Class 7 মাকু (Maku) অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর | WBBSE
মাকু
১. আম্মা কেছিলেন?
উত্তর - বাপির ছোটোবেলার ধাইমাহল আম্মা। বাপিতাকে আইমা বলে ডাকত। সোনা, টিয়া ছোটোবেলা থেকে আইমা নাবলতে পেরে আম্মা বলে।
২. সং কে? সেবনেরমধ্যেকীকরছিল?
উত্তর - রঙচঙে লাঠি হাতেআধখানা লাল আধখানা নীলপোশাক পরা মানুষ হলসং। সেবনের মধ্যে সরু নালামতোজায়গা বেয়ে জল খেতেযাচ্ছিল।
৩. ঘড়িওয়ালার দাদাকে?
উত্তর - কালিয়া বনের বটতলার হোটেলেরমালিক হল ঘড়িওয়ালার দাদা।
৪. সোনা, টিয়াযাকেপেয়াদাভেবেছিলসেআসলেকে?
উত্তর - সোনা, টিয়া যাকেপেয়াদা ভেবেছিল সে আসলে হোটেলেরমালিক ছিল।
৫. যে চাবিদিয়েটিয়ামাকুকেচালুকরেছিলসেটাআসলেকীছিল?
উত্তর - যে চাবি দিয়েটিয়া মাকুকে চালু করেছিলসেটা আসলে একটা কানখুশকিছিল।
৬. সোনা, টিয়াকেজাদুকরকীদিয়েছিল?
উত্তর - মালিকের জন্মদিনে জাদুকর শূন্য থেকেখপখপ করে গোলগাল দুটিসাদা খরগোশের বাচ্চা সোনা, টিয়াকে
উপহারহিসেবে দিল।
৭. পিসেমশাই কী চাকরি করতেন?
উত্তর - পিসেমশাই পুলিশে চাকরি করতেন।
৮. স্বর্গের সুরুয়াকেমনভাবেরান্নাকরাহত?
উত্তর - হোটেলওয়ালা সুরুয়া রান্নার সময় নিজের দাড়িগোঁফজোড়া খুলে টপ করেহাঁড়িতে ফেলে দিত তারপরসুরুয়ার সঙ্গে টগবগ করেফুটে স্বর্গের সুরুয়া রান্না করা হত।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (শব্দসংখ্যা ৫০-১০০)[পূর্ণমান– ৩]
১. কালিয়া বনকোথায়, সেখানেকীভাবেযেতেহয়?
উত্তর - বাড়ি থেকে প্রধান সড়কে গলি, তারপর গির্জা, তারপর কবরস্থান। কবরস্থানের পর দূর থেকে শুঁশুনির মাঠ দেখা যায়, সেখানে কালিয়ার ঘন নীল বন দেখা যায়। কালিয়া ফরেস্টের রাস্তা খুবই ফাঁকা।সরু গলি থেকে বেরিয়েযতদূর দেখা যায় এ-মাথা থেকে ও-মাথা কেউ কোথাওনেই। সেইপথে দুপুরের রোদে পায়ের কাছেনিজেদের ছায়াগুলোকে জড়ো করে এনেগাছপালা ঝিমঝিম করে।
2. ঘড়িওয়ালারহ্যান্ডবিলেকীলেখাছিলসংক্ষেপেলেখো।
উত্তর - মাকুকে খুঁজে বেরকরার জন্য ঘড়িওয়ালা বিজ্ঞাপনহিসেবে হ্যান্ডবিল লিখে প্রচার করেছিল। সেইহ্যান্ডবিলে লেখা ছিল—
অদ্ভুত
মাত্রপঁচিশ পয়সায় !
মাক দি গ্রেট!!!
অভাবনীয়দৃশ্য দেখে যান !
অত্যাশ্চর্য!!
৩. মাকুর চাবিকতদিনেরজন্যঘড়িওয়ালাদিয়েছিল? তারপরকীহওয়ারকথা?
