আঁকা লেখা (Aaka Lekha) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE
আঁকা লেখা প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘পিটপিটে চোখ’—শব্দটির মানে 'যে চোখ পিটপিট করে তকায়'। এইরকম আরও পাঁচটি শব্দ তৈরি করো। একটি করে দেওয়া হল –‘কুড়মুড়ে চানাচুর’।
উত্তর - কুড়মুড়ে চানাচুর। চটপটে মানুষ। ধবধবে সাদা। ছটফটে শিশু। গনগনে আগুন। ঝিরঝিরে বৃষ্টি। ফুরফুরে বাতাস।
২. ঠিক বানানটি বেছে নাও :
২.১ মৎস্য / মৎস / মৎশ্য
২.২ দুধের স্বর / দুধের সর / দুধের শর
২.৩ কাপন / কাঁপন / কাঁপণ
২.৪ ঈশৎ / ইষৎ / ঈষৎ
৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
সামান্য - ঈষৎ
আনন্দ - পুলক
মীন
- মৎস্য
নক্ষত্র
- তারা
মূষিক
- ইঁদুর
৪. ‘কম্পন’ শব্দ থেকে এসেছে ‘কাঁপন' শব্দটি, অর্থাৎ ‘ম্প' যুক্তাক্ষরটি ভেঙে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া ‘ম’ আগের ধ্বনিটিকে অনুনাসিক করে তুলেছে এবং একটি নতুন ‘আ’ ধ্বনি চলে আসছে। এই নিয়মটি মনে রেখে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো। (ছকটি তোমরা পাঠ্যপুস্তকের ২৯ পৃষ্ঠায় দেখো।)
উত্তর -
চন্দ্ৰ > চাঁদ
চম্পা > চাঁপা
ঝম্প > ঝাঁপ
ষণ্ড
> ষাঁড়
অঙ্ক > আঁক
৫. একসঙ্গে অনেক প্রজাপতি থাকলে আমরা বলি ‘প্রজাপতির ঝাঁক'। এইভাবে আর কী কী শব্দ তৈরি করা যায় শব্দঝুড়ি থেকে শব্দ নিয়ে নীচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করে দেখো।
উত্তর - ৫.১ পাল, ৫.২ ঝাঁক, ৫.৩ যূথ, ৫.৪ বহর, ৫.৫ সারি, ৫.৬ দল।
৬. নীচের বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ লেখো : রং, চিত্র, মাঠ, লেখা, পুলক।
উত্তর -
রং - রঙিন
চিত্র - চিত্রণ/চিত্রিত
মাঠ - মেঠো
লেখা - লিখিত
পুলক -পুলকিত
৭. নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্যরচনা করো :
৭.১ ঈষৎ - লবণ — আমি তরকারিতে ঈষৎ লবণ দিয়েছি।
৭.২ বেজায় - লোভী — বড়োলোকের ছেলেরা বেজায় লোভী হয়।
৭.৩ পিটপিটে – চোখ — পিটপিটে চোখে ছেলেটি সব লক্ষ করছে।
৭.৪ পরম – হিতৈষী — গ্রামবাসী আমাদের পরম হিতৈষী।
৭.৫ নীল – আকাশ — নীল আকাশে পাখিরা উড়ে বেড়ায়।
৭.৬ গোপন - সংবাদ—পুলিশ সংগ্রামীদের গোপন সংবাদ পেয়ে তল্লাশি শুরু করল।
৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
গোপন, ঈষৎ, খুশি, পুরু, ঝগড়া।
উত্তর –
গোপন
— প্রকাশ,
ঈষৎ
— অধিক/বেশি,
খুশি
— অখুশি,
পুরু
— পাতলা,
ঝগড়া
— ভাব।
৯. বাক্য বাড়াওঃ
৯.১ আমি যখন আঁকি। (কী, কীভাবে?)
