনাবিরক্তির সঙ্গে তিন আনা বিস্ময় তিন আনাযন্ত্রণা মিশিয়েআঃশব্দটা উচ্চারণ

করে....চলতে আরম্ভ করলেন

উত্তর - দশ আনা, তিন আনা (অনির্দেশক সংখ্যাবাচক)

 

. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে বদলে লেখো

উত্তর –

 

বিশেষ্য

 

বিশেষণ

 

উৎকণ্ঠা

উৎকণ্ঠিত

প্রয়োগ

প্রযুক্ত

উচ্চারণ

উচ্চারিত

বিরক্তি

বিরক্ত

দম্ভ

দাম্ভিক

ঔদ্ধত্য

উদ্ধত

অনুভব

অনুভূত

পরিবেশন

পরিবেশিত

 

 

১০. নীচের শব্দগুলি দিয়ে নতুন বাক্যরচনা করো

উত্তর –

 

শব্দগুলি

বাক্যরচনা

টক করে

টক করে কলমটা আমার টেবিলে রেখে সে বলল নাও তোমার হারানো জিনিস

ধাঁ করে

আচমকা লোকটা ধাঁ করে এক ঘুষি মারল কন্ডাক্টরের মুখে

তিড়িং করে

মায়ের হাতের গরম খুন্তির ছ্যাঁকা খেয়ে বাবলি তিড়িং করে লাফিয়ে উঠল

হস্তদন্ত হয়ে

ভোম্বল হন্তদন্ত হয়ে এসে বলল, এক্ষুনি চলো দাদা

ঠাহর করে

জিনিসটা যে কী তা অন্ধকারে ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারলাম না

ঝিমঝিম করে

চলতে চলতে মাথাটা আমার হঠাৎ ঝিমঝিম করে উঠল

ফিসফিস করে

বাবলু ফিসফিস করে আমাকে বলল, কীরে সার্কাস দেখতে যাবি?

টুক করে

পাশের বাড়ির পেয়ারা গাছ থেকে টুক করে পেয়ারাটা ছেলেটির মাথায় পড়ল

 

১১. নীচের বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে বদলে লেখো :

 

বিশেষ্য

বিশেষণ

 

গভীর

 

গভীরতা

 

সংযত

 

সংযম

 

বিকৃত

 

বিকার

 

নির্বিবাদী

 

নির্বিবাদ

 

নির্জন

 

নির্জনতা

তীব্র

 

তীব্রতা

 

সার্থক

 

সার্থকতা

 

উচিত

 

ঔচিত্য

 

 

১২. নিম্নরেখাঙ্কিত অংশের কারক বিভক্তি নির্ণয় করো

 

১১. নরেশ ভিড় ঠেলে এসে বলল, ‘আপনি এই ছায়াটায় দাঁড়ান একটু

উত্তর - স্থানাধিকরণেয়বিভক্তি

 

১২. এবার পটলবাবু লোকটিকে

 দেখতে পেলেন

উত্তর : কর্মকারকেকেবিভক্তি

 

১২. নরেশ এক ভাঁড় চা নিয়ে পটলবাবুর দিকে এগিয়ে এল

উত্তর - নরেশকর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি এক ভাঁড় চাকর্মকারকে শূন্যবিভক্তি

 

১২. শশাঙ্ক তার হাতের খাতা থেকে একটা সাদা পাতা ছিঁড়ে কলম দিয়ে তাতে কী জানি লিখে কাগজটা পটলবাবুকে দিল

উত্তর - হাতের খাতা থেকেঅপাদান কারকেথেকেঅনুসর্গ সাদা পাতাকর্মকারকে শূন্যবিভক্তি

 

১৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

 

১৩. পটলবাবুর কাছে যেদিন ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, সেদিন ছুটির দিন ছিল কেন ?

উত্তর - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের জন্য সেদিন ছুটি ছিল

 

১৩. বাজারে গিয়ে কেন গৃহিণীর ফরমাশ গুলিয়ে গেল পটলবাবুর?