উত্তর - মাকুর চাবি একবছরেরজন্য ঘড়িওয়ালা দিয়েছিল। তারসাড়ে এগারো মাস কেটেগেছে আর পনেরো দিনবাকি আছে। চাবিশেষ হয়ে গেলে মাকুনেতিয়ে পড়বে। তখনচোর-ডাকাত এসে ওরকলকব্জা খুলে নিলে মাকুরসব শেষ।
৪. হোটেলওয়ালাকে কেমনদেখতে? সেসোনা, টিয়াকেকীভাবেসাহায্যকরেছিল?
উত্তর - হোটেলওয়ালার রক্ষকের মুখ ঝুলে পড়া কাঁশতে পূর্ণ এবং মুখ দিয়ে ঢাকা ধূসর দাড়ি, দেখে মনে হচ্ছে সে এইমাত্র ধোপাদের বাড়ি থেকে ফিরে এসেছে। হোটেল মালিক ট্রিহাউসে সোনা, চা এবং হস্তনির্মিত স্বর্ভা সুরুয়া এবং শালপাতা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। হোটেল মালিক তাদের বললেন গাছের কাছে একটা ছোট শাওয়ারে গোসল করতে, কাপড়-চোপড় ধুতে, থালা-বাসন ধুতে, দিনের পর দিন ব্যবসা জমে যাবে।
৫. সং কেনসপ্তাহেতিনবারপোস্টঅফিসেযেত?
উত্তর - প্রতি সপ্তাহে সংলটারির টিকিট কাটে।সে জানে কোনোমতে একবারলটারির টিকিট মিলে গেলেঅনেক টাকা একসঙ্গে পেয়েসে বড়োলোক হয়ে যাবে।সেইজন্য টিকিট মিলল কিনাএই খবরটা আনতে প্রতিসপ্তাহে তিনবার গ্রামের পোস্টঅফিসেসং যায়।
৬. সং-এরলটারিরটিকিটেরআধখানাহোটেলওয়ালাকীভাবেহারিয়েছিল?
উত্তর - সং লটারির টিকিটেরআধখানা হোটলওয়ালাকে রাখতে দিয়েছিল।হোটেলওয়ালা টিকিকের আধখানা অংশ কানেগুঁজে রেখেছিল, কোথায় পড়ে গেছে। এখনখুঁজে পাচ্ছে না।
৭. বাঘ ধরারফাঁদকীরকমদেখতে?
উত্তর - জঙ্গলে যখন জনবসতি ছিল তখন গ্রামবাসীরা বাঘ ধরার জন্য এই প্রাচীন ফাঁদটি তৈরি করেছিল। যদি দু'জন লোক মাটিতে গর্ত খুঁড়ে লাঠি, লতা-পাতা দিয়ে ঢেকে দেয়, তবে একবার পশুটিকে তাতে নিক্ষেপ করলে তার আর উঠার উপায় থাকে না।
৮. হোটেলওয়ালা আসলেকে?
উত্তর - হোটেলওয়ালা আসলে সার্কাস দলেরনিখোঁজ হয়ে যাওয়া নোটোমাস্টার।
৯. মাকুকে কেদমদিয়েআবারচালুকরল? কীভাবে?
উত্তর - টিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাকুর দিকে ফিরল। মাকুর পরনে ছিল টাইট কোর্ট শার্ট। প্রহরী সাবধানে তার ঘাড়ের বোতাম খুলে তার জামাকাপড় খুলে দিল। আর মাকড়সার ঘাড় উন্মোচন করার পর টিয়া তার মায়ের রুপার কাঠিটা ঘাড়ের নিচের ছোট্ট গোল গোলাপী গর্তে ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে পেঁচিয়ে দম বন্ধ করে দিল।
১০. সং-এরলটারিরটিকিটেরআধখানাকীভাবেখুঁজেপাওয়াগেল?
