রচনা বাংলা উৎসব দেখুন এই লিংকে ক্লিক করুন
অষ্টম শ্রেণীর (বাংলা)
পরাজয় গল্প হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
টিকিটের অ্যালবাম গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর দেখুন।
"মাসিপিসি "কবিতার অনুশীলনী প্রশ্ন দেখুন
১.১ শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। ‘দেরারি’।
"লোকটি জানলই না' অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১.২ কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। ক্লাবের নাম ইস্টবেঙ্গল'এবং ‘ক্লাবের নাম মোহনবাগান’
২. নীচের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে লেখো :
২.১ ‘এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কখনও পায়নি।'—এখানে কার দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে?
উঃ। বিখ্যাত খেলোয়াড় রঞ্জন সরকারের কথা বলা হয়েছে।
২.২ রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি?'—এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল?
উঃ। প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন বলেছিল -সে আগের দিন কলকাতার বাইরে গিয়েছিল।
২.৩ গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন্ দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল?
উঃ। গঙ্গার বুকে দূরে কয়েকটা ছোটো বড়ো জাহাজ নোঙর করে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল।
২.৪ সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হলো'।—এখানে রঞ্জনের কোন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে?
উঃ। দুদিনের মধ্যে ক্লাবের কেউ যোগাযোগ না করলে ভালো।,না করলে ও ক্লাব ছেড়ে দেবে।খেলা ছাড়বে না—সে প্রমাণ করে দেবে, যে সে ফুরিয়ে যায়নি।এই সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।
২.৫ ‘ঘোষদা একটা বড়ো খবর আছে—কী সেই ‘বড়ো’ খবর ?
উঃ। ‘ রঞ্জন সরকার তাঁর দীর্ঘদিনের ক্লাব ছেড়ে, স্বপনবাবুদের ক্লাবে আসতে চাইছে।এটাই বড়ো’ খবর ।
২.৬ রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়েছিল ক্লাব কর্তাদের’—কীভাবে ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছে, তা বোঝা গেল?
উঃ। রঞ্জনের ক্লাব বদল করার সংবাদে ক্লাবকর্তারা রঞ্জনের বাড়ি ছোটাছুটি শুরু করলেন। ও জনে জনে ফোন করতে আরম্ভ
করলেন। তার মত বদল করানোর জন্য এই ঘটনা থেকে বোঝা গেল ,ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছে ।
২.৭ ব্যাপারটা কী হলো বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের'—এখানে কোন ব্যাপারটির কথা বলা হয়েছে?
উঃ। বলটা রঞ্জন এর কাছে আসতে রঞ্জন ব্যাকভলি করল ।কেউ কিছু বোঝার আগে বলটা বুলেটের মতো ছুটে গিয়ে ঢুকে গেল গোলে। এটা বুঝতে সময় লাগল সমর্থকদের। ।
২.৮ দুহাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ল একটা বেঞ্চিতে।'—স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের এভাবে শুয়ে পড়ার কারণ কী?
উঃ। খেলা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সত্যি কথা বলতে না পারার ভয়ে ,রঞ্জন পাশের ঘরে গিয়ে দুহাতে মুখ ঢেকে একটা বেঞ্চিতে শুয়ে পড়েছিল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ একটু আগে ও সবকটা কাগজে বারপুজোর রিপোর্ট পড়েছে। এখানে ‘ও’ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে? সে সবকটা কাগজে একই বিষয়ে রিপোর্ট পড়ল কেন?
উঃ। এখানে ‘ও’ বলতে ফুটবলা খেলোয়াড় রঞ্জন সরকার-এর কথা বোঝানো হয়েছে।
কলকাতার একটি বিখ্যাত ক্লাবের দীর্ঘদিনের দক্ষ ফুটবলার হিসেবে ক্লাবের বারপুজো পালিত হলেও তাকে একটা টেলিফোন করেও নিমন্ত্রণ করা হয়নি। এই কারনে অভিমানে তার মন ভরে ছিল। তাই অপমানের যন্ত্রণা থেকেই সে সবকটা কাগজে একই বিষয়ের রিপোর্ট পড়ছিল।
৩.২ ‘ওকে নিয়ে মাতামাতি ঠিক আগের মতো নেই।'—আগে ‘ওকে’ নিয়ে কী ধরনের মাতামাতি হতো?
