ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Class 6 | Chapter 1 | WBBSE

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখাভরদুপুরেকবিতার সমস্ত প্রশ্নউত্তর | West Bengal Board class 6 Bengali Textbook chapter 1 Poem ভরদুপুরে All Questions And Answers 

 

. নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান কোথায়?

উত্তরঃ - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায়

 

. নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখ

উত্তরঃ - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা কাব্যগ্রন্থ গুলি হলোঅন্ধকার বারান্দা', 'নীলনির্জন', 'কলকাতার যীশু'' উলঙ্গ রাজা'

 

. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ

 

. অশ্বত্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন?

উত্তরঃ - অশ্বত্থ গাছের ছায়ায় ক্লান্ত পথিক আশ্রয় নেওয়ার সময় এই গাছ তার ছড়ানো ডালপালা পাতার ছায়ায় পথিকদের রোদ বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে, তাই অশ্বত্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে

 

. রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কী দেখছে?

উত্তরঃ - গোরক্ষক রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে আকাশে মেঘগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে তা দেখছে

 

. নদীর ধারে কোন্ দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে?

উত্তরঃ - কাদের একটি বড়ো নৌকা বাঁধা রয়েছে তার খোলের মধ্যে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করা রয়েছে


৩. একই অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখ

i. তৃণ- ঘাস

ii. তটিনী- নদী

iii. গোরক্ষক- রাখাল

iv. পৃথিবী- বিশ্বভুবন

v. জলধর- মেঘ

 

৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলোকে বিশেষণে বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তিত করোঃ

 

বিশেষ্য

বিশেষণ

ঘাস

ঘেসো

রাখাল

রাখালিয়া

আকাশ

আকাশি

মাঠ

মেঠো

আদর

আদুরে

লোক

লৌকিক

গাছ

গেছো

 

৫. নীচের দেওয়া শব্দগুলির সঙ্গে উপসর্গ যোগ করে নতুন শব্দ তৈরি করোঃ           

 

        শব্দ       

       উপসর্গ       

      নতুন শব্দ    

        নদী   

       উপ 

       উপনদী

       আদর  

       অনা  

       অনাদর

       বাতাস   

        সু  

       সুবাতাস

 ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর


৬. নীচের বাক্য বা বাক্যাংশগুলির উদ্দেশ্য বিধেয় চিহ্নিত করে উদ্দেশ্য অংশের সম্প্রসারণ করোঃ

 

. ওই যে অশথ গাছটি, তো পথিকজনের ছাতা

উদ্দেশ্য - অশথ গাছটি

বিধেয়  - ওই যে, তো পথিকজনের ছাতা

উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ - ঘন সবুজ রাস্তার পাশে অশথ গাছটি

সম্প্রসারিত অংশ - ঘন সবুজ রাস্তার পাশে

 

. কেউ কোথা নেই, বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো

উত্তরঃ - উদ্দেশ্য - বাতাস

বিধেয়- কেউ কোথা নেই, ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো

উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ-মৃদুমন্দ দক্ষিণা বাতাস

সম্প্রসারিত অংশ- মৃদুমন্দ দক্ষিণা


. আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে

উত্তরঃ - উদ্দেশ্য- বিশ্বভুবন

বিধেয়- আঁচল পেতে ঘুমোচ্ছে এইখানে

উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ-জনসমাগম বিশ্বভুবন

সম্প্রসারিত অংশ- জনসমাগম

 

৭. বিশ্বভুবন শব্দে বিশ্ব আর ভুবন শব্দদুটির একত্র উপস্থিতি রয়েছে যাদের একই অর্থ এমন পাঁচটি নতুন শব্দ তুমি তৈরি করোঃ

উত্তরঃ - ঘরবাড়ি, হাটবাজার, লজ্জাশরম, রাজাবাদশা, মাঠময়দান

 

৮. ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করো (কোনটিতে কাজ চলছে কোনটিতে বোঝাচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে):

 

. চরছে দূরে গোরুবাছুর

উত্তরঃ - চরছে  = বর্তমান কাল ( ঘটমান কাজ চলছে)

 

