দেবতাত্মা হিমালয় (Debatatma Himaloy) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | Page 142 | WBBSE
দেবতাত্মা হিমালয় প্রশ্ন উত্তর
১ . বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো :
১.১ লামারা রাজকীয় সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন রাজপুত্র (তিষ্য রক্ষিত / শান্ত রক্ষিত/ কুমার রক্ষিত )-কে।
উত্তর – শান্ত রক্ষিত
১.২ তিব্বতীদের প্রধান ব্যবসা (পশম / রেশম / তাঁতবস্ত্র)-এর।
উত্তর – পশম
১.৩ কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক (বড়ো মন্দির / বড়ো মসজিদ / বড়ো গির্জা)।
উত্তর – বড়ো গির্জা
১.৪ রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখক তুলে দিয়েছিলেন (অমৃতবাজার পত্রিকা / যুগান্তর / আনন্দবাজার পত্রিকা)-র ‘রবীন্দ্র জয়ন্তী সংখ্যা'।
উত্তর – যুগান্তর
১.৫ নবরচিত একটি কবিতা রেডিওতে আবৃত্তি করতে রবীন্দ্রনাথের সময় লেগেছিল (আধ ঘণ্টা / পঁয়তাল্লিশ মিনিট / পনেরো মিনিট )।
উত্তর – পনেরো মিনিট
২. ঘটে-যাওয়া ঘটনার ক্রম অনুযায়ী নীচের এলোমেলো ঘটনাগুলি সাজিয়ে লেখো :
উত্তর –
(1) ২.৩ ২৫ বৈশাখের সন্ধ্যায় জন্মদিন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ দেশবাসীর উদ্দেশে একটি কবিতা পাঠ করবেন।
(2) ২.৭ কবির জন্মদিনের কবিতাপাঠের জন্য কলকাতা-কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের বন্দোবস্ত হল।
(3) ২.৫ সেজন্য পাহাড়ে-পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি বসানো এবং তার খাটানো হল কদিন ধরে।
(4) ২.২ কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন।
(5) ২.৬ বেতার কর্তৃপক্ষ কবির কন্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রচার করবেন, তাই এই ব্যবস্থা।
(6) ২.৪ প্রস্তুতির সময়ে নরম মখমল বসানো চেয়ারে বসে কয়েকবার ডাকলুম, হ্যালো ক্যালকাটা... হ্যালো...?
(7) ২.১ কলকাতা থেকে তৎক্ষণাৎ জবাব এল —‘ও-কে।’
৩. নীচের বাক্যগুলিতে দাগ-দেওয়া শব্দগুলোর অনুরূপ শব্দ পাঠ্য অংশটিতে পাবে। উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো :
৩.১ শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণের বিবরণ থেকেই প্রথম তিব্বতের কথা জানা যায়।
উত্তর - শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই প্রথম তিব্বতের কথা জানা যায়।
৩.২ এই পথে তিনজন বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়েছিলেন।
উত্তর - এই পথে তিনজন জগৎপ্রসিদ্ধ বাঙালি তিব্বতে গিয়েছিলেন।
৩.৩ সবার অগোচরে আত্মগোপনের জন্য অন্যরকম পোশাক পরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র একদিন কলকাতা ছেড়ে গিয়েছিলেন।
উত্তর - সবার অগোচরে ছদ্মবেশে নেতাজি সুভাষচন্দ্র একদিন কলকাতা ছেড়ে গিয়েছিলেন।
৩.৪ ভুল মানুষমাত্রেরই হতে পারে, তবে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার সাহসও থাকা উচিত।
