Class 7 Geography Chapter 3 | ভূমিরূপ কিছু প্রশ্নবলী | WBBSE
(1)
প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে বায়ুর চাপ প্ৰায়
–
উত্তর - 1 কিলোগ্রাম|
(2)
মহাকাশচারীদের পোশাকে বাতাস ভরা না থাকলে কি হবে ?
উত্তর - শিরা-ধমনি ফেটে যেতে পারে।
(3)
কোথায় বায়ুর চাপ সবথেকে বেশি?
উত্তর - পৃথিবীপৃষ্ঠে বা সমুদ্রসমতলে
(4)
উচ্চচাপ অঞ্চল
ও নিম্নচাপ
অঞ্চল কাকে
বলে ?
উত্তর - যেসব স্থানের বায়ুর চাপ আশপাশের বায়ুচাপের থেকে বেশি, তাকে উচ্চচাপ অঞ্চল (High Pressure Area বা ‘H’) বলে। আবার, যেসব স্থানের বায়ুর চাপ আশপাশের বায়ুচাপের থেকে কম, তাকে নিম্নচাপ অঞ্চল (Low Pressure Area বা 'L' বলে।
(5)
একটি পরীক্ষার
মাধ্যমে বুঝিয়ে
দাও যে
বায়ুর চাপ
আছে।
উত্তর -
পরীক্ষা ঃ একটি গ্লাসে জল ভরতি করে একটি পোস্টকার্ড বা কার্ডবোর্ড দিয়ে গ্লাসের মুখটা ঢেকে দিতে হবে। এবার কার্ডটা চেপে ধরে গ্লাসটাকে উপুড় করে দিতে হবে। এবার দেখা যাবে যে, জল পড়ছে না। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, বায়ুর চাপ, পোস্টকার্ড বা কার্ডবোর্ডটিকে ওপরের দিকে ঠেলে রাখছে। বায়ুর চাপের জন্যই জল পড়ছে না।
(6) উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর চাপ
–
উত্তর - কমতে থাকে
(7)
বায়ুচাপের কয়েকটি
সাধারণ দৃষ্টান্ত
লেখো।
উত্তর - প্রাত্যহিক জীবনে বায়ুর চাপের নানারকম দৃষ্টান্ত আমরা পেয়ে থাকি। যেমন–
(i) টিকটিকি দেওয়ালের গায়ে চলাচল করতে পারে কারণ টিকটিকির পায়ের পাতার মধ্যে ছোটো গহ্বর থাকে। টিকটিকির পায়ের চাপে গহ্বরটি বায়ুশূন্য হয় ফলে বাইরের বায়ুর চাপে টিকটিকি সহজেই দেওয়ালে চলাফেরা করতে পারে।
(ii) হোমিওপ্যাথি ওষুধের ছোটো খালি শিশির মধ্যে থাকা বায়ু ঠোঁটের সাহায্যে শুষে নিলে বায়ুশূন্য অবস্থায় শিশিটি ঠোঁটে আটকে যায়।
(iii) রবারের পুতুলের নীচে একটা ফুটো থাকে। পুতুলটিকে টিপে কিছুটা হাওয়া বের করে ওই ছিদ্রটির মুখে দেওয়ালে আটকে রাখলে সম্পূর্ণ পুতুলটি দেওয়ালে আটকে থাকতে পারে।
(8)
বায়ুচাপের তারতম্য পরিমাপ করা হয় –
উত্তর - পারদ ব্যারোমিটার মাধ্যমে
(9)
সাইক্লোন, টাইফুন,
হ্যারিকেন, টর্নেডো
কেন ঘটে?
উত্তর - বায়ুচাপের পার্থক্য যত বেশি হয়, অর্থাৎ নিম্নচাপ অঞ্চলে বায়ুচাপ যত বেশি কমে যায়, বায়ুচাপ সমান করার জন্য আশপাশের উচ্চচাপ অঞ্চলের থেকে বায়ু তত বেশি গতিবেগে ওই অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। প্রবলবেগে ছুটে আসা বাতাস বিধ্বংসী রূপ নিলে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিবাত, টাইফুন, হ্যারিকেন, টর্নেডো ইত্যাদি ঘটে থাকে।
(10)
বায়ুর উয়তার পরিবর্তন হলে
কি হবে ?
উত্তর - বায়ুর আয়তন, ঘনত্বের পরিবর্তন হয়।
(11)
বোতলে বায়ুচাপের
কী পরিবর্তন
লক্ষ করা
যায়?