উত্তর - সম্বাবুর লটারির টিকিট পাওয়া গেছে, পোস্ট অফিসে দেখালে ৫০ হাজার টাকা পাবেন। এই সুসংবাদ শোনার পরপরই গান অজ্ঞান হয়ে গেল। এবং মালিক কাঁদলেন, কারণ তিনি টিকিটের অর্ধেক মিস করেছিলেন। সোনা, টিয়াকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা পায়নি। এখন সোনা গানের রেখে যাওয়া অর্ধ-গোলাপী নোটটি ভয় পেয়ে গেল। সোনা টিয়ার পুতুলটা নিয়ে গোলাপি চাবিটা বের করে বাইরের গোলাপি খাপটা খুলে মায়ের সিঁদুরের রুপোর স্টাফটা খুলে দিল। এবারের টিকিটের বাকি ছিল গোলাপি মোড়ক। গানে তা দিয়েছিলেন সোনা।
নিজের ভাষায় উত্তর দাও : (শব্দসংখ্যা ৭৫-২00) [পূর্ণমান-৫]
১. মাকু কে? সেকেনঘড়িওয়ালাকেখুঁজছিল?
উত্তর - মাকু হল একটি পিউটার ঘড়ি সহ একটি স্টাফড পুতুল। মাকু কথা বলে, গান গায়, নাচ, ফিগার, হাতুড়ি, রশি খুলে দেয়, হাতুড়ির পেরেক, লোহা, রাঁধুনি, জামাকাপড় ঘোরায়, সেলাই মেশিন চালায়। মাকু একটু হাসতে পারে, কিন্তু কাঁদতে পারে না।
মাকু খুজছে খুজছে। প্রহরীকে দেখার সাথে সাথে সে একটি হাসির ডাক, একটি কান্নার ডাক ইনস্টল করতে আগ্রহী হবে। তাহলে সে মহাপুরুষ হবে, রাজার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে।
সার্কাসের জাদুকর যখন জাদুকরী রাজকন্যাকে তার বাঁশি বাজিয়ে দেখায়, মাকু জোর দিয়ে বলে যে সে রাজকন্যাকে বিয়ে করবে। মাকু কালের তৈরি একটি খেলনা, কাতুকুতু দিলে হাসে না, দুঃখ পেলে কাঁদে না - সে ভেল্কির রাজকুমারী পরিদ রানীকে বিয়ে করতে চায়। মাকু বানাতে ঘড়ির কারিগরের সব বুদ্ধি ফুরিয়ে যায়। এখন যেহেতু মাকু উন্মত্ততায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যখনই সে প্রহরীকে দেখে তার শরীরে থাপ দেয়। কিন্তু এখন হাসি ডাকার ঘড়ি নয়।
২. নদীতে জানোয়ারদেরখানকরারযেদৃশ্যসোনা, টিয়াদেখেছিলতানিজেরভাষায়লেখো।
উত্তর - সোনা, টিয়া যত গভীর বনে গেল, জঙ্গল তত ঘন হয়েছে। একবার তারা গাছের নিচে হোঁচট খেয়ে প্রবাহিত জল দেখতে পেল। নদীটি এত সরু, তার জল পরিষ্কার, মাটির পাথরগুলি জ্বলজ্বল করে। সুন্দর, মসৃণ, টলটলে জলের শব্দ তার কানে পৌঁছে গেল। তারা তাকিয়ে দেখল পশুরা নদীর উপরে একটি সরু নালা দিয়ে পান করতে আসছে। প্রথমে দুটি ঘোড়া, যার নেতৃত্বে টুপি পরা দুটি বানর, তাদের পিছনে একটি ছাগল যার গলায় ঘন্টা ছিল, তার পিছনে এক সারি মোটা ভাল্লুক, তার পিছনে কোঁকড়া চুলের ছয়টি ছোট কুকুর এবং সবশেষে একটি রাজকীয় পোষাক অর্ধেক লাল এবং অর্ধেক পোশাক। নীল, রঙিন লাঠি ধরে।
৩. 'হোটেল বলেহোটেল' সেএকএলাহিব্যাপার!–বনেরমধ্যেএইহোটেলকেচালাত? তারকীর্তিকলাপেরসংক্ষিপ্তবিবরণদাও।