উত্তর - ভুল মানুষমাত্রেরই হতে পারে, তবে স্বীকারোক্তির সাহসও থাকা উচিত।
৩.৫ যাদের ওপর পরিচালনার ভার, এ-কাজের জন্য আগে তাদের দাবি-ত্যাগের প্রমাণপত্র প্রয়োজন।
উত্তর - পরিচালকদের এ-কাজের জন্য আগে তাদের দাবিহীন পত্র প্রয়োজন।
৩.৬ যাঁরা নিজের নামেই বিখ্যাত, ভারতের সেই বরণীয় মানুষদেরই সম্মাননার আয়োজন হয়েছে এই সভায়।
উত্তর - স্বনামখ্যাত, ভারতবরেণ্য মানুষদেরই সংবর্ধনার আয়োজন হয়েছে এই সভায়।
৪. নীচের বাক্যগুলিতে যে ইংরেজি শব্দগুলি আছে, তার বদলে বাংলা শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো :
৪.১ ডাক্তার গৃহিণীর ডাইনিং হলে প্রাতরাশ সারা হল।
উত্তর - চিকিৎসক গৃহিণীর খাবার ঘরে প্রাতরাশ সারা হল।
৪.২ অতো বড়ো এপিক পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যে নেই।
উত্তর - অতো বড়ো মহাকাব্য পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যে নেই।
৪.৩ কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না।
উত্তর - কালিম্পঙে দূরভাষ ছিল না।
৪.৪ বেতার-কর্তৃপক্ষ তাঁর কন্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্টকরবেন।
উত্তর - বেতার-কর্তৃপক্ষ তাঁর কন্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রচার করবেন ।
৪.৫ ভোরে আমার ড্রাইভার এল গাড়ি নিয়ে।
উত্তর - ভোরে আমার গাড়িচালক এল গাড়ি নিয়ে।
৪.৬ একটা বুঝি ৰেল বাজল ৷
উত্তর - একটা বুঝি ঘণ্টা বাজল।
৪.৭ গির্জাটা হল কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক।
উত্তর - গির্জাটা হল কালিম্পঙের পথনির্দেশক চিহ্ন।
৫. নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্যরচনা করো :
মেঘময়, ভীষণ, মায়াচ্ছন্ন, সূক্ষ্ম, দীপ্ত, অগম্য, বিপুল, ঝুপসি ।
উত্তর –
মেঘময় আকাশ — দেখছ তো মেঘময় আকাশ, কেন বেরোেচ্ছ এখন?
ভীষণ চেহারা — আলিপুর চিড়িয়াখানার বাঘটার ভীষণ চেহারা।
মায়াচ্ছন্ন সংসার — পৃথিবীতে কেউ কারও নয়, এটা হল মায়াচ্ছন্ন সংসার।
সূক্ষ্ম চিহ্ন — ডাকাতের দল সূক্ষ্ম চিহ্ন পর্যন্ত রেখে যায়নি।
দীপ্ত পুরুষ — দিবাকরবাবু ছিলেন সত্যই এক দীপ্ত পুরুষ।
অগম্য পর্বত — হিমালয় এখনও অনেকের কাছেই এক অগম্য পর্বত।
বিপুল সমুদ্র — জাহাজ থেকে যেদিকেই চোখ যায় সেইদিকেই বিপুল সমুদ্র।
ঝুপসি ঘর — এখন তিনি একটু ঝুপসি ঘর বানিয়ে সেখানে আছেন।
৬. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসিয়ে বাক্যরচনা করো
কণ্ঠস্বর, স্বপ্নলোক, ব্যক্তিত্ব, আশঙ্কা, ইতিবৃত্ত, কীর্তি, রেখাচিত্র, দিগ্বলয়।
উত্তর –
সুদৃঢ় কণ্ঠস্বর - নেতাজির সেই সুদৃঢ় কণ্ঠস্বর যেন আজও বাতাসে ধ্বনিত হয়।
অলৌকিক স্বপ্নলোক — তুমি দেখছি অলৌকিক স্বপ্নলোক নিয়েই সুখে আছো।
মধুর ব্যক্তিত্ব — সরোজবাবুর মধুর ব্যক্তিত্ব এখনও আমার মনে জ্বলন্ত ছাপ রেখেছে।
মিথ্যা আশঙ্কা — কেন তুমি মিথ্যা আশঙ্কা নিয়ে কাল কাটাচ্ছ ভাই?