উত্তর - বাহান্ন বছর বয়সে ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন ভেবে আনন্দে গৃহিণীর ফরমাশ গুলিয়ে ফেললেন পটলবাবু

 

১৩. থিয়েটারে পটলবাবুর প্রথম পার্ট কী ছিল ?

উত্তর - থিয়েটারে পটলবাবুর প্রথম পার্ট ছিল মৃত সৈনিকের স্রেফ হাঁ করে চোখ বুজে হাত-পা ছড়িয়ে পড়ে থাকা

 

১৩. উনিশশো চৌত্রিশ সালে পটলবাবু কলকাতায় বসবাস করতে এলেন কেন?

উত্তর - কাঁচরাপাড়ায় রেলের চাকরির থেকে কলকাতায় হাডসন অ্যান্ড কিম্বার্লি কোম্পানিতে আর একটু বেশি মাইনেতে চাকরি করার জন্য

 

১৩. পাড়ায় থিয়েটারের দল গড়া আর হল না কেন পটলবাবুর?

উত্তর - তেতাল্লিশ সনে যুদ্ধের ফলে পটলবাবু তাঁর আপিস থেকে অনেকের সঙ্গে তিনিও ছাঁটাই হয়ে যাওয়ায় তাঁর আর থিয়েটারের দল গড়া হল না

 

১৩. পটলবাবু তাঁর সময়নিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য কোন্ উদাহরণ দিতে ভালোবাসতেন ?

উত্তর - পটলবাবু -বছর হাডসন-কিম্বার্লিতে চাকরি করে একটি দিনও লেট হননিএই উদাহরণ দিতে ভালোবাসতেন

 

১৩.পটলবাবুর লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল' – পটলবাবু এমন লজ্জা পেলেন কেন?

উত্তর - নরেশবাবু যে পটলবাবুর থিয়েটারে অভিনয়ের প্রশংসা আগেই জেনেছেন একথা শুনে পটলবাবুর লজ্জায়

মাথা হেঁট হয়ে গেল

 

১৩.গগন পাকড়াশি আজ তাঁকে দেখলে সত্যিই খুশি হতেন' — তিনি খুশি হতেন কেন?

উত্তর - পটলবাবু ফিমের ছোট্ট একটি পার্টে শুধুমাত্র 'আঃ শব্দটি বলে যে দারুণ অভিনয় করেছেন তা তাঁর নাট্যগুরু গগন পাকড়াশি দেখলে সত্যিই খুশি হতেন

 

১৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও

 

১৪.আমার টক করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল' — কার মনে পড়ে গেল পটলবাবুর কথা? পটলবাবুর কথাই বিশেষ করে তাঁর মনে পড়ল কেন ?

উত্তর - নিশিকান্তবাবুর মনে পড়ে গেল নিশিকান্তবাবুর শালা নরেশবাবু ফিল্মে কাজ করেন তিনি ফিল্মে লোক জোগাড় করে দেন তাঁদের নতুন একটি ছবিতে পটলবাবুর চেহারার মতো একজন লোক তাঁরা খুঁজছিলেন

 

১৪.গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ! সাধে কি তোমার কোনোদিন কিচ্ছু হয় না?' পটলবাবুর গৃহিণীর এই মন্তব্যের কারণ কী ?

উত্তর - পটলবাবু তাঁর বাহান্ন বছর বযসে ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন এই খবর পেয়ে আনন্দে লাফাতে লাগলেন তাঁর ভবিষ্যৎ যে এবার কত উজ্জ্বল হয়ে উঠবে তা কল্পনা করে তিনি ভীষণ উল্লসিত হয়ে উঠলেন তাঁর বহুপূর্বে থিয়েটারের অভিনয়ে তিনি যে কত বাহবা পেয়েছেন সেগুলি স্ত্রীকে শুনিয়ে আনন্দে একটা আচমকা লাফ দিলেন এই দৃশ্য দেখে তাঁর গৃহিণী উক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন

 

১৪. কার উপদেশের স্মৃতি পটলবাবুর অভিনেতা-সত্তাকে জাগিয়ে তুলল? কোন্অমূল্যউপদেশ তিনি দিয়েছিলেন?