উত্তর - বনের এই হোটেলটি হোটেলের মালিক, অর্থাৎ প্রহরীর দাদা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। বাকি চারজনের একটি হোটেল ছিল বটতলায়, কালিয়া বনে। এই হোটেলের একজন মালিক ছিলেন। হোটেলটি কিছুটা জঙ্গল জুড়ে। গাছের গোড়ায় তিনটি শিলা রাখুন এবং একটি বড় আগুন তৈরি করুন। তোমার গাঙে আগুন সারাদিন ফুটছে, তোমার সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে বহুদূরে। হোটেলওয়ালারা সব সময় সেখানে রান্নায় ব্যস্ত থাকেন। যে একবার তার হাতে স্বর্গ থেকে রুটি-রুটি খেয়েছে সে কখনো ভুলবে না।
হোটেলের লোকটা সত্যিই চমৎকার। সোনা, টিয়ার কাছে টাকা নেই জানতে পেরে খুব আদর করে খাওয়ায়। হোটেল মালিক একাই হোটেল পরিচালনা করেন। ডার্লিং, টিয়াকে পেয়ে সে খুব খুশি। বিনামূল্যে খাবার ও পানীয়ের বিনিময়ে তাদের থালা-বাসন পরিষ্কার করার দিন দিন।
কখনও কখনও হোটেল মালিকরা বাঁশের বাড়িতে খরগোশের ফাঁদ তৈরির জন্য খরগোশ ধরে। সেই খরগোশের কালিয়া রাঁধে, তার স্বাদ অদ্ভুত। কালো, কুৎসিত, দুষ্টু খরগোশ কালিয়া দারুণ স্বাদের।
৪. সার্কাসের লোকেরাবনেরমধ্যেকেনছিল? হোটেলওয়ালাসোনা, টিয়াকেকীব্যাখ্যাদিয়েছিল?
উত্তর - কালিয়া বন হল ঘন গাছপালায় ভরা নির্জন বন। এই বনে বটতলায় খাওয়া-দাওয়ার জন্য হোটেল আছে। অনুশীলন বা বারবার অনুশীলন ছাড়া সার্কাস দেখানো যায় না। সার্কাসই যেহেতু তাদের জীবিকা, তাই তারা এই নির্জন এলাকায় লুকিয়ে থাকে। যাইহোক, ধামাচাপা দেওয়ার একটি কারণ হল সার্কাসের মালিক নিখোঁজ এবং সার্কাস ক্রুদের পক্ষ থেকে একটি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অধিকারীমশাই একটা তাঁবু কিনে বড় হলেন
তিনি ঝাড়বাতি কিনেছিলেন, সবাইকে নতুন জামাকাপড় তৈরি করেছিলেন এবং সর্বত্র নতুন সার্কাস অভিনয়ের বিজ্ঞাপন ঝুলিয়েছিলেন। তাছাড়া কোনো জিনিসপত্রের দাম না দিয়ে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ উধাও হয়ে যান। স্বভাবতই পাওনাদার দোকানদাররা থানায় খবর দিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তাই জাদুকর এবং সার্কাসের দলগুলো বনে লুকিয়ে আছে। আর অধিকারীমশাইয়ের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়।
হোটেল মালিকের কাছে সোনালী সার্কাস থেকে লোকজন বনে কেন এমন প্রশ্ন করা হলে হোটেল মালিক ব্যাখ্যা করেন, নতুন সার্কাস শুরুর আগে নতুন তাঁবু, নতুন ঝাড়বাতি, সবার জন্য নতুন পোশাক, খেলা দেখানোর বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও দামের সাথে কিছুই নেই। এমতাবস্থায় কাউকে না জানিয়ে, মূল্য পরিশোধ না করেই উধাও হন অধিকারী মশাই। দোকানিরা থানায় হাজির হয়ে মালামাল জব্দ করে। সার্কাস দলের অন্যান্য সদস্যদের পক্ষে থানা থেকে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল। সে তোমাকে দেখলেই পাবে। তাই সার্কাসের লোকজন বনে লুকিয়ে আছে।
৫. ঘড়িওয়ালা বনেরমধ্যেলুকিয়েবেড়াতকেন?