উত্তর - একটি পানীয় জলের প্লাস্টিকের বোতলে অর্ধেকের বেশি গরম জল দিয়ে ভরতি করে, ঢাকনা আটকে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। এক ঘণ্টা পরে দেখা যাবে যে বোতলটা একটু তুবড়ে গেছে। কারণ বোতলে গরম জল ভরার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরের বাতাস গরম হয়ে কিছুটা বেরিয়ে গেছে। বাকি বাতাস একঘণ্টা ধরে ঠান্ডা হয় গেলে বায়ুচাপও কমে গেছে। তখন বাইরের বায়ুর চাপ বেশি হওয়ার জন্য বাইরের বাতাসের চাপে বোতলটা তুবড়ে গেছে।
(12)
শীতল মেরু
অঞ্চলে বায়ুর
চাপ বেশি
কেন ?
উত্তর - বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় এবং বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই বায়ুর চাপও বেড়ে যায়। এই কারণেই শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি এবং উয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।
(13)
উঁচু পার্বত্য
অঞ্চলে জলের
স্ফুটনাঙ্ক কমে
যায় কেন
?
উত্তর - ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় এবং বায়ুর চাপও কমে যায়। প্রতি 100 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ১ সেমি পারদ স্তম্ভের সমান বায়ুচাপ কমতে থাকে। তাই উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে জলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়।
(14)
উঁচু পার্বত্য
অঞ্চলে শ্বাস
নিতে কষ্ট
হয় কেন?
উত্তর - উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে অথবা বেশি উচ্চতায় বাতাসের পরিমাণ খুব কমে যায়। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণও এত কমে যায় যে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়। বায়ুর চাপও বেড়ে যায়। এই কারণেই পর্বতারোহীরা পর্বত অভিযান চলাকালীন সঙ্গে অক্সিজেন ব্যবহার করেন।
(15)
মহাকাশে মহাকাশচারীদের
বিশেষ ধরনের
পোশাক পড়তে
হয় কেন?
উত্তর - পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে বা চাঁদে কোনো বাতাস নেই। তাই মহাকাশচারীদের বিশেষ ধরনের পোশাকে বাতাস ভরা থাকে। তা না থাকলে তাদের শরীরের ভিতরের বাতাসের চাপে শিরা-ধমনী ফেটে যেতে পারে।
(16)
বায়ুর উম্বুতা
ও বায়ুর
চাপের মধ্যে
সম্পর্ক আলোচনা
করো।
উত্তর - বায়ুর
চাপ বায়ুর উচ্চতার উপর নির্ভর করে। বায়ুর দুটি চাপ রয়েছে: (1) উচ্চ চাপ এবং (2)
নিম্নচাপ।
বায়ুর চাপ বায়ু
উচ্চতার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। উদাহরণ স্বরূপ:
(1) বায়ু সংকুচিত
হলে হালকা হয়ে যায় এবং আয়তনে বৃদ্ধি পায় এবং প্রসারিত হয়; ফলে বাতাসের চাপ কমে
যায়। এভাবে বাতাস উঠলে বাতাসের চাপ কমে যাবে। উদাহরণস্বরূপ, নিরক্ষীয় বায়ু দিক পরিবর্তন
করে, যার ফলে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কম হয়।
(2) যখন বাতাসের
পরিমাণ কমে যায় বা যখন এটি ঠান্ডা হয়, তখন বায়ু সংকুচিত হয় এবং বেড়ে যায়। এর
ফলে বায়ুর ঘনত্ব বা চাপ বৃদ্ধি পায়। অতএব, যখন বায়ুর পরিমাণ হ্রাস পায়, তখন বায়ুচাপ
বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে, প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য
বায়ুর চাপ খুব বেশি। কারণ সূর্যের রশ্মি এখানে তির্যকভাবে পড়ে। ফলে দুই মেরু অঞ্চলে
বাতাসের পরিমাণ কম থাকায় বায়ু সংকুচিত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ এ অঞ্চলে বায়ুর চাপ অত্যন্ত
বেশি।
(3) জলীয় বাষ্পযুক্ত
বায়ু শুষ্ক বাতাসের তুলনায় হালকা, তাই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ফলে বাতাসের চাপও কমে যায়। এভাবে বাতাস শূন্য হয়ে গেলে বাতাসের জলীয় বাষ্পের ক্ষমতা
বৃদ্ধি পায়। যেমন: বর্ষাকালে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বাতাসের চাপও কমে যায়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে বাতাস আর্দ্র হলে বাতাসের চাপ কমে যায় এবং যখন বাতাস ঠান্ডা হয় তখন বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। অতএব, এটা বলা যেতে পারে যে বায়ুর পরিমাণ এবং চাপের মধ্যে সম্পর্ক সরাসরি সমানুপাতিক।
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>