Class 6 গণিত কষে দেখি (Koshe Dekhi) - 22.2 | Page - 263

Class 6 গণিত কষে দেখি- 22.2 | Page - 263 | WBBSE

কষে দেখি- 22.1 >> Click Here

কষে দেখি 22.2

1. স্কেল ও পেনসিলের সাহায্যে AB একটি সরলরেখাংশ আঁকি যার দৈর্ঘ্য 5 সেমি.। হাতেকলমে কাগজ ভাঁজ করে AB সরলরেখাংশের লম্ব-সমদ্বিখণ্ডক আঁকি। স্কেল দিয়ে মেপে দেখি AB সরলরেখাংশের সমদ্বিখণ্ডক অংশ দুটির দৈর্ঘ্য কত পেলাম।

অঙ্কন প্রণালী : একটি মোটা কাগজ নেওয়া হল ও তার মাঝ বরাবর AB একটি সরলরেখাংশ আঁকা হল। কাগজটি এমনভাবে ভাঁজ করা হল যেন A ও B বিন্দু দুটি মিলে যায়। ভাঁজ করা অংশে একটি সরলরেখাংশ CD আঁকা হল। CD সরলরেখাংশটি AB সরলরেখাংশের লম্ব সমদ্বিখণ্ডক।

2. স্কেল ও পেনসিলের সাহায্যে ৪ সেমি. দৈর্ঘ্যের একটি সরলরেখাংশ এঁকে স্কেল ও পেনসিল কম্পাসের সাহায্যে সরলরেখাংশটিকে সমদ্বিখণ্ডিত করে প্রতি খণ্ডের দৈর্ঘ্য মাপি।

অঙ্কন প্রণালী : ৪ সেমি দৈর্ঘ্যের AB সরলরেখাংশ নেওয়া হল। A বিন্দু থেকে অর্ধেকের বেশি ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্তাপ আঁকা হল, B বিন্দু দিয়েও একটি বৃত্তচাপ আঁকা হল। বৃত্তচাপদুটির ছেদ বিন্দু যুক্ত করে DE সরলরেখাংশ পাওয়া গেল। DE সরলরেখাংশটি AB সরলরেখাংশটিকে C বিন্দুতে সমদ্বিখণ্ডিত করেছে। স্কেলের সাহায্যে মেপে দেখা গেল AC = CB = 4 সেমি।

3. স্কেল ও পেনসিলের সাহায্যে 6 সেমি. দৈর্ঘ্যের সরলরেখাংশ PQ আঁকি। PQ সরলরেখাংশকে ব্যাস করে বৃত্ত আঁকি।

অঙ্কন প্রণালী : 6 সেমি দৈর্ঘ্যের PQ রেখাংশ আঁকা হল। এখন P ও Q বিন্দু থেকে অর্ধেকের বেশি ব্যাসার্ধ নিয়ে যথাক্রমে দুটি বৃত্তচাপ অঙ্কিত হল ও তাদের ছেদবিন্দুদ্বয় যুক্ত করে MN লম্ব সমদ্বিখণ্ডক অঙ্কিত হল যা PQ-কে O বিন্দুতে ছেদ করে। এখন O বিন্দুকে কেন্দ্র করে OP ব্যাসার্ধ নিয়ে বৃত্ত আঁকলে তা Q বিন্দু দিয়েও যাবে। অর্থাৎ PQ হবে বৃত্তের ব্যাস।

4. স্কেল ও পেনসিলের সাহায্যে AB একটি ৪ সেমি. দৈর্ঘ্যের সরলরেখাংশ আঁকি। এই AB সরলরেখাংশকে সমান চার ভাগে ভাগ করি ও প্রতি ভাগের দৈর্ঘ্য মাপি ।

অঙ্কন প্রণালী : ৪ সেমি দৈর্ঘ্যের AB রেখাংশ নেওয়া হল। A বিন্দু থেকে যে-কোনো কোণে একটি সরলরেখাংশ অঙ্কিত হল AP। এখন AP থেকে চারটি অংশ সমান মাপে F, G, H এবং I বিন্দুতে বৃত্তচাপ দ্বারা একই ব্যাসার্ধ মাপে কেটে নেওয়া হল। I এবং B বিন্দু যোগ করা হল। এখন ZAIB-এর সমান করে H, G এবং F বিন্দু থেকে কোণগুলি আঁকা হল যারা AB রেখাংশকে C,D ও E বিন্দুতে ছেদ করে। এখন ৪ সেমি দৈর্ঘ্যের AB রেখাংশ C,D এবং E বিন্দুতে সমান চারটি অংশে বিভক্ত হল।

5 . দুটি বৃত্ত আঁকি যাদের ব্যাস যথাক্রমে 5 সেমি. ও 7 সেমি. ।

6. মাসুম একটি ত্রিভুজ ABC আঁকল। তারপর স্কেল ও পেনসিল কম্পাসের সাহায্যে সে ত্রিভুজের BC, AC ও AB বাহু তিনটির লম্বসমদ্বিখণ্ডক আঁকল। ঐ লম্বসমদ্বিখণ্ডক তিনটি সমবিন্দু হলো কিনা সে দেখল। যদি সমবিন্দু হয় ঐ বিন্দুর নাম দিল O; এরপর O বিন্দুকে কেন্দ্র করে AO রেখাংশের সমান ব্যাসার্ধ্যের দৈর্ঘ্য নিয়ে একটি বৃত্ত আঁকল।

অঙ্কন প্রণালী : ABC একটি ত্রিভুজ আঁকা হল। এখন BC বাহুর B ও বিন্দু দিয়ে অর্ধেকের বেশি ব্যাসার্ধ নিয়ে দুটি বৃত্তচাপ অঙ্কন করা হল ও তাদের ছেদিতাংশ যুক্ত করে PQ লম্ব-সমদ্বিখণ্ডক আঁকা হল। একইভাবে AB ও AC বাহু থেকে যথাক্রমে GH ও RS লম্ব-সমদ্বিখণ্ডক পাওয়া গেল। লম্ব-সমদ্বিখণ্ডক তিনটি O বিন্দুতে ছেদ করে। এখন O বিন্দুকে কেন্দ্র করে OA ব্যাসার্ধ নিয়ে বৃত্ত আঁকলে তা B ও C বিন্দু দিয়েও যাবে।