টিকিটের অ্যালবাম (Ticketer Album) অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর | Class 8 | WBBSE
টিকিটের অ্যালবাম
১.১ সুন্দর রামস্বামী কোন ভাষার লেখক?
উত্তর –তামিল
১.২ তিনি কোন ছদ্মনামে লিখতেন?
উত্তর –পদুবিয়া
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
টিকিটের অ্যালবাম প্রশ্ন উত্তর
২.১ ' টিকিটের অ্যালবাম ' গল্পের লেখক কে ?
উত্তর - টিকিটের অ্যালবাম গল্পটির লেখক সুন্দর রামস্বামী ।
২.২ মূল গল্পটি কোন ভাষায় রচিত ?
উত্তর - মূল গল্পটি তামিল ভাষায় রচিত ।
২.৩ গল্পটিতে মোট কটি চরিত্রের দেখা পাওয়া যায় ?
উত্তর - গল্পের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র রাজাপ্পা এবং নাগরাজন । এছাড়া গল্পে আরও চারজনের নাম পাওয়া যায় । এরা হলো মাগরাজনের বোন কামাক্ষী , আমু , বন্ধু কৃয়ান এবং রাজামার মা ।
২.৪ মেয়েদের পক্ষ থেকে কে নাগরাজনের থেকে অ্যালবামটি চেয়ে নিত ।
উত্তর - ক্লাসের সবচেয়ে ডানপিটে মেয়ে পার্বতী মেয়েদের পক্ষ থেকে নাগরাজনের কাছ থেকে অ্যালবামটি চেয়ে নিত ।
২.৫ রাজাপ্পা কীভাবে তার অমূল্য ডাকটিকিটগুলি সংগ্রহ করত ?
উত্তর - মৌমাছিরা যেভাবে মধু সংগ্রহ করে রাজামাও সেইভাবে কষ্ট করে টিকিট সংগ্রহ করত ।
২.৬ নাগরাজনের অ্যালবামটি ডাকে কে উপহার দিয়েছিলেন ?
উত্তর - নাগরাজনকে তার সিঙ্গাপুর প্রবাসী কাকা অ্যালবামটি উপহার দিয়েছিলেন ।
২.৭ সেই অ্যালবামের প্রথম পাতায় কী লেখা ছিল ?
উত্তর - অ্যালবামের প্রথম পাতায় মোটা অক্ষরে এস . নাগরাজন নামটি লেখা ছিল এবং তার নীচে লেখা ছিল ' এই অ্যালবামটি চুরি করতে চেষ্টা করছ যে নির্লজ্জ হতভাগা , তাকে বলছি .....। ওপরে আমার নামটা দেখেছ ? এটা আমার অ্যালবাম । এটা আমার এবং যতদিন ঘাসের রং সবুজ আর পদ্মফুল লাল , সূর্য পূর্বে উঠবে আর পশ্চিমে অস্ত যাবে একমাত্র আমারই থাকবে ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
টিকিটের অ্যালবাম প্রশ্ন উত্তর
৩.১ নাগরাজনের অ্যালবামের প্রতি সকলে আকৃষ্ট হয়ে পড়ল কেন ?
উত্তর - নাগরাজনের অ্যালবামটি সত্যই সুন্দর ছিল । তার কাকা সিঙ্গাপুর থেকে পাঠিয়েছিল । অ্যালবামের সুন্দর মলটি , এবং তার অঙ্গসজ্জা ছিল নিখুঁত , তাতে টিকিটগুলি সুন্দর ভাবে সাজানো ছিল । কোনো স্থানীয় দোকানেও এমন অ্যালবাম সহজে পাওয়া যেত না । তাই অ্যালবামটির প্রতি সকলে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে ।
৩.২ ‘ কেটে পড় হিংসুটে পোকা ! ' — ৰৰ্ত্তা কে ? কাকে সে এমন কথা বলেছে ? তুমি কি এই কথার মধ্যে কোনো যুক্তি খুঁজে পাও ?