উত্তর - পটলবাবুর নাট্যগুরু গগন পাকড়াশির উপদেশ পটলবাবুর অভিনেতা-সত্তাকে জাগিয়ে তুলল

নাট্যগুরু গগনবাবু উপদেশ দিয়েছিলেন, ‘একটা কথা মনে রেখো পটল যত ছোটো পার্টই তোমাকে দেওয়া হোক, তুমি জেনে রেখো তাতে কোনো অপমান নেই শিল্পী হিসেবে তোমার কৃতিত্ব হবে সেই ছোট্ট পাঁৰ্টটি থেকেও শেষ রসটুকু নিংড়ে বার করে তাকে সার্থক করে তোলা'

 

১৪.ধন্যি মশাই আপনার টাইমিং! বাপের নাম ভুলিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়ওঃ!' বক্তা কে? কোন্ ঘটনার ফলে তাঁর এমন মন্তব্য ?

উত্তর - বক্তা হলেন ওই ফিল্মে অভিনয়কারী নায়ক চঞলকুমার নায়ক চঞলকুমারের ভূমিকা ছিল, তিনি রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে ব্যস্ত পায়ে অফিস ঘরে ঢুকতে যাবেন, সেই মুহূর্তে অন্যমনস্ক বদমেজাজি পথচারীরূপী পটলবাবুর সঙ্গে ধাক্কা খাবেন পটলবাবু এই ভূমিকায় এমনই নিখুঁত সময় হিসাব করে হেঁটেছিলেন যে যথাসময়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কা লাগে

 

১৪.এতদিন অকেজো থেকেও তাঁর শিল্পীমন ভোঁতা হয়ে যায়নি’–এই অনুভব কীভাবে জাগল পটলবাবুর মনে ?

উত্তর - কিলমে যে ছোট্ট পার্টটুকু পরম নিষ্ঠার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তাতে ভীষণ খুশি হয়ে পরিচালক বরেন মল্লিক বলে উঠলেন, ‘বেড়ে হয়েছে! আপনি তো ভালো অভিনেতা মশাই!' এরপর ওই ফিল্মের এক কর্মী এগিয়ে এসে সহানুভূতির সঙ্গে পটলবাবুকে জিজ্ঞাস করলেন, ‘দাদুর চোট লাগেনি তো?' পটলবাবুর অভিনয়ের প্রশংসা করলেন খোদ নায়ক চঞলকুমার নরেশ দত্তও খুশি হয়ে একটু পরে পটলবাবুকে অভিনয়ের পারিশ্রমিক দিচ্ছেন শুনে পটলবাবুর শিল্পীমন জেগে উঠল

 

১৪. পটলবাবুর ফিল্মে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রোডাকশন ম্যানেজার নরেশ দত্তের অনেকগুলি ব্যস্ত মুহূর্ত টুকরো মুহূর্তগুলি জোড়া দিয়ে নরেশ দত্ত নামে মানুষটির সম্পূর্ণ ছবি নিজের ভাষায় তৈরি করো

উত্তর - নরেশ দত্ত ঠিক সাড়ে বারোটায় পটলবাবুর বাড়িতে এলেন। ব্যস্ত থাকায় পটলবাবু হাত ভাঙা একটা চেয়ারে বসতে বললেন। কিন্তু নরেশ বাবু সেখানে বসেননি এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন পাতাল বাবু তার প্রস্তাবিত ছবিতে অভিনয় করতে ইচ্ছুক কিনা। পটলবাবু রাজি হয়ে একটু লজ্জার ভান করলেন। নরেশবাবু একবার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ঠিক হয়ে যাবে। এরপর নরেশবাবু পটলবাবুকে বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন কখন কী পোশাক পরবেন।


