দিন ফুরোলে (Din Phurole) অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE
দিন ফুরোলে প্রশ্ন উত্তর
১. কবিতাটিতে 'চ্ছ' দিয়েকতগুলিশব্দআছেলেখো।প্রত্যেকটিশব্দব্যবহারকরেএকটিকরেআলাদাবাক্যলেখো।
উত্তর - কবিতাটিতে 'চ্ছ' দিয়ে শব্দআছে যথাক্রমে — ইচ্ছেয়, দুচ্ছাই, মুচ্ছো, গুচ্ছে, বাচ্ছা, আচ্ছা, কুচ্ছিৎ, ধুচ্ছি।
বাক্য গঠন করো :
ইচ্ছেয় | ছোটো শিশুটি নিজের ইচ্ছেয় খাতা কলম নিয়ে বসেছে। |
দুচ্ছাই | দুচ্ছাই! পড়াশোনা করে চাকরি পাব নাকি? |
মুচ্ছো | বুড়োটা কোটি টাকার লটারি পেয়েছে খবর শুনেই মুচ্ছো গেল। |
গুচ্ছে | সকালবেলার দুর্বা-গুচ্ছে শিশিরের চিকচিক রূপ ভালো লাগে। |
বাচ্ছা | এখনকার বাচ্চারা মারামারি করতেই শিখেছে। |
কুচ্ছিৎ | মেয়েটি মোটেই কুচ্ছিৎ নয়। |
আচ্ছা | আচ্ছা, তোমার মতলব কী বলো তো? |
ধুচ্ছি | আমি তখন পা ধুচ্ছি, মা বলল নুন কিনে আনে। |
২. নীচের ছকটিসম্পূর্ণকরো:
উত্তর - সূর্য > সুয্যি,
দুরছাই> দুচ্ছাই,
মূৰ্চ্ছা> মুচ্ছো,
অন্ধকার> আঁধার,
কুৎসিত> কুচ্ছি,
সন্ধ্যা> সন্ধে।
৩. ‘লক্ষ’-শব্দটিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি পৃথক বাক্য লেখো। ‘লক্ষ্য' শব্দটির সঙ্গে এই দুটি অর্থের পার্থক্য দেখিয়ে আরও একটি নতুন বাক্য লেখো।
উত্তর -
লক্ষ (দৃষ্টি) | বোর্ডের দিকে লক্ষ করো। |
লক্ষ (একশো হাজার) | সংখ্যায় লেখো এক লক্ষ। |
লক্ষ্য (উদ্দেশ্য) | পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার লক্ষ্যে রাম পড়াশোনায় মনোযোগী হল। |
৪. ‘এক গঙ্গা জল’—শব্দবন্ধটির মানে ‘গঙ্গায় যত জল ধরে সব' অর্থাৎ কিনা অনেকখানি জল। নীচের স্তম্ভটির ডানদিক ও বামদিক ঠিকভাবে মেলাতে পারলে আরও কিছু এরকম শব্দবন্ধ তৈরি করতে পারবে।
উত্তরঃ
এক মাথা এক ক্লাস এক আকাশ এক ঘর এক কাঁড়ি এত ঝুড়ি এক মুঠো এক মুখ এক হাঁড়ি এক কাহন | ধুলো ছাত্র তারা লোক টাকা আম চিনি হাসি পায়েস ধান |
৫. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসিয়ে বাক্যরচনা করো ঃ
সূয্যি, দৃশ্য, ৰাক্স, ৰাপ-মা, গর্ত, ঠ্যাং, গাদা, ঘর, ধান, জল।
উত্তর -
ঝলমলে | সুয্যি | একটানা মেঘলা আকাশের পরে, সূর্য উজ্জ্বলভাবে উঠল। |
অপূর্ব | দৃশ্য | অমাবস্যার রাতে আকাশের সুন্দর দৃশ্য দেখার মতো। |
রঙিন | বাক্স | রামকান্ত খেলা জিতেছে এবং আজ একটি রঙিন বাক্স পেয়েছে। |
বৃদ্ধ | বাপ-মা | প্রত্যেকের বৃদ্ধ বাবা-মা তাদের সন্তানদের দিনরাত মঙ্গল কামনা করেন। |
গভীৰ | গৰ্ত্ত | সামনে গভীর গর্ত, সাবধানে পদদলিত করুন। |
বাঁকা | ঠ্যাং | সাপ ব্যাঙের বাঁকা ঠ্যাংটা ধরে চলে গেল। |
উঁচু | গাদা | একজন হনুমান একটা লম্বা খড়ের স্তূপে বসে ছিলেন |
জীর্ণ | ঘর | ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি থেকে তাকে সরানো যায়নি। |
পাকা | ধান | ক্ষেতের পাকা ধানে সোনার রং লেগেছে। |
নোনা | জল | যেখানেই লোনা পানি থাকে সেখানেই মিষ্টি পানির মাছের উৎপত্তি হয়। |
৬. নীচের শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে বের করো :