উত্তর - উক্তিটির বক্তা নাগরাজনেরই এক সহপাঠী কুয়াণ , সে রাজাশাকে এ কথা বলেছে । নতুন অ্যালবাম পেয়ে নাগরাজনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় । অ্যালবামটিতে অনেক সুন্দর ছবি ছিল এবং অনেক সুন্দর কথাও লেখা ছিল । এই অ্যালবামটিকে ঘিরে তার বন্ধুদের উৎসাহ দেখে রাজাপ্পা কয়েকটি খারাপ কথা বলেছিল । কাজেই সেই কথার উত্তরে কৃষ্ণাণের কথাটি যথেষ্ট যুক্তিসংগত ছিল ।
৩.৩ এদের সঙ্গে তর্ক করে লাভ নেই – উপলখিটি কার ? কী বিষয়ে তর্কের প্রসঙ্গ এসেছে ? তর্ক করে লাভ নেই কেন ?
উত্তর - উপলব্ধিটি একান্ত ভাবেই রাজাপ্পার । নাগরাজনের অ্যালবামের বিচার নিয়েই তর্কের প্রসঙ্গ এসেছে । রাজাপ্পা বোঝাতে চেয়েছিল যে নাগরাজনের অ্যালবামটি সুন্দর এবং সুবিন্যস্ত হলেও তারটি নিতান্ত ফেলনা নয় বরং বেশি মূল্যবান । কারণ অ্যালবামটি অত্যন্ত পরিশ্রম এবং যত্নের মাধমে তৈরি । স্কুলের ছেলেরা রাজাপ্পাকে ব্যঙ্গ করে নাগরাজনের অ্যালবামটিকে শ্রেষ্ঠ বলে এবং রাজান্নাকে জানায় তার অ্যালবামটি ডাস্টবিনে রাখার যোগ্য । এই কথায় রাজাপ্পা বুঝেছিল এদের সঙ্গে তর্ক করে লাভ নেই ।
8. উত্তর নিজের ভাষায় লেখে
টিকিটের অ্যালবাম প্রশ্ন উত্তর
৪.১ হঠাৎ যেন তাঁর জনপ্রিয়তা কমে গেছে- কার এমন মনে হয়েছে ? এই জনপ্রিয়তা হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ কী ?
উত্তর - রাজাপ্পার এমন মনে হয়েছে । তারই সহপাঠী মাগরাজনের কাকা সিঙ্গাপুর থেকে এক অতি সুন্দর অ্যালবাম উপহার দেন । নাগরাজন ক্লাসে ওটা নিয়ে এলে , সকলেই ওটা দেখতে চায় । কারণ সকলেই নতুনের চাকচিক্যে ভুলে পুরোনোকে প্রত্যাখ্যান করে । ফলে আগে যারা রাজামার অ্যালবামের অনুরাগী ছিল আজ তারা নাগরাজনের চারপাশে ভিড় করে থাকে । এটাই রাজাপ্পার জনপ্রিয়তা রুমে যাওয়ার কারণ ।
৪.২ কেউ রাজাপ্পার অ্যালবামের কথা উল্লেখ করত না , বা , তাকে পাত্তাও দিত না ।'--- সকলের এমন আচরণের কারণ গল্প অনুসারে আলোচনা করো । দেখতে দিত ?
উত্তর - রাজাপ্পা বহু পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ডাকটিকিট সংগ্রহ করে একটি অ্যালবাম তৈরি করেছিল , যেটি একসময়ে স্কুলের ছেলেদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল । কিন্তু হঠাৎ করে তারই এক সহপাঠী নাগরাজন তার সিঙ্গাপুরে থাকা কাকার কাছ থেকে একটি অতি সুন্দর অ্যালবাম উপহার হিসাবে লাভ করে । তার চাকচিক্য , অলংকরণ এককথায় অনবদ্য ছিল । ফলে সকলেই অ্যালবামটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পড়ে এবং রাজাপ্পা ও তার অ্যালবাম গুরুত্ব হারায় । এছাড়াও নাগরাজন সকলকেই ওটা দেখতে দিত , তাই আর কেউ রাজাপ্পার অ্যালবামের কথা উল্লেখ করত না । এমনকি তার অ্যালবাম ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মতো বলেও কেউ কেউ তাকে ব্যঙ্গ করত ।
৪.৩ স্কুলের ছেলেমেয়েদের নাগরাজন কীভাবে তার নিজের অ্যালবামটি দেখতে দিত?