রহস্যময় ইতিবৃত্ত — মোনালিসার হাসি যেন এক রহস্যময় ইতিবৃত্ত।
অক্ষয় কীর্তি — তাজমহল হল শাহজাহানের এক অক্ষয় কীৰ্তি ৷
অপূর্ব রেখাচিত্র — রবিঠাকুরের অপূর্ব রেখাচিত্রগুলি সকলকে মুগ্ধ করে।
প্রসারিত দিগ্বলয় —সেই প্রসারিত দিগ্বলয় যুগ যুগ ধরে মানুষকে হাতছানি দেয়।
৭. নীচের দাগ-দেওয়া শব্দগুলি কী জাতীয় ? শব্দগুলির বিশিষ্টতা উল্লেখ করে শব্দগুলি দিয়ে নতুন বাক্য রচনা করো :
৭.১. শীতের হাওয়া ছিল কনকনে।
৭.২. ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে।
৭.৩. পায়ের নীচে কালিম্পং থরথর করতে লাগল কিনা আর মনে রইল না।
উত্তর - ওপরের কনকনে, ঝিরঝিরে, থরথর ইত্যাদি শব্দগুলিকে বলা হয় ধ্বন্যাত্মক অব্যয়। ধ্বন্যাত্মক শব্দের বৈশিষ্ট্য হল, এরা নিছক ধ্বনির দ্যোতক হতে পারে, কখনও বা নিজস্ব ধ্বনির ভাবদ্যোতক হয়ে উঠতে পারে।
বাক্যরচনা
কনকনে — পৌষ মাসের কনকনে ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে বুড়ো মারা গেল।
ঝিরঝিরে — নালার ঝিরঝিরে স্রোতে ছোটো ছোটো মাছগুলো আনন্দে লাফাচ্ছে।
ধরধর — একটা মাত্র মোক্ষম চড় খেয়েই চোরটা থরথর করে কাঁপতে লাগল।
৮. নীচের বাক্যগুলি থেকে তারতম্যসূচক শব্দগুলি খুঁজে বার করো। কোটি দুয়ের মধ্যে তুলনা, আর কোটি বহুর মধ্যে তুলনা, তা নির্দেশ করে শব্দগুলি দিয়ে নতুন বাক্য রচনা করো :
৮.১. পৃথিবীর উচ্চতম শিখর তিনি।
উত্তর - উচ্চতম বিশেষণটিতে বহুর মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।
(নতুন বাক্য) ভারতের প্রশাসনিক কাঠামোতে উচ্চতম পদে আছেন রাষ্ট্রপতি।
৮.২. এর চেয়ে মহত্তর উদ্যোগ আর দেখিনি।
উত্তর - মহত্তর বিশেষণটি দুইয়ের মধ্যে উৎকৃষ্ট বুঝিয়েছে।
(নতুন বাক্য) তারকবাবুর থেকে শ্যামবাবুর কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে মহত্তর।
৮.৩. বাংলার এই পথই সর্বশ্রেষ্ঠ।
উত্তর - সর্বশ্রেষ্ঠ বিশেষণটি বহুর মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।
(নতুন বাক্য) আমাদের দেশের কৃষিজ ফসলই সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ।
৮.৪. পাশের গলিটি সংকীর্ণতর হয়ে এসেছে।
উত্তর - সংকীর্ণতর শব্দটি দুইয়ের মধ্যে তারতম্য বুঝিয়েছে।
(নতুন বাক্য) নদীর উৎসমুখে যতই এগোনো যাবে ততই তাকে সংকীর্ণতর বোধ হবে।
৮.৫. অল্প আয়োজনে শুরু হল দীর্ঘতম যাত্রা।
উত্তর - দীর্ঘতম শব্দটি বহুর মধ্যে তুলনা বুঝিয়েছে।
(নতুন বাক্য) ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম গঙ্গা।
৯. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ আর পূরণবাচক শব্দগুলি খুজে বার করে
লেখো :
৯.১. গ্যাংটক থেকে নাথু লা গিরিসংকট হল মাত্র ছাব্বিশ মাইল।
উত্তর - ছাব্বিশ, সংখ্যাবাচক শব্দ।
৯.২. তিনি তেরো বছর সেখানে বাস করেছিলেন।
উত্তর - তেরো, সংখ্যাবাচক শব্দ।
৯.৩. দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আধুনিক ভারতের কুলগুরু রাজা রামমোহন রায়।
উত্তর - দ্বিতীয়, পূরণবাচক শব্দ।
৯.৪. শরৎচন্দ্র দাস গিয়েছিলেন উনিশ শতকের শেষ ভাগে।
উত্তর - : উনিশ, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ।
৯.৫. অষ্টম শতাব্দীতে রাজপুত্র তিব্বতে যান।
উত্তর - অষ্টম, পূরণবাচক শব্দ।
৯.৬. বিমানে গেলে কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছোতে লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা, সেই গতিতে গেলে লাসা পৌঁছোতে ঘণ্টা তিনেক লাগে কি?
