আত্মকথা (Atmakatha) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE
আত্মকথা প্রশ্ন উত্তর
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে
বাক্যটি আবার লেখো :
১.১
রামকিঙ্করের প্রথম শিল্পের-ইস্কুল বাড়ির পাশের কুমোরপাড়া ।
১.২'পোর্ট্রেট'
শব্দটির অর্থ হল—প্রতিকৃতি।
১.৩
‘অয়েল পেন্টিং' বলতে বোঝায়-তেলরঙে আঁকা ছবি
১.৪
রামকিঙ্করের ছবি বা মূর্তি অধিকাংশ ক্যারেকটারই যে খুব—সাধারণ।
২. একই অর্থ-যুক্ত শব্দ
রচনাংশ থেকে বেছে নিয়ে লেখো :
বিনা
ব্যয়ে, অভ্যুত্থান, দরকার, নিপুণ, সম্মাননীয় ।
উত্তর –
বিনা
ব্যয়ে — অবৈতনিক।
অভ্যুত্থান
— সূচনা, শুরু।
দরকার
— প্রয়োজন।
নিপুণ
— নিখুঁত।
সম্মাননীয়
— মর্যাদাবান।
৩. বিশেষ্য থেকে বিশেষণ
এবং বিশেষণ থেকে বিশেষ্য বদলাও :
সার্থক,
সুন্দর, মূর্তি, চরিত্র, উদ্ধৃতি।
উত্তর –
সার্থক
(বিশেষণ) — সার্থকতা।
সুন্দর(বিশেষণ)
— সৌন্দর্য।
মূর্তি
(বিশেষ্য) — মূর্তিমান।
চরিত্র
(বিশেষ্য) — চারিত্রিক।
উদ্ধৃতি
(বিশেষ্য) — উদ্ধৃত।
4. একটি বাক্যে উত্তর দাও।
4.1 কী কী দিয়ে শিল্পী রামকিঙ্কর রঙের প্রয়োজন মেটাতেন?
উত্তর - গাছের পাতার রস, বাটনা-বাটা শিলের হলুদ, মেয়েদের পায়ের আলতা ও মুড়ি-ভাজা খোলার চাঁছা ভুসোকালি দিয়ে শিল্পী রামকিঙ্কর রঙের প্রয়োজন মেটাতেন।
4.2 কার সৌজন্যে রামকিঙ্করের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের যোগাযোগ হয়?
উত্তর - ‘প্রবাসী’
পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্যে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে রামকিঙ্করের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের যোগাযোগ হয়।
4.3 শান্তিনিকেতনের আচার্য নন্দলাল বসু কাজের ক্ষেত্রে কেমন মনোভাব দেখাতেন?
উত্তর - শান্তিনিকেতনের কলাভবনের আচার্য নন্দলাল বসু কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে সবসময় আগ্রহী ছিলেন।
4.4. নন্দলাল বসুর কাজের কোন্ দিকটা শিল্পী রামকিঙ্করকে বেশি প্রভাবিত করেছিল?
উত্তর - নন্দলাল বসুর কাজের সাদামাটা সুরটাই শিল্পী রামকিঙ্করকে বেশি প্রভাবিত করেছিল।
5. নিম্নলিখিত ব্যক্তি ও বিষয়গুলি নিয়ে দু-একটি বাক্য লেখো:
নন্-কোঅপারেশন মুভমেন্ট, অয়েল পেন্টিং, আচার্য নন্দলাল বসু, ল্যান্ডস্কেপ।
উত্তর -
নন্-কোঅপারেশন মুভমেন্ট - ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে নন্-কোঅপারেশন মুভমেন্ট বা অসহযোগ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে এই আন্দোলনের ডাক দেন।
অয়েলপেন্টিং - অয়েলপেন্টিং-এর বাংলা প্রতিশব্দ হল তৈলচিত্র। রং ও তেল ব্যবহার করে এই ছবি আঁকা হয়।
আচার্য নন্দলাল বসু - আচার্য নন্দলাল বসু হলেন ভারতবর্ষের বিখ্যাত এক ভাস্কর ও শিল্পী। তিনি শান্তিনিকেতনের কলাভবনের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁকে ওরিয়েন্টাল আর্টের পথপ্রদর্শক বলা হয়।
ল্যান্ডস্কেপ - ল্যান্ডস্কেপ
(Landscape) কথাটির অর্থ প্রাকৃতিক দৃশ্য। প্রকৃতির বিচিত্র রূপ শিল্পীর কল্পনায় ও নিপুণ তুলির টানে ক্যানভাসের ওপর যে দৃশ্যপট তৈরি করে, তাকেই সাধারণভাবে ল্যান্ডস্কেপ বলা হয়।
6. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো
6. 1. “ভিসুয়াল আর্টে আমার প্রথম বর্ণপরিচয়।”—–—শিল্পী রামকিঙ্করের ছবির সঙ্গে প্রথম বর্ণপরিচয় হয়েছিল কীভাবে?