উত্তর - বারি — জল। অরুণ — সূয্যি। অম্বর — আকাশ। পেটিকা — বাক্স। অজ্ঞান — মুচ্ছো। গোছা — গুচ্ছে। বিষাদ — মন খারাপ। কন্দর —গর্ত। পাঠ্যাং। বিশ্রী — কুচ্ছিৎ।
৭. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নাও ঃ
ভালো, মিথ্যা, বাইরে, বুড়ো, সুশ্রী।
উত্তর - ভালো — খারাপ। মিথ্যা — সত্যি। বাইরে — ঘরে। বুড়ো — বাচ্ছা। সুশ্রী —কুচ্ছিৎ।
৮. কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো :
৮.১ চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে—করণ কারকে ‘এ’বিভক্তি।
৮.২ বাপ-মায়েরাযাবেই তবে মুচ্ছো —কর্তৃকারকে ‘রা’বিভক্তি।
৮.৩ কেই বা খুলে দেখছে রঙেরবাক্স–সম্বন্ধপদে ষষ্ঠী বিভক্তি।
৮.৪ নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে—সম্বন্ধপদে ষষ্ঠী বিভক্তি।
৮.৫ এক গঙ্গা জলদিয়ে তাই ধুচ্ছি —কর্মকারকে শূন্যবিভক্তি।
৯. এককথায় উত্তর দাও :
৯.১ সূর্য্যি ডুবে যাওয়ায় কথকরা ‘দুচ্ছাই' বলছে কেন?
উত্তর - সূর্য্যি ডুবে গেলে খেলাধুলা ছেড়ে ঘরে ফিরে যেতে হবে, এজন্য কথকরা ‘দুচ্ছাই’ বলেছে।
৯.২ কে এক্ষুণি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন ?
উত্তর - এক ঈশ্বর এক্ষুণি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন।
৯.৩ কথকরা কেন সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না?
উত্তর - সন্ধে হলেই কথকদের ঘরে ফিরে হাত-পা ধুয়ে পড়তে বসতে হয়, তাই তাদের আর রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে লক্ষ রঙের দৃশ্য অর্থাৎ তারা ও নক্ষত্রদের রঙের দৃশ্য দেখা হয় না।
৯.৪ কথকরা কেন বলেছে, 'কেউ বা খুলে দেখছে রঙের বাক্স'?
উত্তর - আকাশে অসংখ্য তারা আমরা দেখে থাকি। এর সংখ্যা লক্ষ-কোটি হতে পারে বা তারও অনেক বেশি। এই তারারা কিন্তু প্রতিদিন একই স্থানে থাকে না।
৯.৫ বাপ মায়েরা কী হলে 'মুচ্ছো' যাবেন?
উত্তর - দিন ফুরোলে ছেলেমেয়েরা ঘরে না ফিরলে বাপমায়েরা মুচ্ছো যাবেন।
৯.৬ পাখিরা কোথা থেকে কোথায় উড়ে যায় ?
উত্তর - পাখিরা সকাল থেকে তাদের খাবারের খোঁজে দূর দেশে চলে যায়, দিন ফুরোলে তারা আবার তাদের বাসায় সারিবদ্ধ হয়ে ফিরে আসে।
৯.৭ কথকরা কেন বলেছে তাদের 'নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে' ফিরতে হবে ?
উত্তর - কথকরা জানে সন্ধেয় ঘরে ফিরে পড়তে বসতে হবে তাই তারা বলেছে 'নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে’ ফিরতে হবে।
৯.৮ বাবা কী বলবেন ?
উত্তর - বাবা বলবেন 'এইটুকু সব বাচ্ছা দিন ফুরোলেও মাঠ ছাড়ে না? আচ্ছা!'
৯.৯ মা-ই বা বাড়ি ফিরলে কী বলবেন?
উত্তর - মা বলবেন, 'ঠ্যাং দুটো কী কুচ্ছি!'
৯.১০ কথকরা কেন 'এক গঙ্গা জল দিয়ে' পা ধুচ্ছে?
উত্তর - 'এক গঙ্গা জল দিয়ে' কথার অর্থ অনেকখানি জল। কথকরা অর্থাৎ ছোটোরা পড়াশোনা বিশেষ ভালেবাসে না। যত দেরি করে পড়তে বসা যায় সেই সুযোগের খোঁজে তারা এক গঙ্গা জল দিয়ে পা ধুচ্ছে যাতে সময় কিছু নষ্ট করা যায়।
১০. ব্যাখ্যা করো :
১০.১ “সূয্যি নাকি.......... ডুব দিয়েছে?”