উত্তর - কালিয়া বনে যাওয়ার সময়গোরস্থানের ফটকের সামনে ঝোলাঝালাকোর্ট পেন্টলুন পরা ঘড়িওয়ালার সঙ্গেসোনা-টিয়ার দেখা হয়। হোটেলওয়ালারছোটো ভাই ঘড়িওয়ালাকে বনেরমধ্যে লুকিয়ে থাকতে হয়।
মাকু হল ঘড়িওয়ালার প্রাণ, সতেরো বছর ধরে নানানযন্ত্রপাতি, চাকা, স্প্রিং দিয়েঘড়িওয়ালা মাকুকে তৈরি করেছে। মাকুহল কলের পুতুল।সে হাসতে পারে, কিন্তুকাঁদতে পারে না।তার শরীরের কাদার কললাগিয়ে দেওয়ার জন্য সে ঘড়িওয়ালারকাছে বায়না করে।ঘড়িওয়ালা কাঁদার কল তৈরিকরে দিতে অপারগ।মাকু এখন পালিয়েছে।সে ঘড়িওয়ালাকে পেলে কাঁদার কলেরজন্য বায়না করবে সেইজন্যঘড়িওয়ালাও বনের মধ্যে লুকিয়েলুকিয়ে থাকে।
৬. বনের মধ্যেসোনা-টিয়াকীকীজন্তু-জানোয়ারদেখেছিলনিজেরভাষায়লেখো।
উত্তর - বনের মধ্যে গাছেরনীচে সোনা, টিয়া দুজনময়লা জামা পড়েই নাচ, গান অনুশীলন শুরু করলে গাছথেকে সাদা ফুল টুপটাপকরে মাটিতে পড়ে।সোনা, টিয়া সেগুলো তুলেচুলের মধ্যে, কানের পিছনেগুঁজে রাখে। কোথাথেকে এক জোড়া সবুজপায়রা গাছের ডালে বসেবাকুম বাকুম করে।পাতার আড়াল থেকে কাঠঠোকরাঠুনুন ঠুনুন করে তালদেয়, ঝোপের একধারে বনময়ূরএসে সোনা, টিয়ার নাচেরতালে তালে পেখম ধরেনাচ জমায়। টিয়াগান থামিয়ে ময়ুরকে নাচতে বারণ করে। কারণপেখম তুলে ময়ূর নাচকরলে বৃষ্টি আসতে পারে, আর বৃষ্টি এলে রাতেরবেলা ঘাসজমিতে খেলা বন্ধ হয়েযাবে।
৭. হোটেলওয়ালার জন্মদিনেরউৎসবকেমনহয়েছিললেখো।
উত্তর - তৃণভূমির মাঝখানে, পুরানো শিরিষ গাছটি মাথার উপরে শাখা প্রসারিত করে তাঁবুর মতো কাঠামো তৈরি করেছিল। তার নিচে সার্কাস শো। হোটেলের মালিকের জন্মদিনে, মালিক নিজেই রিংয়ের মাস্টার হয়েছিলেন এবং সার্কাসে খেলাটি নিখুঁতভাবে পরিচালনা করেছিলেন। সোনা, “খেলনার নাচ-গান, মাকুরের খেলা, জাদুকরের খেলা, মগডাল থেকে নেমে আসা জাদু, ছদ্মবেশের রানী এবং অবশেষে মাকুর বিয়েতে ধুমধাম করে আনন্দে দর্শকদের চোখে জল চলে আসে। খেলা শেষ হয়ে গেলে। কিন্তু দর্শনার্থীরা বাড়ি যেতে চায় না। প্রহরী বড় লাইটের নিচে দাঁড়িয়ে মুগ্ধতার সাথে ঘোষণা করে যে আজকের জন্মদিনের খেলা শেষ। শ্রোতাদের করতালি দিতে বলা হলে চারপাশের গহীন বন থেকে শ্রোতাদের বজ্র করতালি প্রতিধ্বনিত হয়। বড় বড় লাইটগুলো জাদুকরী স্ট্রিং টোন দিয়ে ঝলসে যাওয়ায় দর্শকদের বাড়িতে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। সার্কাস দলের সবাই খুব ক্লান্ত, কারো কিছু বলার নেই। প্রদীপের আলোয় সর্বত্র জিনিস আর টাকা। গানের দল গোপনে টাকা ও মালামাল সংগ্রহ করে তার জন্মদিনের রাতে মালিকের কাছে জমা দেয়।
৮. কেমন করেবোঝাগেলযেহোটেলওয়ালাইনোটোঅধিকারী?
