পাগলা গণেশ (Pagla Ganesh) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE
পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর
সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
1.১. ' পাগলা গণেশ ' একটি কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক গল্প |
1.২. ' অবজার্ভেটরি ' - র বাংলা প্রতিশব্দ নিরীক্ষণাগার ।
1.৩. সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ।
1.৪. গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল ৩৪৩৯ সালে ।
সংক্ষেপে উত্তর দাও :
2.১ “ সালটা ৩৫৮৯ । ”
— এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে ?
উত্তর - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পটি একটি কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি । আলোচ্য গল্পে ৩৫৮৯ সাল নাগাদ পৃথিবীতে কেমন অবস্থা তৈরি হতে পারে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন লেখক । উক্ত সময়ে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ঘটবে পৃথিবীতে । যেমন — ওই সময়ের মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কৃত হবে , যার ফলে পৃথিবীতে নানারকম উড়ানযন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে যাবে । মানুষ মৃত্যুঞ্জয়ী টনিক আবিষ্কার করবে , সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হবে এবং জানা যাবে যে সূর্যের আর কোনো গ্রহ নেই । ইতিমধ্যে চাঁদ , মঙ্গল , শুক্র গ্রহে মানুষ ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে ।
2.২. “ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না
। ” — ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে কী
বোঝানো হয়েছে ? তাকে সত্যিই তোমার ‘ অনাবশ্যক ' বলে মনে হয় কি ?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । ‘ অনাবশ্যক ভাবাবেগ ’ বলতে কিছু শিল্পসৃষ্টির কথা বলা হয়েছে । যেমন — কবিতা , গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য , নাটক , সিনেমা প্রভৃতির চর্চা । আলোচ্য গল্পে লেখক ৩৫৮৯ সালের যে সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন , সেই সময়ে মানুষ বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছুর চর্চাই করবে না হয়তো , তাই তাদের কাছে মনের আবেগের কোনো মূল্য থাকবে না । তাই শিল্পেরও কোনো মর্যাদা থাকবে না । কিন্তু আমার মনে হয় মনের আবেগ হারিয়ে গেলে পৃথিবীটা মরুভূমির মতোই রুক্ষ হয়ে পড়বে । পৃথিবীকে তথা মানুষকে তো বাঁচিয়ে রাখবে মনের আবেগ । কবিতা , গান , ছবি আঁকা প্রভৃতি চর্চা করলে , এগুলির মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাবে । তাই কবিতা , গান , আঁকা প্রভৃতির চর্চাকে ‘ অনাবশ্যক ’ মনে করি না ।
2.৩. " “ চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না । ”
— মানুষের মন
থেকে কোন্ কোন্ অনুভূতিগুলি হারিয়ে গেছে ?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি ‘ পাগলা গণেশ ’ থেকে নেওয়া হয়েছে । মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে সৌন্দর্য , দয়া - মায়া - করুণা প্রভৃতির অনুভূতি । এইসব অনুভূতিগুলির আর প্রয়োজন না থাকায় , মানুষের জীবনে এসবের চর্চাও আর হয় না ।
2.৪. “ ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে । ”
— ব্যতিক্রমী মানুষটি কে ? কীভাবে তিনি ‘ ব্যতিক্রম ’ হয়ে উঠেছিলেন ?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে । এখানে ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন স্বয়ং পাগলা গণেশ । এই গল্পে বর্ণিত ৩৫৯৮ সালেরও ১৫০ বছর পূর্বে যখন ‘ মৃত্যুঞ্জয় ‘ টনিক ’ আবিষ্কৃত হয় , তখন অন্য অনেকের মতো গণনাও তার ৫০ বছর বয়সে তা পান করেন এবং তার আর মৃত্যু হয় না । প্রায় সমসময় থেকেই শিল্পবিরোধী আন্দোলনও শুরু হয় । মানুষের কাছে তখন থেকেই বিজ্ঞান হয়ে ওঠে চর্চার একমাত্র বিষয় । চর্চার বিষয় থেকে অনিবার্যভাবে বাদ পড়ে যায় সাহিত্য , শিল্প , সংগীত । বিষয়গুলিকে মানুষ অনাবশ্যক বলে বিবেচিত করে । সমকালীন ঘটনার এই গতিপ্রকৃতি গণেশের পছন্দ হয় না । বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও যে একটা সীমা থাকা দরকার এ তার মনে হয় । তাই একক প্রচেষ্টায় কালের গতিকে উলটো দিকে ফেরানোর ব্যর্থ চেষ্টা না করে গণেশ আশ্রয় নেন সভ্যসমাজ থেকে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহায় । একান্ত নির্জনে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টায় গণেশ করতে শুরু কবিতাচর্চা , গান গাওয়া , ছবি আঁকার সাধনা । এভাবেই তিনি বেগের যুগে আবেগনির্ভরতার পথে , যুগবিরুদ্ধ কাজ করে ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠেন ।