উঃ। আগে ওকে অথাৎ রঞ্জন সরকার কে নিয়ে প্রতি বছর ফোনের পর ফোন আসত—প্রেসিডেন্টের। তারপর পয়লা বৈশাখে সাতসকালে ক্লাব থেকে মাঠে আসার গাড়ি রঞ্জনের বাড়িতে এসে হাজির হতো। স্নান সেরে রঞ্জন বরিয়ে পড়ত ক্লাবের উদ্দেশ্যে। এভাবে আগে রঞ্জন সরকারকে নিয়ে এই ধরনের মাতামাতি হতো।
৩.৩ ঠিক এক বছর আগের ঘটনা।' -একবছর আগে কোন্ ঘটনা ঘটেছিল?
উঃ। ঠিক এক বছর আগেও রঞ্জনের পুরোনো ফুটবল সেক্রেটারি ও কোচ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কাকে কাকে দলে আনা যায় তাই নিয়ে ওর পরামর্শ এসে তাঁরা স্বল্গুনের সঙ্গে আগামী দল গড়া চেয়েছিলেন।
৩.৪ 'রঞ্জন সারাদিন আর বাড়ি থেকে বেরোয়নি।'—কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?
উঃ।এখানে পয়লা বৈশাখ দিনের কথা বলা হয়েছে ।
৩.৫ রঞ্জন নামগুলো পড়ার চেষ্টা করে।'—রঞ্জন কোন্ নামগুলি পড়ার চেষ্টা করে?
উঃ। গঙ্গার ধারে একটি পার্কের বেঞ্চে বসে, গঙ্গায় দূরে নোঙর করা কটা ছোটো বড়ো জাহাজ দেখতে পায়। সেই জাহাজগুলির নাম পড়ার চেষ্টা করে।
৩.৬ রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল।'—কোন্ কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিলো?
উঃ। টেলিফোনে স্বপনবাবুর আসার কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল।
৩.৭ সত্যি ওরা তোমার সঙ্গে উচিত কাজ করেনি’—কোন্ অনুচিত কাজের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে?
উঃ। দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে একই ক্লাবে খেলেছে রঞ্জন সরকার। ক্লাবের সুখে-দুঃখে জড়িত দীর্ঘদিনের খেলোয়াড় রঞ্জন। এবছর হঠাৎ করে ক্লাবের বারপুজোতে আমন্ত্রণ না করে তার প্রতি ক্লাব কর্তারা যে অসহিব্রু আচরণ করেছেন ,এই অনুচিত কাজের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
৩.৮ মন স্থির করে ফেলেছ তো?’—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন্ বিষয়ে মন স্থির করে ফেলেছে?
উঃ। ক্লাবের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রঞ্জনের সঙ্গে , তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য বড়ো ক্লাবে যোগদান করার বিষয়ে রঞ্জন সরকার মনস্থির করে ফেলেছে।
৩.৯ আপনি সব ব্যবস্থা করুন।'— কোন্ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে?
উঃ। ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে তাদের ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে রঞ্জনের যোগদানের ব্যবস্থা নেওয়ায় অনুরোধ জানিয়েছে।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪.১ রাগে ফুঁসছিল রঞ্জন’—তার এই রাগের কারণ কী?
উঃ। কলকাতার একটি নামী ফুটবল ক্লাবের ফুটবলার রঞ্জন সরকার ক্লাবের জন্য অনেক অবদান ছিল।তার ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পনেরো বছর ধরে ।সে ক্লাবের সুখে-দুঃখে জড়িয়ে ছিল।শত প্রলোভনেও সে ক্লাব ছেড়ে যায়নি। লক্ষ লক্ষ টাকার, বিশাল চাকরির হাতছানি সে হাসতে হাসতে ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবছর বারপুজোয় তাকে নিমন্ত্রণকরা হলো না। এমনকি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা পয়লা বৈশাখে ক্লাবের বারপুজো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলো না। তার প্রিয় ক্লাবের এই দুর্ব্যবহারে রঞ্জন রাগে ফুঁসছিল।
৪.২ ‘এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কোথাও পায়নি'—এই দুঃখ-যন্ত্রণার দিনে কীভাবে অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথারঞ্জনের মনে এসেছে?
উঃ। দীর্ঘ পনেরো বছর ক্লাবের একজন ভালো স্ট্রাইকার ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে অবদান রাখার পর বারপুজো অনুষ্ঠানে এবছর ক্লাবের তার প্রতি উদাসীন ব্যবহারে ব্যথিত রঞ্জনের অতীতের হারানো দিনগুলির স্মৃতি মানসপটে ভেসে ওঠে। আগে প্রত্যেক বছর পয়লা
বৈশাখে বারপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ক্লাব প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে ক্লাব সেক্রেটারি, গেম সেক্রেটারি সকলের ফোনের পর ফোন আসার কথা ।এই অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথারঞ্জনের মনে এসেছে।
প্রধান শিক্ষকের নিকট পত্রগুলি দেখুন