উত্তর - আমি যখন ছবি আঁকি, খেয়াল খুশি ভাবে।
৯.২ চাঁদের দুধের সর জমে যায়। (কোথায় ? কেমন ? )
উত্তর - নদীর শেষপ্রান্তে সাদা চাঁদের দুধের সর পুরু হয়ে জমে যায়।
৯.৩ পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে। (কে? কোথা থেকে?)
উত্তর - ইঁদুরটি পিটপিটে চোখে দেখছে গর্ত থেকে মুখ তুলে।
৯.৪ ছড়া লেখার শুরু। (কার ? কখন ? )
উত্তর - কবির ছড়া লেখার শুরু, বাতাসে ঈযৎ কাঁপন দেওয়ার সময়।
9.৫ ‘অ’লিখছে 'আ’লিখছে। (কারা? কোথায় ?)
উত্তর - দশ জোনাকি‘অ’লিখছে‘আ’লিখছে বকুল গাছের ফাঁকে ফাঁকে।
10.একটি বাক্যে উত্তর দাও :
10.১ কবি কখন ছবি আঁকেন ?
উত্তর - দুপুর বেলায় কবি ছবি আঁকেন ।
10.২. কখন তাঁর ছড়া লেখার শুরু ?
উত্তর - বাতাস ঈষৎ কাঁপলেই কবির ছড়া লেখার শুরু
10.৩. তিনটি শালিক কী
করে ?
উত্তর -
তিনটি শালিক ঝগড়া থামায় ।
10.৪. কে
অবাক হয়ে তাকায় ?
উত্তর - চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায় ।
10.৫. মাছরাঙা কী চায় ?
উত্তর - মাছরাঙা নীল রং ধার দিতে চায় ।
10.৬. প্রজাপতিদের ইচ্ছা কী ?
উত্তর - তাদের যেন এঁকে রাখা হয় ।
10.৭. গর্তে কে থাকে ?
উত্তর - ইঁদুর গর্তে থাকে ।
10.৮. চাঁদের পুরু দুধের সর কোথায় জমে ?
উত্তর - মাঠে চাঁদের পুরু দুধের সর জমে ।
10.৯. কারা , কোথায় অ
- আ লিখছে ?
উত্তর - জোনাকিরা বকুল গাছে অ - আ লিখছে ।
10. ১০. কবি কোন বিষয়কে ‘ পদক পাওয়া ' মনে করেছেন ?
উত্তর - ছড়া লেখাকে কবি ‘ পদক পাওয়া ’ মনে করেছেন ।
দু - তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
11.১. কবি যখন ছড়া লিখতে শুরু করেন তখন চারপাশের প্রকৃতিতে কী
কী পরিবর্তন ঘটে ?
উত্তর - মাঠে যখন চাঁদের দুধের সর পুরু হয়ে জমে যায় , বাতাসে যখন ঈষৎ কাঁপন দেয় , আকাশে তারারা মালার মতো সেজে ওঠে এবং জোনাকিরা গাছে গাছে বসে — তখন কবি ছড়া লিখতে শুরু করেন ।
11.২. কবি যখন ছবি আঁকেন তখন কী কী
ঘটনা ঘটে ?
উত্তর - কবি যখন ছবি আঁকেন তখন তিনটি শালিক ঝগড়া থামায় , চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । মাছকে ভুলে মাছরাঙা তার নীল রং ধার দিতে চায় । প্রজাপতি ছবি হতে চায় । গর্ত থেকে ইঁদুর বেরিয়ে পিটপিট চোখে চেয়ে থাকে ।
11.৩. ‘ তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়'— কোন কবির কোন কবিতায় এমন তিন শালিকের প্রসঙ্গ অন্যভাবে আছে ?
উত্তর -
' তিনটি শালিক ঝগড়া করে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
11.৪. মাছরাঙা পাখি কেমন দেখতে ? সে
মৎস্য ভুলে যায় কেন ?
উত্তর।মাছরাঙা পাখির চোখ তীক্ষ্ণ , ক্ষুরধার , লম্বা ঠোঁট এবং গায়ে নীল হলুদ ডোরাকাটা । →→ কারণ কবি ছবি আঁকছেন দেখে সে মৎস্য ভুলে যায় ।
11.৫. “ রং
- তুলিরা বেজায় খুশি আজ
দুপুরে আমায় পেয়ে ” – কবির এমন বক্তব্যের কারণ কী ?