2.৫. “ ও
মশাই , অমন বিকট শব্দ করছেন কেন ? ” — কার উদ্দেশে কারা এ
কথা বলেছিল । কোন কাজকে তারা ‘ বিকট শব্দ ' মনে করেছিল ?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । কথাগুলি বলা হয়েছিল পাগলা গণেশের উদ্দেশে । দুটি পাখাওয়ালা লোক কথাগুলি বলেছিল । পাগলা গণেশের গানের গলা ভালোই ছিল । একদিন সন্ধেবেলা তিনি গলা ছেড়ে গান গাইতে শুরু করেন । সেইসময় দুটো লোক আকাশযানে চড়ে লাসা থেকে ইসলামাবাদ উড়ে যাচ্ছিল , যেতে যেতে তাদের কানে পাগলা গণেশের গানের শব্দ পৌঁছোয় । তারা গণেশের গানের কোনো অর্থ বা আবেগ বুঝতে পারে না , তাই তারা বিরক্ত হয় । তাদের মনে হয় ওই গানের আওয়াজ বিকট শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয় । অর্থাৎ ব্যতিক্রমী মানুষ পাগলা গণেশের গলা ছেড়ে গান গাওয়াকেই মানুষরা মনে করে ‘ বিকট শব্দ ’ ।
2.৬. “ গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে । ” — গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে ? তার এই
ভুলে যাওয়ার কারণ কী
বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ' নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । গণেশের তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে । তাদের মুখশ্রী তিনি একেবারে ভুলে গেছেন । গণেশ নিজে যেমন কৃতী মানুষ , তেমনই তার ছেলেমেয়েরাও প্রত্যেকেই এক - একজন কৃতী বিজ্ঞানী । বিগত একশো বছর ধরে ছেলেমেয়েদের দেখতে না পাওয়ার জন্যই পাগলা গণেশ ছেলেমেয়েদের মুখশ্রী ভুলে গেছেন ।
2.৭.‘ গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল , ” – কে , কী
বলেছিল ? তার এভাবে তাকে সম্মান জানানোর কারণটি কী
?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । একজন পুলিশম্যান গণেশকে সম্ভ্রমের সঙ্গে অভিবাদন জানিয়ে বলেছিল — তিনি যে পাহাড়ময় এত কাগজ ছড়িয়ে দিচ্ছেন , তার কারণ কী ? এটা কী নতুন কোনো বিষয়ে গবেষণা ?
একদিন গণেশ যখন আপন মনে কবিতা লিখে বাতাসে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন , তখন আকাশ থেকে একটা পিপে মাটিতে নেমে আসে । তার মধ্য থেকে একজন পুলিশম্যান বেরিয়ে এসে গণেশকে ‘ স্যার ’ বলে অভিবাদন জানায় । গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স পড়াতেন , তখন তার ছাত্র ছিল ওই পুলিশম্যান । তাই মাস্টারমশাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সে সসম্ভ্রমে তাকে ‘ স্যার ' অভিবাদন জানিয়ে সম্মান জানিয়েছে ।
2.৮. “ আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি । ”
— বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল ? তার প্রয়াস শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল কি
?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ' পাগলা গণেশ ’ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । উক্তিটির বক্তা হলেন গণেশ নিজেই । গণেশ ছবি এঁকে , কবিতা লিখে , গান গেয়ে পৃথিবীকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন ।
গণেশের প্রয়াস যে শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল , গল্পশেষে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে । রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গণেশের একক প্রচেষ্টার খবর পেয়ে তাঁর বিমান থেকে গনেশের ডেরায় নেমে যে উক্তি করেছিলেন , তাতেই সেই ইঙ্গিত রয়েছে । তিনি বলেছিলেন — ‘ লোকে গান গাইতে লেগেছে , কবিতা মকসো করছে , হিজিবিজি ছবি আঁকছে । ' অর্থাৎ গণেশের প্রয়াস যে ব্যর্থ হয়নি , তা নিঃসন্দেহে বোঝা যায় ।
2.৯. “ লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল , ” — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? সে
কী বলল ? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী ?