. দেখছে রাখাল মেঘগুলো যায় আকাশটাকে ছুঁয়ে

উত্তরঃ - যায়  = বর্তমান কাল ( ঘটমান- কাজ চলছে

 

. নদীর ধারে বাঁধা কাদের ওই বড়ো নৌকাটি

উত্তরঃ - বাঁধা  = বর্তমান কাল ( পুরাঘটিত কাজ শেষ হয়ে গেছে

 ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর


. নীচের বাক্যগুলির গঠনগত শ্রেণিবিভাগ করাে (সরল/যৌগিক/জটিল) :

. তলায় ঘাসের গালচেখানি আদর করে পাতাসরল বাক্য

. ওই যে অশথ গাছটি, তাে পথিকজনের ছাতাজটিল বাক্য

. ভরদুপুরে যে যার ঘরে ঘুমােচ্ছে লােকগুলােজটিল বাক্য

. যে জানে সেই জানেজটিল বাক্য

 

১০. ‘ওই যে অশথ গাছটি...অংশেওইএকটি দূরত্ববাচক নির্দেশক সর্বনাম এমন আরও কয়েকটি সবনামের উদাহরণ দাও যেমন, উহা, উনি, ওঁরা ইত্যাদি

উত্তরঃ - এই, ওই, এরা, এগুলি, এগুলাে ইত্যাদি

 

১১. “পথিকজনের ছাতা”-সম্বন্ধপদটি চিহ্নিত করাে কবিতায় থাকা সম্বন্ধ পদ খুঁজে লেখাে আর নতুন সম্বন্ধ পদযুক্ত শব্দ তৈরি করাে যেমনগােঠের রাখাল, দুপুরের ঘুম

 উত্তরঃ - নদীর ধারে, খড়ের আঁটি, খােলের মধ্যেকবিতার সম্বন্ধ পদ সিল্কের জামা, রাস্তার জল, হাঁসের ডিম, মাছের কাটা, পথের শ্রমকবিতার বাইরে সম্বন্ধ পদ

 

১২. ‘ওই বড়াে নৌকাটিবলতে বােঝায় একটি নৌকোকে নৌকার সঙ্গে এখানেটিনির্দেশক বসিয়ে একবচন বােঝানাে হয়েছে এরকম একটিমাত্র একবচনের রূপ বােঝাতে কোন্ কোন্ নির্দেশক ব্যবহৃত হতে পারে, তা উদাহরণ দিয়ে লেখাে

 

উত্তরঃ - একবচন বা একটি বােঝানাের জন্য টি, টা, খানি, খানা, গাছি, গাছা ইত্যাদি নির্দেশক ব্যবহার করা যায় যেমনবইটি, ছাতাখানি, বালাগাছা ইত্যাদি

 

১৩. কবিতা থেকে বহুবচনের প্রয়ােগ রয়েছে এমন শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো প্রসঙ্গত শব্দকে আর কী কী ভাবে আমরা বহুবচনের রূপ দিতে পারি, তা উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও

উত্তরঃ - কবিতায় ব্যবহৃত বহুবচনযুক্ত পদগুলি হললােকগুলাে, মেঘগুলাে একবচন শব্দকে বহুবচন করার নিয়মাবলি :

. একবচন শব্দের আগে, সব, সকল, সমস্ত ইত্যাদি শব্দ যােগ করলে বহুবচন হয় যেমনসকল বালিকা, সব ছেলে, সমস্ত প্রশ্ন

. একবচন শব্দের শেষে রাজি, বৃন্দ, শ্রেণি, মালা, সমূহ ইত্যাদি শব্দযােগে বহুবচন করা যায় যেমনশব্দরাজি, দর্শকবৃন্দ, বৃক্ষশ্রেণি, মেঘমালা, ছাত্রসমূহ ইত্যাদি

. একবচন শব্দের সঙ্গে গুলি, গুলাে, রা, এরা, দিগকে ইত্যাদি শব্দ যােগ করলে বহুবচন হয় যেমনবালকগুলি, ছেলেগুলাে, মেয়েরা, খেলােয়াড়দিগকে ইত্যাদি

 ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর


১৪. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখাে :

 

১৪.আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমােচ্ছে এইখানে-কবির এমন ভাবনার কারণ কী?