উত্তর - নাগরাজন পরম ধৈর্য সহকারে স্কুলের ছেলেমেয়েদের অ্যালবামটি দেখাত । তার একটাই শর্ত ছিল যে কেউ অ্যালবামটা ধরবে না । নাগরাজন অ্যালবামের পাতা ওলটাতো এবং আর সমস্ত বন্ধুরা ভীড় করে দেখত ।
৪.৪ ডাকটিকিট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে রাজাপ্পার তীব্র আকর্ষণের যে পরিচয় গল্পে রয়েছে তা আলোচনা করো ।
উত্তর - ডাকটিকিট সংগ্রহ করা রাজাপ্পার অন্যতম প্রধান শখ ছিল । মৌমাছিরা যেমন কষ্ট করে মধু সংগ্রহ করে সেও কষ্ট করে ডাকটিকিট সংগ্রহ করত । ছুটির দিনগুলিতে সে খুব ভোরে বেড়িয়ে পড়ত এবং অন্যান্য টিকিট সংগ্রাহকদের সঙ্গে দেখা করত । একটা রাশিয়ার টিকিটের সঙ্গে দুটো পাকিস্তানি টিকিটের বিনিময় করত । কানাডার একটি টিকিট সংগ্রহ করার জন্য সে চার মাইল পথ হেঁটে যেতেও দ্বিধা করেনি । কখনও কখনও স্কুলের ছুটির পর বাড়িতে টিফিন না খেয়েও টিকিট সংগ্রহ করার জন্য সে বেরিয়ে পড়ত এবং কোনো কিছুর বিনিময়ে সে তার অ্যালবামটি হাতছাড়া করত না । টিকিট সংগ্রহ যেন তার জীবন ছিল । সে প্রকৃতপক্ষেই ডাকটিকিটের সংগ্রাহক হিসেবে প্রশংসার যোগ্য । তার কোলের উপর রেখে
টিকিটের অ্যালবাম প্রশ্ন উত্তর
৪.৫ ‘ চোৱাদৃষ্টিতে অ্যালবামটি দেখত – সেই চোৱাদৃষ্টিতে দেখা অ্যালবামটির কোন্ বিশেষত্ব গল্পে রয়েছে ?
উত্তর - চোরাদৃষ্টিতে দেখা অ্যালবামটি ছিল নাগরাজনের এটি সবদিক থেকেই সুন্দর ছিল । সুন্দর কাগজে মোড়া মলাটে সুন্দর হাতের লেখায় নাগরাজনের নাম লেখা ছিল অ্যালবামটিতে । টিকিটের সংখ্যা কম হলেও তার অঙ্গবিন্যাসে ছিল পরিপার্টির ছোঁয়া । কোনো স্থানীয় দোকানে তেমন অ্যালবাম পাওয়া যেত না । তাই রাজাপ্পাও কৌতূহল দমন করতে পারত না , সেও চোরাদৃষ্টিতে বা আড়চোখে দেখত সুন্দর অ্যালবামটিকে ।
৪.৬ নাগরাজনের প্রতি রাজাপ্পা কীভাবে ক্রমশ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছিল ?
উত্তর - রাজাপ্পার সহপাঠী নাগরাজন হঠাৎ উপহার হিসাবে পাওয়া একটি সুন্দর অ্যালবাম রাজাপ্পার বহুকষ্টে তৈরি করা অ্যালবামের গুরুত্ব স্নান করে দেয় , ফলে তার সহপাঠীগণ যারা একসময় রাজাপ্পা এবং তার অ্যালবামের গুণগ্রাহী ছিল , হঠাৎ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এমনকি তার বহু অধ্যবসায়ে তৈরি করা অ্যালবামটিকে ডাস্টবিনে ফেলার যোগ্য বলে উপহাস করতে ছাড়ে না । বন্ধুদের এই উপেক্ষাই তাকে নাগরাজনের প্রতি ঈর্ষান্বিত করে তোলে ।
৪.৭ ' সন্ধ্যাবেলা রাজাপ্পা নাগরাজনের বাড়ি গেল ? ' কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে রাজাপ্পা নাগরাজনের বাড়ি গিয়েছিল ? এর মধ্যে তার চরিত্রের কোন দিকটি ধরা পড়ে ।
উত্তর - রাজাপ্পা মনস্থির করে ফেলেছিল যে এই অসম্মান সে আর সহ্য করবে না । টিকিট সংগ্রহের রহস্য ও অভিজ্ঞতার ব্যপারে নাগরাজন কী আর জানে , তাই সে নাগরাজনের বাড়ি গিয়ে কম দামি ঢিকিট দিয়ে দামি টিকিটগুলোকে হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল । এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে রাজামার চারিত্রিক দুর্বলতার দিকটি প্রকট হয়ে ওঠে । সে বুঝতে চায়নি সুন্দর এবং নতুনের প্রতি আকর্ষণ মানুষের চিরন ও মজ্জাগত । তার বন্ধুদের রুঢ় ব্যবহার এবং নাগরাজনের প্রতি চাটুকারিতা সে উপেক্ষা করতে পারে না এই কারণেই তার নিজের অ্যালবামের প্রতি তার গভীর ভালোবাসার দিকটাও ফুটে ওঠে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে ।
টিকিটের অ্যালবাম প্রশ্ন উত্তর
৪.৮ ' রাজাপ্পার চোখ জলে ভরে গেল ।'- কোন পরিস্থিতিতে রাজাপ্পার চোখ জলে ভরে উঠল ?