উত্তর - কেননা , রং - তুলিরাও যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে । প্রকৃতির নানা ছবি তারা আঁকছে । সেই রং - তুলির আঁকা দেখে শালিক পাখি ঝগড়া থামিয়ে দিয়েছে , চড়ুই অবাক হয়ে দেখছে । মাছরাঙা মাছ শিকার ভুলে গেছে । ইঁদুর গর্ত থেকে বেরিয়ে অবাক হয়ে দেখছে । এ সব দেখে রং - তুলিরাও বেজায় খুশি ।
11.৬. “ অ
' লিখছে ' আ
' লিখছে " — কারা কীভাবে এমন লিখছে ? তাদের দেখে কী
মনে হচ্ছে ?
উত্তর - জোনাকিরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে ' অ'- ' আ ' লিখছে । তাদের দেখে যেন তারার মালা মনে হচ্ছে ।
12. অনধিক দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
12. ১. ' এই
ছড়াতেই আজ
আমাকে তোমার কাছে আনলো হাওয়া'— কাকে উদ্দেশ্য করে কবি একথা বলেছেন ? কবির আঁকা এবং লেখা - র
সঙ্গে এই
মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব বিচার করো ।
উত্তর - কবি তাঁর প্রিয়তমাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন । কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে কবির প্রিয়তমার যোগ অবিচ্ছেদ্য । তিনি তার কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা । ছবি আঁকার সৃষ্টিসম্ভার । প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গে তিনি তাঁর প্রিয়তমার মুখ দেখতে পান । আর সেই প্রতিমা যেন তাঁর ছবিতে এসে ধরা পড়ে । এই প্রিয়তমা তাঁর কবিতার ধরা পড়ে । এভাবেই কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক যা গুরুত্ব পায় ।
12.২. এই
কবিতায় যে
যে উপমা ও তুলনা ব্যবহৃত হয়েছে , সেগুলির ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর - এখানে যে সব উপমা এবং তুলনা ব্যবহার করা হয়েছে তা সার্থক । এখানে দেখানো হয়েছে তিনটি শালিক ঝগড়া থামায় । চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । মাছ শিকার ভুলে গিয়ে মাছরাঙা নীল রং ধার দিতে চায় , আবার প্রজাপতি যেন ছবিতে স্থান করে নিতে চায় । গর্ত থেকে ইঁদুর বেরিয়ে পিটপিট চোখে তাকিয়ে থাকে । মাঠে চাঁদের দুধের পুর সর জমে যায় এবং বাতাসে সামান্য কম্পন শুরু হলে কবি ছড়া লেখা শুরু করেন । আকাশের তারা যেন মালা হয়ে ধরা দিয়েছে । বকুল গাছে জোনাকিরা যেন অ - আ লিখছে । এইসব উপমা এবং তুলনা কবিতাটিকে সমৃদ্ধ করেছে ।
12.৩. ছবি আঁকা , ছড়া / কবিতা লেখার মধ্যে তুমি নিজে কোনটা , কেন বেশি পছন্দ করো তা লেখো ।
উত্তর - আমি কবিতা লেখাকে বেশি পছন্দ করি । কারণ , কবিতা লেখার সঙ্গে আমার প্রাণের সংযোগ । কবিতার মধ্যে নিজের অনুভূতিকে প্রকাশ করা যায় । এই অনুভূতির মধ্যে ধরা পড়ে মনের নানা ছবি । এই ছবি হল প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ । আসলে প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে মিশে যায় মন । বাস্তবের নানা উপকরণের সঙ্গে অন্তঃপ্রকৃতি মিলে গিয়ে একটা নতুন সুর , নতুন ছন্দ সৃষ্টি হয় । যা আমার মনকে আনন্দ দেয় । তাই আমার কবিতা লিখতে অনেক বেশি ভালো লাগে ।
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>