উত্তর - কাঁদার কল পেয়েমাকু এতটাই খুশি হয়েছেযে, আনন্দে সে হাসতেহাসতে কেঁদে ফেলল।ফূর্তির চোটে মাকু মালিকেরদাড়ি খামচে এক লাফেউঠে দাঁড়াতেই সঙ্গে সঙ্গে মালিকেরদাড়ি গোঁফ হ্যাঁচকা টানেখুলে মাকুর হাতে উঠেএলো। একেবারেঅবাক হয়ে উপস্থিত লোকজনমালিকের মুখের দিকে তাকিয়েহতবাক হয়ে গেল।সবাই মালিকের চাচাছোলা ন্যাড়া মুখে তাকিয়ে দেখলএ তো সেই পালিয়েযাওয়া নোটো মাস্টার।হোটেলে মালিকের ছদ্মবেশে এতদিন সে নিজেরভোল বদলে সকলের মধ্যেছদ্মবেশে ছিল। আজহঠাৎ দাড়ি চাঁচাছোলা ন্যাড়ামুখ সকলের চোখে পড়তেইস্পষ্ট হয়ে গেল এইসেই নোটো অধিকারী।
৯. সোনা, টিয়াকীভাবেতাদেরবাড়িরলোকেদেরসঙ্গেঘরেফিরতেপারল?
উত্তর - সার্কাস দেখে ফিরে এসেসোনা, টিয়া বটতলায় মা-মা করে এদিক-ওদিক দৌড়োতে লাগল। সেখানেলোকজনের ভিড়ের মধ্যে মামণিও বাপির সঙ্গে সোনা, টিয়ার দেখা হল।মামণি গোলাপি শাড়ি পরাএকজন সুন্দর মহিলা খুন্তিনামিয়ে দৌড়ে এসে দু-হাত বাড়িয়ে তাদেরকোলে নিল। একগোছা মাটির থালা মাটিতেনামিয়ে হাসিমুখে বাপি তাদের সামনেএসে দাঁড়াল। মামণিআর বাপিকে পেয়ে সোনা, টিয়া যখন আনন্দে আটখানাহয়ে গেছে তখন ঝুপকরে পানের চুপড়ি নামিয়েছুটে এলো আম্মা।সবাই সোনা, টিয়াকে আদরকরতে ব্যস্ত। বাড়িথেকে পালিয়ে আসার জন্য কেউতাদের বকাবকি করল না। ঠামুতাদের দু-বোনকে আদরকরবে বলে ব্যস্ত হল। পুলিশসাহেব পিসেমশাইও এত লোকজনের মধ্যউপস্থিত ছিলেন। সেইসঙ্গেপিসি এবং পিসির কোলেবোম্বাকে সোনা, টিয়া দেখতেপেল।
সোনা, টিয়া জানতে পারল প্রথমথেকেই পিসেমশাই মাকু সেজে তাদেরসঙ্গে ছিলেন। বনেরমধ্যে আস্তে আস্তে রাত্রিনেমে এলো। পুলিশসাহেব পিসেমশাই-এর জিপে মামণি, পিসি, ঠামু, আম্মা, বোম্বা, বাপিকে নিয়ে সোনা, টিয়ানিজেদের ঘরে ফিরে এলো।
১০. মাকু কীভাবেকাঁদতেপারল?