পরের দিন, নরেশবাবুর কথা মতো, পটলবাবু ফ্যারাডে হাউসের বিপরীতে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এবং মিশন রো-তে হাজির হয়ে ছবির শুটিংয়ের ব্যবস্থা দেখেছিলেন, কিন্তু নরেশবাবুকে খুঁজে পাননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই নরেশ বাবু নিজেই পটলবাবুকে দেখে খামের কিনারা থেকে ডাকলেন, 'আমি দেখছি তুমি খুব সময়নিষ্ঠ।' তারপর সে


ছবির পরিচালক ব্যারন মল্লিককে পটলবাবুকে 'যাও এবং সেই ছায়ায় একটু অপেক্ষা করতে' বলার জন্য ডেকে ব্যাখ্যা করলেন যে তিনি (অর্থাৎ পটলবাবু, তাঁর পছন্দের অভিনেতা, যিনি আজ নায়কের সাথে সংঘর্ষের দৃশ্যে অভিনয় করবেন)। নরেশ বাবু তখন কলাকুশলীদের বললেন, পরিচালক ব্যারন বাবুর নির্দেশে, "চুপ কর!" যে কোন জায়গায় চুপচাপ দাড়িয়ে থাকো, এখন ছবি তোলা হবে।


কয়েক মিনিট পর নরেশবাবু এক কাপ চা নিয়ে এসে পটল বাবুর হাতে দিলেন। তারপর পটলবাবুর নির্দেশে নরেশবাবু 'শশাঙ্ক' নামে এক ছেলেকে ডেকে পটলবাবুর সংলাপ লিখতে বললেন। এরপর ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।


তারপর পটলবাবুর অভিনয়ের সময় এসে গেল। পটলবাবু দারুণ অভিনয় দিয়েছেন। অভিনয় শেষে নরেশবাবু ভিড়কে ঠেলে প্রফুল্লভাবে বললেন, 'তুমি ওই ছায়ায় একটু দাঁড়াও। আমি আর একটা গুলি করে তোমার কাজ করব।' অর্থাৎ সম্মান হল অভিনয়ের পারিশ্রমিকের দাম।

 

১৫. নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

 

১৫.আঃ’–এই একটিমাত্র শব্দের উচ্চারণ কৌশলে আর অভিনয়দক্ষতায়একটা আস্ত আভিধান' লিখে ফেলা যায়, শব্দটি নিয়ে ভাবতে এমনটাই মনে হয়েছিল অভিনেতা পটলবাবুর পটলবাবুর ভাবনাধারা কি ঠিক বলে মনে হয় তোমার? ‘আঃ’-শব্দের উচ্চারণে কত ধরনের ভাবপ্রকাশ সম্ভব বলে তোমার মনে হয় ?

উত্তর - পটলবাবুর ভাবনাধারা ঠিক বলে মনে হয় আমার চিমটে খেয়েআঃবলে যন্ত্রণার ভাব প্রকাশ করা যায় গরমকালে ঠান্ডা শরবত খেয়ে আরামেআঃবলা যায় কানে সুড়সুড়ি দিলে তৃপ্তিতেআঃবলা যায় তাচ্ছিল্যের ভাব করতেআঃবলা যায় অভিমানে আঃ বলা যায় চেঁচিয়ে আবার ব্যর্থতার হাহাকার বোঝাতেও আঃ বোঝানো যায়


১৫.সে কী, টাকা না নিয়েই চলে গেল নাকি লোকটা আচ্ছা ভোলা মন তো' তোমার কী মনে হয়, সফলভাবে কাজ করার পরেও কেন টাকা না-নিয়েই চলে গিয়েছিলেন পটলবাবু ? পটলবাবুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি কি যথার্থ বলে মনে হয় তোমার? নিজের যুক্তি দিয়ে লেখো