উত্তর - সাড়ে তিন ঘণ্টা ভগ্নাংশ সংখ্যা। ঘণ্টা তিনেক–অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ ।
৯.৭. একটু আধটু দেখে বেড়াতেই ঘণ্টাখানেক সময় লাগল।
উত্তর - ঘণ্টাখানেক, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ।
৯.৮. মনে পড়ে সেই ২৫ বৈশাখের অপরাহ্ন।
উত্তর - ২৫ বৈশাখ, নির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ।
৯.৯. যেখানে বছর চৌদ্দ আগে একটি রাত্র বাস করে গিয়েছিলাম।
উত্তর - বছর চোদ্দো, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ।
৯.১০. কবি মাত্র পনেরো মিনিটকাল তাঁর কবিতা পাঠ করবেন।
উত্তর - পনেরো মিনিটকাল, সংখ্যাবাচক শব্দ।
১০. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে বদলে লেখো :
বিশেষ্য | বিশেষণ |
প্রণাম অনুরোধ পৃথিবী উদবোধন পূজা উদ্বেগ পুলক আশঙ্কা | প্রণন্য অনুরুদ্ধ পার্থিব উদবোধিত পূজ্য উদবিগ্ন পুলকিত আশঙ্কিত |
১১. নীচের বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে বদলে লেখো ?
বিশেষণ | বিশেষ্য |
বৈদান্তিক নবরচিত অভিজাত প্রসিদ্ধ উচ্ছ্বসিত প্রচলিত প্রচুর প্রধান | বেদান্ত নবরচনা আভিজাত্য প্রসিদ্ধি উচ্ছাস প্রচলন প্রাচুর্য প্রাধান্য |
১২. নীচের শব্দগুলির সন্ধি ভেঙে লেখো :
উত্তর - :
শশাঙ্ক = শশ + অঙ্ক ।
হিমালয় = হিম + আলয়।
রক্তিমাভা = রক্তিম + আভা।
সর্বাপেক্ষা = সর্ব + অপেক্ষা ।
যুগান্তর = যুগ + অন্তর।
মায়াচ্ছন্ন = মায়া + আচ্ছন্ন ৷
রথীন্দ্র = রথি + ইন্দ্ৰ।
অপরাহ্ন = অপর + অহ্ন
নৃপেন্দ্ৰ = নৃপ + ইন্দ্ৰ ।
শয়ান= শে + অন।
অপরিচ্ছন্ন = অ + পরিচ্ছন্ন।
উদ্ৰোধন = উদ্ + বোধন
সম্বর্ধনা = সম্ + বৰ্ধনা ।
দিগ্বলয় = দিক্ + বলয় ।
উচ্ছ্বসিত = উৎ + শ্বসিত।
বারম্বার = বারম্ + বার।
সর্বাধিক = সর্ব + অধিক।
স্বীকারোক্তি = স্বীকার + উক্তি।
উন্নতি = উৎ + নতি
১৩. নীচের প্রতিটি শব্দের মধ্যেই দুটি করে শব্দ আছে, বুঝে নিয়ে ভেঙে লেখো :
উত্তর –
জগৎপ্রসিদ্ধ = জগৎ + প্রসিদ্ধ।
গিরিসংকট = গিরি + সংকট।
ঠাকুরবাড়ি = ঠাকুর + বাড়ি।
ছদ্মবেশ = ছদ্ম + বেশ।
নবরচিত = নব + রচিত
ভ্রমণবৃত্তান্ত = ভ্রমণ + বৃত্তান্ত।
কুঠিবাড়ি = কুঠি + বাড়ি।
কুলগুরু কুল + গুরু।
রাজপুত্র = রাজ + পুত্র।
অর্থব্যয় = অর্থ + ব্যয়।
ভারতবরেণ্য = ভারত + বরেণ্য।
মহাকবি = মহা + কবি।
স্বনামখ্যাত = স্বনাম + খ্যাত।
স্বপ্নলোক = স্বপ্ন + লোক।
জন্মদিন = জন্ম + দিন।
১৪. নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো :
১৪.১. তিব্বতবাসীরা তাঁর মূর্তিকে আজও বোধিসত্ত্ব নামে পূজা করে।
উত্তর - তিব্বতবাসীরা — কর্তৃকারকে ‘রা’ বিভক্তি।
মূর্তিকে — কর্মকারকে ‘কে’বিভক্তি।
১৪.২. তিনি ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন তিব্বতে।
উত্তর – ছদ্মবেশে - করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১৪.৩. কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন।
উত্তর - : ঘরের আসনে — সম্বন্ধপদে ষষ্ঠী বিভক্তি।
টেলিফোনে — করণ কারকে ‘এ’বিভক্তি।
১৪.৪. কবি সেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।
উত্তর - : আমাকে - কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি।
১৪.৫. শরৎ দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই তিনি সর্বাধিক সাহায্য লাভ করেছিলেন।
উত্তর - ‘থেকে অনুসর্গ যোগে অপাদান কারক।
১৫. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১৫.১. প্রাচীন পথ ধরে কোন্ তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন?