উত্তর - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ গল্পের উদ্ধৃত অংশে ‘ লোকটা ’ অর্থাৎ পুলিশম্যানের কথা বলা হয়েছে , যে একসময় পাগলা গণেশের ছাত্র ছিল ৷
সে গণেশের কবিতা পড়ে অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল যে , সে কিছুই বুঝতে পারছে না । কোনোদিনই সে এ জিনিস পড়েনি এবং তাদের সময়ে শিক্ষানিকেতনে এসব পড়ানো হত না । এ আসলে উক্ত পুলিশম্যানের আমলে শিক্ষানিকেতনে কবিতা পড়ানো হত না । ফলে কবিতার সঙ্গে পুলিশম্যানের কোনো সম্পর্কই ছিল না । গণেশের কবিতা পড়ে সে কিছুই বুঝতে পারেনি । গণেশের কবিতার ভাব বা আবেদন তার মাথাতেই ঢোকেনি । এই কারণেই সে অসহায়ভাবে মাথা নেড়েছিল ।
2.১০. “ তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল । ” — এই
তিনজন কারা ? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী ?
উত্তর - প্রশ্নোক্ত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ পাগলা গণেশ ’ নামক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে নেওয়া হয়েছে । আলোচ্য অংশের তিনজন হলেন গণেশের প্রাক্তন ছাত্র পুলিশম্যান , পুলিশম্যানের মা এবং স্ত্রী ।
পুলিশম্যান গণেশের কবিতা পাঠ করে কিছুই বুঝতে না পেরে চলে গেলেও পরের দিনই সে তার স্ত্রী এবং মা - কে নিয়ে আসে গণেশের কাছে , গণেশের কবিতা শোনার জন্য । গণেশ তাদের দেখে খুশি হয় এবং তাদের কবিতা শোনায় । তবে শুধু তাই নয় , গণেশ তাদের গান শোনায় এবং ছবিও দেখায় । গণেশের এই শিল্পকর্মে পুলিশম্যান , তার মা ও স্ত্রী মোহিত হয়ে পড়ে । তারা যেন কোনো অনাস্বাদিত বস্তুর রস আস্বাদন করতে থাকে । তাই তারা গণেশের কবিতা , গান শুনে এবং ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল ।
৩. ‘পাগলা গণেশ' গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তোমার কেমন লাগল ?