উত্তর - আমার মনে হয় পটলবাবুর অভিনয়ের মূল্য নেই। কারণ প্রশংসা আর পারিশ্রমিক এক জিনিস নয়। প্রশংসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ. তাই টাকা না নিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনাটিই তার প্রকৃত শৈল্পিকতার পরিচয় দেয়। একজন শিল্পী কখনই অর্থের জন্য তার শিল্পে লিপ্ত হতে পারে না। শিল্পীর সৃষ্টি অনেক নিষ্ঠা বা কঠোর পরিশ্রম বা ধ্যান দ্বারা অর্জিত হয়। পটলবাবু মনে মনে অনেক আলোচনা করেছেন শুধু আআহ শব্দটিকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য। তিনি এত সুন্দরভাবে অভিনয় করেছিলেন যে তিনি অনুভব করেছিলেন যে তার অংশটি বোঝাতে তাকে কী বলতে হবে।

 

১৫. অভিনয়ের নানা ধরনের প্রসঙ্গ এই গল্পে ছড়িয়ে আছে থিয়েটার আর সিনেমার অভিনয়ের ধরনে সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্যের কিছু কথা মনে এসেছিল পটলবাবুর পটলবাবুর মতামত নিজের ভাষায় লিখে, বিষয়ে তোমার কোনো মতামত থাকলে তাও জানাও

উত্তর - থিয়েটারের কাজটি পাঁচজনের যৌথ কাজ। সকলের ন্যায্য অভিনয়ের ফলে নাটকটির সাফল্য নিশ্চিত করা হয়। নাটকের প্রতিটি শব্দ একেকটি গাছের ফল। সেই ফল সবার কাছে নেই। অর্থাৎ, থিয়েটারে অভিনেতার কাজ হল ফল কেটে খোসা ছাড়িয়ে রস বের করে দর্শকদের পরিবেশন করা। একটি চলচ্চিত্রে একজন অভিনেতার মতো অভিনয় করা। তিনিই একমাত্র এমন প্রশংসা পান। চলচ্চিত্রে দলগত অভিনয়ের বিশেষ গুরুত্ব নেই। তদুপরি, যেহেতু দর্শক এবং অভিনেতার সাথে সিমেনার সরাসরি যোগাযোগ নেই, তাই তাকে নিজের অভিনয় করতে হবে। থিয়েটারে অভিনেতা এবং দর্শকদের মধ্যে মুখোমুখি যোগাযোগের কারণে, অভিনেতার একটি দৃঢ় দায়িত্ব বা তাগিদ রয়েছে যে তার অভিনয়কে প্রামাণিক দেখানোর জন্য।

 

১৫. বছর পঞ্চাশের বেঁটেখাটো টাকমাথা নাট্যপ্রিয় পটলবাবুকে তোমার কেমন লাগল নিজের ভাষায় লেখো

উত্তর - পটলবাবু পারিবারিক জীবনে একজন পোড়া মানুষ। এ ছাড়া যৌবনে তিনি অনেক দিন থিয়েটারে অভিনয় করেন। তার পারিবারিক জীবনের অভিজ্ঞতাও তার অভিনয় জীবনে অনেক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। নাটকীয় পটলবাবু সত্যিই একজন শিল্পী। তিনি তার নাট্য গুরুর পরামর্শে মনোযোগ দিয়েছিলেন এবং তিনি তা মেনে চলেছিলেন বলেই তিনি তার ছোট অংশটি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে অভিনয় করেছিলেন এবং সবাইকে জয় করেছিলেন। তদুপরি, তিনি পারফরম্যান্সের শেষে কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে নিঃশব্দে চলে যান, বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি যে নিখুঁত অভিনয় করেছিলেন তার জন্য কোনও আর্থিক মূল্য দেওয়া যাবে না। কারণ প্রত্যেক শিল্পীই মনে করেন তার অভিনয়ের মূল্য হচ্ছে তার শিল্পকে অর্থবহ করে মানুষকে খুশি করা এবং তিনি তার আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটিকে সার্থক করে তুলেছেন। আমি পটলবাবুর অভিনয় পছন্দ করতাম, কোনো টাকা না নিয়ে চলে যাওয়া আমার জন্য অবশ্যই প্রশংসনীয় ছিল।


<< Read More >>

 

Class 7 All Subject Solution >>

Click Here

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post