উত্তর - উপরের উদ্ধৃতিটি কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা 'দিন ফুরোলে' কবিতা থেকে নেওয়া। এখানে কবি মানে এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত প্রকৃতি একটি অলিখিত কিন্তু সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে কাজ করে। সেখানে প্রাকৃতিক নিয়মেই সূর্য অস্ত যেতে হত। শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে কবি জিজ্ঞাসা করলেন: "সূর্যও কি শিশুদের মতো নিজের ইচ্ছায় অস্ত যায় নি।" জাগতিক নিয়ম কানুন মেনে অস্তাচলে যেতে হয়েছে তাকে।
১০.২ “আকাশ জুড়ে...........লক্ষ রঙের দৃশ্য।”
উত্তর - উল্লেখিত লাইনটি কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা 'দিন ফুরোলে' থেকে নেওয়া হয়েছে। দিনের শেষে, যখন অন্ধকার নেমে আসে, তখন আকাশের হাজার তারার দিকে তাকিয়ে শিশুদের মজা করার উপায় থাকে না - কবির ঠিক এটাই বোঝায়। আমরা আকাশে যে তারা দেখি তার কোনো সীমা নেই। এই নক্ষত্রমণ্ডলী কে তৈরি করেছে তা কেউ জানে না। আমরা সবাই অনুমান করি যে ঈশ্বর নামক কোন শক্তি এই তারাগুলি তৈরি করেছে। বাচ্চাদের হৃদয় দিয়ে দেখার উপায় নেই - কারণ তারা তাদের বাবা-মায়ের নির্দেশে রাতের পর পড়তে বসতে বাধ্য হয়।
১০.৩ “লক্ষ, বা তা হতেও পারে...........রঙের বাক্স!”
উত্তর - উদ্ধৃত শব্দগুলো লিখেছেন কবি শঙ্খ ঘোষ তার বিখ্যাত কবিতা 'দিন ফুরোলে' থেকে। কবি মানে আজ পর্যন্ত আকাশে রাতের তারার সঠিক সংখ্যা কেউ বের করতে পারেনি। এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানে এত উন্নত বিজ্ঞানীরাও আকাশে তারার সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে পারেননি। অবাক লাগে কেউ যদি বলে আকাশে লাখ লাখ তারা আছে সেটাও সত্যি, কেউ যদি বলে লাখ লাখ তারা সেটাও সত্যি।
১০.৪ “আমরা কি আর...........যাবেই তবে মুচ্ছো।”
উত্তর - উপরের শ্লোকটি কবি শঙ্খ ঘোষের বিখ্যাত কবিতা 'দিন ফুরোলে' থেকে নেওয়া। ছোট বাচ্চারা স্বাধীনভাবে খেলতে ভালোবাসে। কিন্তু বাবা-মায়ের কঠোর অনুশাসনে রাতে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয় তারা। কিন্তু রাতের বেলায় মাঠে না থেকে খেলতে না পারলেও অন্তত মনে মনে অন্ধকার আকাশের তারা দেখতে পায়। আকাশের তারা দেখতে দেরি করলে মা-বাবা এমন রাগান্বিত হবেন যে ক্রোধে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।
১১. নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
১১.২ কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের কাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে ‘মন খারাপের গর্তে ফেরা বলে কেন মনে হয়েছে? খেলা থেকে সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার দুঃখ নিয়ে তোমার অনুভূতি লেখো।
উত্তর - কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের তুলনা করা হয়েছে পাখিদের সঙ্গে।
সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে আসাকে 'বিষণ্ণতার' বলা হয়েছে কারণ সন্ধ্যা হলেই হস্ত হাতের সামনের বৈঠকে বসতে হবে। খেলাধুলাকে শিশুরা সীমাহীন আনন্দ পায়। কিন্তু দিন পথ আর খেলাধুলা করা বাড়ি ফিরতে হয়। এই ফর্ম ফিরে কবিতা বলেন, 'বিষাদের গর্তে। অন্য বাড়ি চারল ঘেরা একটি ছোট আশ্রয়। সেখানে পরিবেশ পরিবেশের আনন্দ কেউ করতে পারে সন্ধ্যায় খেলা থেকে বাড়ি ফেরার পর 'দুঃখের গর্তে' পাওয়া যায়। আমার মনে হয় সন্ধ্যা না হওয়া ভালো। ফিরে ফিরে বসতে হবে। তবে সন্ধ্যা কয়েক পরে এলে বন্ধুদের সাথে খেলা ম আমি পড়াশুনা করতে পারব। তবে জীবনের আনন্দ সবচেয়ে বেশি খেলার মধ্যে। তাই দিন শেষ হলে খুব রাগ হয়? পরে কি অন্ধকার আসতে পারে না?
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>