মেঘ চোর (Megh Chor) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE
মেঘ-চোর প্রশ্ন ও উত্তর
১. সন্ধি করো :
উত্তর :
বৃষ + তি — বৃষ্টি |
পরি + ঈক্ষা — পরীক্ষা। |
অপ + ঈক্ষা — অপেক্ষা। |
আবিঃ + কার — আবিষ্কার । |
গো + এষণা — গবেষণা। |
কিম্ + তু — কিন্তু। |
২.
সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
নিরুদ্দেশ, উত্তাপ, নির্জন, যুগান্ত।
উত্তর ঃ
নিরুদ্দেশ — নির্ + উদ্দেশ। |
উত্তাপ — উৎ + তাপ। |
নির্জন — নিঃ + জন। |
যুগান্ত — যুগ + অন্ত |
৩. নীচের শব্দগুলিতে ব্যবহৃত নঞর্থক উপসর্গগুলি দিয়ে নতুন
শব্দ তৈরি করো :
উত্তর :
উপসর্গ |
যেমন |
নতুন তৈরি শব্দ |
অ নি বি নিঃ বে |
অচেনা নিখুঁত বিদেশ নিশ্চিহ্ন বেবন্দোবস্ত |
অশোক, অকাজ, অজানা, অদেখা ৷ নিটোল, নিবারণ, নিবেদন, নিশানা। বিভেদ, বিরূপ, বিজ্ঞান, বিলোপ, বিকাশ। নিঃসাড়, নিঃসন্দেহ, নিঃসন্তান, নিঃশর্ত। বেআইনি, বেহিসাবি, বেহায়া, বেতাল। |
৪. নঞর্থক উপসর্গ ছাড়া অন্যান্য উপসর্গের ব্যবহারে তৈরি
শব্দও এই গল্পে কম নেই। এখানে সেই ধরনের একটি করে শব্দ দিয়ে দেওয়া হল, প্রতিটি উপসর্গ
দিয়ে তৈরি আরও পাঁচটি করে শব্দ লিখতে হবে তোমাকে।
উত্তর :
উপসর্গ |
যেমন |
নতুন তৈরি শব্দ |
অধি প্র সম |
অধিকার প্রশংসা সংক্ষেপ |
অধিক, অধিবাসী, অধিবেশন, অধিবাস। প্রকাশ, প্রজাপতি, প্রলুব্ধ, প্রবঞ্চনা, প্ৰণত সংলাপ, সংবাদ, সংযোগ, সংহার, সংস্কৃত । |
৫. “অসীমা বলল, ‘না তা নয়....এক বিশাল মেঘ নিয়ে আকাশে-আকাশে
ফেরিওয়ালার মতন ঘুরছেন” আর... “আমি তো মেঘের ব্যবসাদার নই....” উদ্ধৃতাংশটিতে
‘ফেরিওয়ালা' আর 'ব্যবসাদার' শব্দ দুটি পাচ্ছি। এই ‘ওয়ালা' এবং ‘দার' অনুসর্গ দুটি
ব্যবহার করে অন্তত পাঁচটি করে নতুন শব্দ বানাও।
উত্তর : ওয়ালা —ফেরিওয়ালা, ছাতাওয়ালা,
মুখোশওয়ালা, দুধওয়ালা, মাথাওয়ালা, বাসনওয়ালা।
দার —ব্যাবসাদার, ঠিকাদার, জমিদার, জমাদার, জোতদার, পেশাদার,
দোকানদার।
৬. এই গল্পটি অজস্র শব্দদ্বৈত ব্যবহৃত হয়েছে। কোনটি কোন
অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে বুঝে নিয়ে অথবা গঠনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নীচের খোপগুলিতে শব্দবাক্স
থেকে শব্দ নিয়ে সঠিকস্থানে বসাও। একটি করে উদাহরণ দিয়ে দেওয়া হল : দ্বিরুক্তি-অর্থে
ঈষদর্থে/সাদৃশ্য অর্থে
শব্দবাক্স
খালবিল, গাছপালা, হইচই, ঠিকঠাক, আত্মীয়স্বজন, জল্পনা-কল্পনা,
খোঁড়াখুঁড়ি, ঝকঝক, জীবজন্তু, একটু একটু, হা-হা, যোগ-বিয়োগ, খোঁজাখুঁজি, নিজে নিজে,
মেঘ-মেঘ, চ্যাঁচামেচি, মাঝে মাঝে, কমে বাড়ে, পরে পরে, কোথাও কোথাও, বোমা-টোনা, কিছু
কিছু, উড়িয়ে উড়িয়ে, মুচকি মুচকি, সত্যি সত্যি, টলটলে, এদিক ওদিক জানলাটানলা।
উত্তর ঃ
দ্বিরুক্তি
- অর্থে—উড়িয়ে উড়িয়ে, একটু
একটু, নিজে নিজে, কোথাও কোথাও, মুচকি মুচকি, সত্যি সত্যি।