উত্তর - ঘড়িওয়ালা তার সমস্ত বুদ্ধি দিয়ে মাকু তৈরি করে। আমি শুধু অশ্রুসিক্ত কল দিতে পারিনি। এবার সোনা মাকুকে ফোন করার কথা দিল কাঁদতে কাঁদতে। তারপর ঘোষক সোনাকে বলে যে মাকু প্রতিদিন বিয়ে করছে তাই কান্নার ডাক আসবে। সোনা চৌকিদারকে মাকুর চণ্ডী খুলতে বলে। ঘড়িওয়ালা প্রথমে মাকুর নাক থেকে কলা টিপে মাকু মাস্ত হাই তুলে ঘুমিয়ে পড়ে। এবার প্রহরী তার কান ধরে চিমটি দিল। তখনই বাক্সের ঢাকনার মতো কোঁকড়ানো চুলের সুন্দর লাল খুলিটা খুলে গেল। ভিতর থেকে কব্জা দেখতে সবাই পোর্টহোলের চারপাশে ভিড় করে। এখন সোনা পানি চাইলে হোটেলওয়ালা তাকে গ্লাসে পানি দেয়। সোনা তার ব্যাগ খুলে বাপির ওয়ার্কশপ থেকে একটা পাংচার করা জ্যামের ক্যান, একটা কেরোসিন ড্রপার আর একটা রাবার টিউব বের করল। এখন কব্জা খোলার মধ্যে একটি জেলির ক্যান রাখুন, তার নীচের অংশে একটি রাবারের টিউব রাখুন এবং টিউবের অপর প্রান্তটি মাকড়সার মাথার ভিতরে দুই চোখের মাঝখানে রাখুন। পানির গ্লাসটা ক্যানে রেখে মাথার খুলির ঢাকনা বন্ধ করে মাকড়সার নাকের ডগা চেপে ধরে মাকড়সা জেগে উঠে কেঁদে উঠল। তার গালের লাল রং, শার্টের বুক, কোর্টের কলার দুই চোখ থেকে জলে ভিজে গেছে, ফোঁটা ফোঁটা জল না আসা পর্যন্ত তার কান্না থামবে না। এত কান্না পেয়ে মাকু খুব খুশি হল।
১১. ‘মাকু’ পড়েতোমারকেমনলাগলসংক্ষেপেলেখো।কোন্চরিত্রকেসবথেকেভালোলাগলসেকথাওলেখো।
উত্তর - আমি সত্যিই 'মাকু' পড়ে উপভোগ করেছি।গল্পটা কয়েকবার পড়লাম। বনেরহোটেল, গাছের ঘর, ঘাসেরউপর বসে সার্কাস দেখাএবং নদীতে আসা বিভিন্নপ্রাণীর পানি পান করাএবং মাকড়সার কীর্তিও আমাকে মুগ্ধ করেছে। গল্পটাপড়ে মাঝে মাঝে মনেহতো আমি ঘাসে বসেসার্কাস দেখছি। লেখিকালীলা মজুমদার বেশ কিছু চরিত্রকেসহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। 'মাকু' গল্পটি বারবার পড়তে পড়তেআমার মনে হয়েছে আমিপাখির খাঁচা, গান, মাকু, খরগোশ, প্রজাপতি এবং সোনা, চানিয়ে কালিয়া বনের তৃণভূমিতে আছি।
সোনা নামের ছোট্ট মেয়েটিরচরিত্রটি আমাকে বিশেষভাবে আকর্ষণকরেছে। আমারছোট বোনের হাত ধরেসাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, টিয়া মাঝে মাঝে চোখেরজল মুছে তাকে বনেরদিকে নিয়ে যায়, এককথায় সোনার সাহসিকতা আমাকেআমার পথে চলতে উত্সাহিতকরেছিল।
১২. মাকু বইয়েরনামকি‘সোনাটিয়ারঅ্যাডভেঞ্চার' হলেবেশিভালোহত? তোমারকীমনেহয়? এবিষয়েতোমারমতামতলেখো।
উত্তর - ‘সোনা টিয়ার অ্যাডভেঞ্চার' নামকরণ সত্যিই যথাযথ।তবে গল্পের মূল বিষয়বস্তুরওপর নামকরণ নির্ভর করে। সেক্ষেত্রেলেখিকা লীলা মজুমদার-এর‘মাকু' নামকরণ কোনো অংশেঅসংগত বলা যায় না। আমারমতে দুটি নামকরণই যথার্থ।
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>