উত্তরঃ - ভরদুপুরেকবিতায় আমরা অলস মধ্যাহ্নে রাখাল বালক, নৌকার মাঝি এবং লােকজনকে স্ব স্ব স্থানে বিশ্রামরত অবস্থায় বা নিদ্রামগ্ন অবস্থায় দেখছি বােধ হচ্ছে যেন মানুষের সঙ্গে সারা প্রকৃতিও ঘুমাচ্ছে তাই পরিবেশ নীরব এবং একটা নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে তাই কবি মনে করেছেন যে সারা পৃথিবী যেন নিদ্রামগ্ন

 

১৪. ভরদুপুরেকবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায় কবিতায় ফুটে ওঠা সেই | ছবিটি কেমন লেখাে

উত্তরঃ - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর 'ভারুপুরে' কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি এঁকেছেন একটি ঘোড়া গাছ গ্রীষ্মের বিকেলে পথচারীদের জন্য ছাতা হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে গাছের নিচে নরম ঘাস পাতার গালিচা দূরে মাঠে গরু চরছে একটি রাখাল ছেলে ঘোড়া গাছের নিচে আকাশে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে কেউ নদীতে বাঁধা বড় নৌকা এটি শুকনো খড়ের একটি বান্ডিল নিয়ে গঠিত আশেপাশে কেউ নেই এই নির্জন বিকেলে বাতাস মিহি সাদা ধুলো উড়ছে ভরদুপুরে নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছে গ্রামবাসীরা গ্রামে এক অদ্ভুত নীরবতা বিরাজ করছে তাই কবি মনে করেন, এই নির্জন বিকেলে শুধু মানুষ নয়, বিশ্বজগত অর্থাৎ প্রকৃতিও ঘুমিয়ে আছে এই সার্বজনীন প্রকৃতির নিদ্রা যে অনুভব করার ক্ষমতা রাখে একমাত্র সে- বুঝতে পারে


কবিতার সারসংক্ষেপ অনুসরণে নিজে লেখাে

 

১৪. কোনাে এক ছুটির দিনে দুপুরবেলায় তােমার বাড়ির চারপাশ জুড়ে কেমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তা জানিয়ে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখাে

বেলডাঙ্গা, হুগলি

২২--22

প্রিয় রাহুল,

তাের চিঠি পেয়ে আমার মনটা ভরে গেল তাের কথামতাে আমার চারপাশের এক অলস মধ্যাহ্নের বিবরণ তােকে জানাতেই এই চিঠি লিখছি

তুই তাে জানিস আমার গ্রামে বাড়ি যা শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত গতকাল রবিবার থাকায় আমার স্কুল | বন্ধ ছিল মধ্যাহ্নভােজ সেরে আমি ঘরের জানালায় এসে বসলাম, আমার ঘর থেকেই দিগন্তবিস্তৃত মাঠ দেখা যায় মাঠের ধারে ধারে সারি সারি গাছ দাঁড়িয়ে আছে মাঠে গােরুবাছুর আনন্দে বিচরণ করছে কয়েকজন রাখাল বালক লাঠি হাতে আমগাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে রাস্তাঘাট শুনশান হালকা বাতাস বইছে দূরে দিকচক্রবালে মরীচিকা দেখা যাচ্ছে যেহেতু আমার নির্জন নিসর্গপ্রকৃতি খুব ভালাে লাগে, তাই এই দুপুরটি আমি আশ মিটিয়ে উপভােগ করলাম

 ভালােবাসানিস ভালাে থাকিসপিতামাতাকে ভালবাসা দিস |

ইতি

তাের আদরের বন্ধু

রাজ

ডাকটিকিট

প্রতি,

রাহুল মুখার্জি

প্রযত্নেজয়দীপ মুখার্জি

জলসাপুকুর, হুগলি



<< Read More >>

Class 6 English (Blossoms) Solutions >> 

Click Here

 

Class 6 Bengali (সাহিত্যমেলা ) Solutions >> 

Click Here

 

Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান  Solutions >> 

Click Here


Class 6 অতীত ও ঐতিহ্য Solutions >> 

Click Here


Class 6 গণিত প্রভা  Solutions >> 

Click Here

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post