উত্তর - অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান, রাজা রামমোহন রায় এবং শরৎচন্দ্র দাশ অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন।
১৫.২. কোন প্রাচীন পথের রেখা ধরে তাঁরা গিয়েছিলেন?
উত্তর - কালিম্পঙের ওপর দিয়ে যাওয়া তিব্বতগামী রেনক্ রোড ধরে।
১৫.৩. এখনকার পর্যটকরা এই প্রাচীন পথটি পরিহার করেন কেন ?
উত্তর - কারণ এই পথে দুর্যোগ, দুর্গমতা বেশি এবং দুঃসাধ্যও বটে।
১৫.৪. কোন দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন?
উত্তর - : অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ও যশোরের রাজপুত্র শান্ত রক্ষিত।
১৫.৫. ছদ্মবেশে কে গিয়েছিলেন তিব্বতে ?
উত্তর - ছদ্মবেশে তিব্বতে গিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র দাস।
১৫.৬. স্যার ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল তিব্বত-বিষয়ক কোন্ বইটি?
উত্তর - : শরৎচন্দ্র দাশের ভ্রমণবৃত্তান্ত।
১৫.৭. কালিম্পঙের কোথায় পড়াশোনা করে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা ?
উত্তর - কালিম্পঙের পাহাড়ের অনেক উঁচুতে গ্রেহামস হোমে।
১৫.৮. গৌরীপুর প্রাসাদে কারা ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী ?
উত্তর - : বৈদান্তিক অ্যাটর্নি হীরেন দত্ত, রথীন্দ্রনাথ, প্রতিমা দেবী, অনিল চন্দ, মৈত্রেয়ী ও চিত্রিতা।
১৫.৯. লেখকের অনুরোধে কোন্ পত্রিকার জন্য অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
উত্তর - : যুগান্তর পত্রিকার জন্য।
১৫.১০. ২৫ বৈশাখের সেই বিশেষ দিনটি যে ছিল শুক্লপক্ষ, লেখা থেকে সেকথা জানতে পারো কেমন করে? উত্তর -: লেখক লিখেছেন, জ্যোৎস্না ছিল সেদিন বাইরে।
১৬. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
১৬.১. কীভাবে গেলে পৌঁছোনো যায় কালিম্পঙের গ্রেহামস হোম-এ? এই হোমটির বিশিষ্টতা কী ?
উত্তর - : কালিম্পং-এ বড় চার্চের পাশ দিয়ে গ্রাহামের সম্মানে আরোহণ করা যেতে পারে। সাহেব-সুবোর অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান এবং একাকী ছেলেমেয়েরা এখানে পড়াশোনা করত। পুরো পাহাড়ের মধ্যে এটি একটি বিখ্যাত স্থান। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রকৃত সাহাব-মাদের হাতে।
১৬.২. ২৫ বৈশাখের 'যুগান্তর' পত্রিকার প্রথম পাতায় শিল্পীর আঁকা যে বিশেষ রেখাচিত্রটি প্রকাশ পেয়েছিল, তার বিষয় কী ছিল? রবীন্দ্র-জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ হিসেবে ছবির এই বিষয়টি তোমায় যথার্থ মনে হয় কিনা, লেখো।
উত্তর - শিল্পীর হাতে সৃষ্ট কবির স্কেচ, গ্রাম-শহর-দেশ-মহাদেশ, ধবলধরের পর্বতশৃঙ্গের মতো দিগন্তের ওপরে উঠে আসা কবির মাথা। আমার মনে হয় শিল্পী কবির সম্পর্কে একটি সাধারণ তুলনা করেছেন। এটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, হিমালয়ের চেয়েও বড়, যার কৃতিত্ব ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শিল্পী দেশবাসীকে যায়।
১৬.৩, 'কাজটি দূহ, অনেকদিন সময় লাগবে' — কোন্ কাজটি সম্পন্ন করবার ইচ্ছে লেখককে জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ? কেন সে-কাজ করার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর? কার সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন ওই কাজে?