উত্তর - নাগরাজনের অ্যালবামটি চুরি করার পর রাজাপ্পার মনে প্রবল অনুশোচনা হয় । রাজাপ্পা আপ্লুর কাছ থেকে জানতে পারে নাগরাজনের বাবা পুলিশ সুপারের আপিসে কাজ করেন । সে পুলিশেরও ভয় করেছিল । উনুনের আগুনে নাগরাজনের অ্যালবামটি পুড়ে ছাই হয়ে গেলে তার চোখ জলে ভরে ওঠে । কারণ সে ডাকটিকিটের মূল্য বুঝত , সে জানত ওগুলি নিছক কাগজের টুকরো নয় বরং অমূল্য সম্পদ । এমন সব টিকিট হয়তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না । বহু কষ্টে ডাকটিকিট সংগ্রহ করা এবং বহু পরিশ্রমের ফসল এক - একটি অ্যালবাম । তাই নিতান্ত বালক হলেও অ্যালবামের গুরুত্ব সে বুঝত । তাই গভীর বেদনা বোধ থেকেই তার চোখ জলে ভরে ওঠে ।
৪.৯ ‘ নাগরাজন হতবুদ্ধি হয়ে গেল । ' – তার হতবুদ্ধি হয়ে পড়ার কারণ কী ?
উত্তর - চুরি যাওয়া অ্যালবামটি খুঁজে না পেয়ে নাগরাজন অস্থির হয়ে পড়েছিল । সে জানত না যে রাজাপ্পা তার অ্যালবামটি চুরি করেছে । রাজাপ্পা হঠাৎ করে বহু কষ্টের তৈরি করা , তার সব চেয়ে প্রিয় বস্তু অ্যালবামটি নাগরাজনকে । দিতে চাইলে নাগরাজন হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে । নাগরাজন জানত কি গভীর মমতায় রাজাপ্পা তার অ্যালবামটি আগলে রাখত , তাই বন্ধুর কষ্ট লাঘব করতে অ্যালবামটি দিতে চাইলে সে সত্যই অবাক হয়ে যায় ।
৪.১০ কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার আগুনে দগ্ধ হয়েই ' টিকিটের অ্যালবাম গল্পে রাজাপ্পার আত্মশুদ্ধি ঘটেছে ।'— গল্পের ঘটনা বিশ্লেষণ করে উদ্ধৃতিটির যথার্থতা প্রতিপন্ন করো ।
উত্তর - শিল্পীর শিল্পসাধনা যখন উপেক্ষিত হয় , বহুকষ্টে লাভ করা সম্পদ যখন চাকচিক্য বা চটকের কাছে হেরে যায় তখন স্রষ্টা হয়ে পড়ে বিশ্বস্ত এবং বিভ্রান্ত । ফলে ঘটে যায় অপকর্ম । বন্ধুদের উপহাসের জবাব দিতে নাগরাজনের অ্যালবামটি রাজাপ্পা প্রথমে চুরি করে এবং পরে সেটিকে আগুনে পুড়িয়ে দেয় । কিন্তু অ্যালবামের প্রকৃত সমঝদার এবং প্রবল অনুরাগী রাজাপ্পা বুঝতে পারে তার অন্যায় । তাই প্রবল অনুশোচনায় দগ্ধ হতে থাকে তার হৃদয় । বন্ধুর দুঃখে প্রলেপ দিতে সে নিজের প্রিয়তম বস্তু অ্যালবামটিকে তুলে দেয় বন্ধুর হাতে , আত্মশুদ্ধি ঘটে তার । তাই উক্তিটি সত্য এবং যথার্থ ।
<< Read More >>
Class 8 All Subject Solution >>