উত্তর - নিজের আত্মকথায় শিল্পী রামকিঙ্কর জানান, শিশুকাল থেকেই তাঁর চোখে পড়ত তাঁদের বাড়িঘরের চারদিকের দেয়ালে টাঙানো নানান দেবদেবীর ছবি। তখন থেকেই ছবির প্রতি তাঁর আকর্ষণ। শৈশবে দেখা সেইসব ছবি তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ‘কপি’ করতেন। এইভাবেই ‘ভিসুয়াল আর্ট’ বা চিত্রকলার সঙ্গে রামকিঙ্করের প্রথম ‘বর্ণপরিচয়’।
6.2. “জেনারেল লাইব্রেরির উপরতলায় কলাভবনে নিয়ে গেলেন”—কে কাকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তারপর কী ঘটেছিল?
উত্তর - উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: ‘প্রবাসী’
পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের জেনারেল লাইব্রেরির উপরতলায় কলাভবনে রামকিঙ্কর বেইজকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় কলাভবনের আচার্য নন্দলাল বসুর সঙ্গে রামকিঙ্করের পরিচয় করিয়ে দেন।
6.3. যতদূর মনে হচ্ছে—গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ।” কার উক্তি? ‘গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ’ কীসের নাম? তিনি কীভাবে এ ধরনের কাজ শিখলেন?
‘উত্তর - আলোচ্য উক্তিটি শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের। ‘গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ’ হল রামকিঙ্কর বেইজের একটি বিখ্যাত অয়েলপেন্টিং বা তৈলচিত্রের নাম। অয়েলপেন্টিং-এর কাজ শান্তিনিকেতনে রামকিঙ্করই প্রথম শুরু করেন। এই বিদ্যা বা ছবি আঁকার কৌশল তাঁকে হাতে ধরে কেউ শেখাননি। সম্পূর্ণ নিজে নিজেই এই কলা তিনি রপ্ত করেছিলেন। অয়েলপেন্টিং বা তেল রং কেনার জন্য তিনি যখন দোকানে যান তখন দোকানদার তাঁকে শুধু জানান, টিউবের রং ও পাত্রের তেলে তুলি ডুবিয়েই রং করতে হয়। এইভাবেই তিনি অয়েলপেন্টিং-এর কাজ শিখেছিলেন।
6.4. “এই সাদামাটা সুরটাই আমাকে ভীষণভাবে টানে।”—কাকে টানে? ‘সাদামাটা সুর’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? তাঁকে এই সুর টানে কেন?
উত্তর - আচার্য নন্দলালবসুর আঁকার ‘সাদামাটা সুরটাই’ লেখক রামকিঙ্কর বেইজকে টানে।
‘সাদামাটা সুর’-এর অর্থ: নন্দলাল বসু একেবারে সাধারণ চরিত্র, পরিচিত প্রকৃতি, গ্রামের পরিপূর্ণ রূপ দিয়ে অসাধারণ ছবি সৃষ্টি করতেন। আচার্য নন্দলালের ছবির এই বৈশিষ্ট্যটি রামকিঙ্করকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল। একেই রামকিঙ্কর ‘সাদামাটা সুর’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এই টানার কারণ: রামকিঙ্কর
বলেছেন, নন্দলালের আঁকা ছবিগুলির ভেতর যে সাদামাটা সুর রয়েছে, সেই সুরটিই তাঁকে টানত। এর কারণ তাঁর সমস্ত ছবির প্রেক্ষাপটেই থাকত সাধারণ চরিত্র আর একেবারে ‘কমন ল্যান্ডস্কেপ’, যা দিয়ে গ্রামের সম্পূর্ণরূপ অতি অনায়াসে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটে উঠত।
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>