উত্তর - কবি একবার নিজের হাতে সমগ্র মহাভারত লিখতে চেয়েছিলেন। মহাভারতের মতো মহাকাব্য পৃথিবীতে আর নেই। তাই কবি সেই কাজটি করতে চেয়েছিলেন। কবি সেই কাজে বৈদান্তিক আইনজীবী হীরেন দত্তের সাহায্য চেয়েছিলেন।
১৬.৪. 'এ ছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায় হে?’–কোন্ প্রসঙ্গে এই পরিহাস রবীন্দ্রনাথের?
উত্তর - লেখক কালিম্পংয়ের একটি অভিজাত গ্রামের সামনে একটি সরু গলিতে নেমে একটি মন্দির চত্বরে থামলেন। সেখানকার লোকেরা মন্দিরটিকে ঠাকুরবাড়ি বলে। কবিগুরু কোথা থেকে এসেছেন জানতে চাইলে লেখক সেই ঠাকুরবাড়ির নাম বললেন। লেখকের মুখে নতুন ঠাকুরবাড়ির নাম শুনে কবি এভাবে ব্যঙ্গ করলেন।
১৬.৫. ‘কবি সেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।’ ‘বাগে পেয়েছিলেন' —এই বিশিষ্ট ক্রিয়াপদটির অর্থ কী? তাঁকে কবির 'বাগে পাওয়ার কী পরিচয় রয়েছে লেখকের সেদিনের বিবরণে?
উত্তর - “বাগে পেয়েছিলেন' ক্রিয়াপদটির অর্থ হাতের মুঠোয় পাওয়া বা নাগালের মধ্যে পাওয়া।
লেখক ঠাকুরবাড়িতে এসেছেন শুনে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নানা ব্যঙ্গাত্মক বাক্যাংশ দিয়ে উত্যক্ত করতেন। কবির কটাক্ষ শুনে উপস্থিত সকলে জোরে জোরে হাসতে থাকে। ফলে লেখক আর কোনো উত্তর না দিয়ে বিব্রতকর এই বক্তব্য দিয়েছেন।
১৬.৬, কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না, এই উপলক্ষে তার প্রথম উদ্বোধন'–কোন্ বিশেষ উপলক্ষে, কীভাবে
এই উদবোধন সম্পন্ন হল ?
উত্তর - ২৫ বৈশাখে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে কালিম্পং-এ নতুন স্থাপিত টেলিফোন লাইনের উদ্বোধন করা হয়। কবির চেয়ারের সামনে একটি টেলিফোন ডিভাইস রাখা হয়েছিল। ঠিকমতো কাজ করবে কিনা দেখার জন্য, লেখক বেতার বিশেষজ্ঞ প্রধানকে বললেন, 'হ্যালো ক্যালকাটা হ্যালো', সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা থেকে উত্তর পেলেন 'ও-কে'। তারপর কবি নিজেই নিজের চেয়ারে বসে টেলিফোনে মুখ দিয়ে তাঁর জন্মদিনে লেখা একটি নতুন কবিতা পাঠ করলেন।
১৬.৭, কিন্তু নৃপেন্দ্রবাবুর ফরমাশ শুনতেই হল' - নাপেন্দ্রবাবু কে? কী ছিল তাঁর ফরমাশ ? কীভাবে তা শুনেছিলেন লেখক ?
উত্তর - নপেন্দ্রবাবু একজন বেতার বিশেষজ্ঞ। তার অনুরোধ ছিল লেখকের কাছে। তিনি লেখককে একটি নগর মখমল-সজ্জিত কবির চেয়ারে বসতে এবং ডিভাইসটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য তার সামনে টেলিফোন সেটে কথা বলতে বলেছিলেন। লেখক অপরিসীম ভক্তি সহকারে কম্পিত চিত্তে সেই আদেশ পালন করেন।
১৬.৮. জন্মদিনে কবির স্বকণ্ঠে বেতার সম্প্রচারিত কবিতা শোনাবার মুহূর্তটি কীভাবে ধরা দিয়েছিল তাঁর
শ্রোতাদের চেতনায় ?