উত্তর - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত 'পাগলা গণেশ' গল্পে গণেশের বয়স বর্তমানে দুশো বছর। তাঁর বয়স যখন পঞ্চাশ বছর ছিল তখন সে মৃত্যুঞ্জয় টনিক সেবন করেন এবং তাঁর মৃত্যু বন্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞান নিয়ে সর্বত্র বাড়াবাড়ি গণেশ মেনে নিতে পারেনি। সে মানুষের মনে দয়া, মায়া, করুণা, ভালোবাসাকে ধরে রাখার জন্য কবিতা লিখত, ছবি আঁকত, গান গাইত। কিন্তু বিজ্ঞানের যুগে প্রত্যেকটি মানুষ যন্ত্রের মতো কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠায় কেউই তাঁর কবিতা, আঁকা ছবি বা গানের মর্যাদা দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত গণেশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ পৃথিবীর মানুষ গান গাইতে লাগল, কবিতা পড়ে আনন্দ উপভোগ করল, সেই সঙ্গে হিজিবিজি ছবি আঁকা শুরু করল। গণেশ এভাবে বিজ্ঞানের যুগে মানুষের মনে দয়া, মায়া, করুণা, ভালোবাসা, হাসির রসদ জুগিয়ে তাদেরকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছিল। এদিক থেকে গণেশের চরিত্র আমাকে মুগ্ধ করে।
৪. অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলির পরিবর্তে নতুন শব্দ বসাও :
৪.১ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
উত্তর - ও অহেতুক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
৪.২ কেউ ঠাট্টা বিদ্রুপ করল না।
উত্তর - কেউ ইয়ার্কি ফাজলামি করল না।
৪.৩ দুনিয়াটা বেঁচে যাবে।
উত্তর - পৃথিবীটা
বেঁচে যাবে।
৪.৪ মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।
উত্তর - মহাসচিব তাঁর আকাশযান থেকে নামলেন গণেশের বাসায়।
৪.৫ গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
উত্তর - গণেশকে
সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
৪.৬ লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে।
উত্তর - লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা অভ্যাস করছে।
৪.৭ হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা, তা নয়।
উত্তর - হিমালয় যে খুব নিরিবিলি জায়গা, তা নয়।
৪.৮ ধুর মশাই, এ যে বিটকেল শব্দ।
উত্তর - ধুর মশাই, এ যে উৎকট শব্দ।
৫. এককথায় লেখো :
উত্তর -
মহান যে সচিব |
মহাসচিব |
প্রতিরোধ করে যে |
প্রতিরোধকারী |
গতিবেগ আছে যার |
গতিশীল |
মৃত্যুকে জয় করেছে যে |
মৃত্যুঞ্জয়ী |
অন্ত নেই যার |
অনন্ত |
৬. সন্ধিবিচ্ছেদ করো :
মাধ্যাকর্ষণ, আবিস্কার, মৃত্যুঞ্জয়, অনাবশ্যক, গবেষণা, অন্তরীক্ষ, গণেশ, হিমালয়, নির্জন, গবেষণাগার, পরীক্ষা।
উত্তর -
মাধ্যাকর্ষণ— মাধ্য + আকর্ষণ।
মৃত্যুঞ্জয়— মৃত্যু + জি + অ
গবেষণা— গো
+ এষণা।
আবিষ্কার— আবিঃ + কার।
অনাবশ্যক— অন
+ আবশ্যক।
অন্তরীক্ষ— অন্তঃ + ইক্ষ।
গণেশ — গণ + ঈশ ।
নির্জন— নিঃ + জন।
পরীক্ষা— পরি + ঈক্ষা ।
হিমালয়— হিম + আলয় ।
গবেষণাগার— গো
+ এষণা + আগার ।
৭. সমার্থক শব্দ লেখো :
কৃত্রিম, পৃথিবী, আন্দোলন।
উত্তর –
কৃত্রিম
— নকল, অনুসারী, অনুরূপ রচিত।
পৃথিবী
— জগৎ, ধরিত্রী, ধরণি, বসুন্ধরা, পৃথ্বী, ধরা।
আন্দোলন
— বিদ্রোহ, সংগ্রাম, লড়াই, প্রতিবাদ, গণবিক্ষোভ ।
৮. নিম্নলিখিত বিশেষণগুলির পর উপযুক্ত বিশেষ্য বসাও এবং বাক্যরচনা করো :
কৃত্রিম, মেদুর, সুকুমার, যান্ত্রিক, ফিরোজা, মন্ত্রমুগ্ধ।
উত্তর -
বিশেষণ |
উপযুক্ত বিশেষ্য |
বাক্যরচনা |
কৃত্রিম |
কৃত্রিমতা |
বর্তমান সভ্যতায় কৃত্রিমতা বেশি। |
মেদুর |
মেদুরতা |
গাছের পাতায় মেদুরতা কমে গিয়েছে। |
সুকুমার |
সৌকুমার্য |
এখন অল্পবয়সে সৌকুমার্য লোপ পায়। |
যান্ত্রিক |
যন্ত্র |
এখন যন্ত্রসভ্যতার যুগ। |
ফিরোজা |
ফিরোজাভ |
ভদ্রমহিলার গলায় ফিরোজাভ হার। |
মন্ত্রমুগ্ধ |
মন্ত্রমুগ্ধতা |
তার গানে মন্ত্রমুগ্ধতা গুণ রয়েছে। |
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>