উত্তর - শ্রোতারা রেডিওতে কবির নিজের কণ্ঠে আবৃত্তি করা সদ্য রচিত কবিতাটি শুনলেন যেন তাদের পায়ের তলায় কালিম্পং ঠক্ঠক্ শব্দ করছে। জ্যোৎস্না সেদিন বাইরে ছিল। কবিতার সুরেলা সুরে শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হারিয়ে গেলেন স্বপ্নের জগতে। পাশে দাঁড়িয়ে একে অপরকে ভুলে যাই অস্তিত্ব
১৭. নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
১৭.১. এ-লেখায় একটা হারিয়ে যাওয়া সময়ের ছবি আছে, ভারতবর্ষ তথা বাংলার শ্রেষ্ঠ কয়েকজন সস্তানের কথা আছে, যাঁদের সঙ্গে একসময় তিব্বতের নিবিড় যোগ রচিত হয়েছিল। লেখাটি অনুসরণ করে বাংলার ওই শ্রেষ্ঠ মানুষগুলি সম্পর্কে তোমার যে ধারণা হয়েছে, নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর - প্রায় এক হাজার বছর আগে। সেই সময় বাঙালি অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বৌদ্ধদের সঙ্গে দেখা করতে তিব্বতে গিয়েছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মের বিশুদ্ধ প্রকৃতিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা। বৌদ্ধধর্মের প্রতি তার প্রকৃত ভক্তির স্বীকৃতিস্বরূপ তিব্বতিরা এখনও তাকে বোধিসত্ত্ব হিসেবে পূজা করে। দ্বিতীয় ব্যক্তি, রাজা রাম মোহন রায়, 1773 সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এদেশে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন। তিনি তিব্বতেও গিয়েছিলেন। শরৎচন্দ্র দাস নামে আরেক বাঙালি 19 শতকের শেষের দিকে ছদ্মবেশে তিব্বত ভ্রমণ করেছিলেন। এই মানুষদের কর্ম আমাদের গর্বিত.
১৭.২. এই লেখার একটি প্রধান চরিত্র রবীন্দ্রনাথ আর তাঁর ব্যক্তিত্বময় উপস্থিতি। কালিম্পঙ শহরে অতিবাহিত তাঁর একটি বিশেষ জন্মদিন উদযাপনের সম্পূর্ণ ছবিটি যেভাবে এখানে ফুটে উঠেছে, তার পরিচয় দাও।
উত্তর - রবীন্দ্রনাথ তখন কালিম্পংয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈদান্তিক উকিল হীরেন দত্ত, রথীন্দ্রনাথ, প্রতিমা দেবী, অনিল চন্দ, মৈত্রেয়ী এবং পতিত্রা। এই অনুচ্ছেদের লেখক যেদিন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেদিন ছিল কবির জন্মদিন। এর আগে কলকাতার সঙ্গে কালিম্পং-এর কোনো টেলিফোন সংযোগ ছিল না। তাই কয়েকদিন আগে টেলিফোনের খুঁটি লাগানো হয়েছে এবং সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। কবির জন্মদিন উপলক্ষে ফোনালাপ শুরু হয় কবি নিজেই তার সদ্য লেখা কবিতা আবৃত্তি করে। কবি প্রায় পনের মিনিট ধরে ফোনে কবিতাটি পড়েন। দেশবাসী সেই কবিতা কলকাতা রেডিওতে লাইভ শুনতে ভালোবাসত।
১৭.৩ ইতিহাস-ভূগোলের ইতিবৃত্তে জড়ানো কালিম্পঙ নামে একটা শহরকে নতুন করে চিনতে তোমার কেমন লাগল, একটা অনুচ্ছেদে তা লেখো।
উত্তর - দার্জিলিং জেলার কালিম্পং শহর (বর্তমানে জেলা) সেই জেলার একটি মহকুমা। কালিম্পং অনেক পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। রেনাক রোড কালিম্পং হয়ে তিব্বতে যায়। কিন্তু এ পথ কঠিন ও কঠিন। ভারতের কালিম্পং থেকে তিব্বত সবচেয়ে কাছে। কালিম্পং-এর উত্তরে, রুট বরাবর একটি ড্রেন রয়েছে। কালিম্পং-এ একটি বড় গির্জা রয়েছে যা কালিম্পং-এর একটি ল্যান্ডমার্ক। এটি অতিক্রম করার সাথে সাথে পাহাড়টি বাঁক নেয় এবং অনেক উঁচুতে পরিণত হয়। এখানে একা অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান এবং সাহেবসুবদ শিশুদের জন্য স্কুল রয়েছে। এর নাম গ্রাহাম হাউস।
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>