ঈষদর্থে/সাদৃশ্য
অর্থে — মেঘ-মেঘ, মাঝে মাঝে, পরে পরে, কিছু কিছু ।
প্রকৃত
শব্দ + বিকৃত শব্দে — হইচই, টলটলে, চ্যাঁচামেচি।
সমার্থক
শব্দযুগ্ম — আত্মীয়স্বজন, খালবিল, গাছপালা, জল্পনা-কল্পনা, খোঁজাখুঁজি, ঠিকঠাক, খোঁড়াখুঁড়ি,
জীবজন্তু।
বিপরীতার্থক
শব্দযুগ্ম — যোগ-বিয়োগ, কমে-বাড়ে, এদিক-ওদিক।
ধ্বন্যাত্মক/অনুকারাত্মক
— হা-হা, ঝকঝক
৭. সমার্থক শব্দ লেখো :
জব্দ, নিরুদ্দেশ, কারবার, লুপ্ত, নিখুঁত, কৃত্রিম, ধ্বংস,
শ্রদ্ধা, অনুগ্রহ, স্থির।
উত্তর :
শব্দ |
সমার্থক শব্দ |
জব্দ |
পরাজিত, নাকাল, চিট, বেকায়দা। |
কারবার |
ব্যাবসা, ব্যবসায়, ব্যবহার, আরণ, ঘটনা। |
নিখুঁত |
ত্রুটিহীন, দোষহীন, পূর্ণাঙ্গ। |
ধ্বংস |
পতন, লয় শেষ/নিঃশেষ। |
নিরুদ্দেশ |
নিখোঁজ, বেপাত্তা, পলাতক। |
লুপ্ত |
বিলীন, বিনষ্ট, ধ্বংসপ্রাপ্ত, নিষ্ক্রিয়, অদৃশ্য। |
কৃত্রিম |
নকল, অপ্রকৃত, স্বাভাবিক নয় এমন, স্বভাবজ নয়। |
শ্রদ্ধা |
সম্মান, মান, সসম্মান, ভক্তি, সমাদর। |
অনুগ্রহ |
অনুকম্পা, কারুণ্য, অপার করুণা, কৃপা, দয়াদাক্ষিণ্য। |
স্থির |
অচঞ্চল, ধীর, গতিহীন। |
৮.
নীচের শব্দগুলির দুটি করে পৃথক অর্থ জানিয়ে প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা বাক্য লেখো
:
কাণ্ড, বল, যোগ, আলাপ, ব্যাপার, অঙ্ক, পর, ধার, চেয়ে,
জন।
উত্তর :
কাণ্ড (ঘটনা) — অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল ব্যক্তিই ছেলেটির
কাণ্ড দেখে হতবাক হল।
কাণ্ড (গাছের বিটপ অংশ) — প্রত্যেক গাছের কাণ্ড সালোকসংশ্লেষে
সাহায্য করে ।
বল (খেলার সামগ্রী) — দুজন ছেলে ক্রিকেট খেলার জন্য সামনের
দোকান থেকে বল কিনতে গিয়েছিল।
বল (শক্তি ব্যয়ের মাধ্যমে চাপ দেওয়া) – বিশাল পাথরটার
স্থান পরিবর্তনের জন্য প্রচুর বল প্রয়োগ করতে হয়েছিল
যোগ (সংযুক্ত)— মণীশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাতে যোগদান
করতে ইচ্ছুক।
যোগ (অঙ্কের বিশেষ পদ্ধতি) – ছোটো ছেলেটি এখন যোগ-বিয়োগটা
পুরোপুরি রপ্ত করে উঠতে পারেনি।
আলাপ (সাক্ষাৎ)— স্কুলের প্রথম দিন নতুন বন্ধুদের সঙ্গে
আলাপ হয়ে খুব ভালো লেগেছিল।
আলাপ (গানের একটি অংশ) – গানের আলাপ অংশটি গেয়ে রীতা সকলের
মন জয় করেছিল।
ব্যাপার (ঘটনা)- ব্যাপারটি জানার পর আমার ভুল ধারণা ভেঙে
গিয়েছিল।
ব্যাপার (বিষয়) – আমার ব্যাপারে মা সর্বদাই সচেতন।
অঙ্ক (গণনা) – ছেলেটি অঙ্কে কাঁচা হলেও বাংলাতে খুবই দক্ষ।
অঙ্ক (দৃশ্য) — নাটকের প্রথম অঙ্কে তোমাকে অভিনয় করতে
হবে।
পর (অপর মানুষ) — পরের কথা শুনে নিজের আত্মবিশ্বাস হারানো
মূর্খামির কাজ।
পর (পরবর্তী) — দোকানে একের পর এক জামা দেখা সত্ত্বেও তার
কোনোটাই মনঃপূত হয়নি।
ধার (কিনারা) — হরপ্পা সভ্যতা সিন্ধু নদের ধারে গড়ে উঠছিল।
ধার (সান দেওয়া) – ছুরিতে ধার নেই, ব্যবহার করা বৃথা।
চেয়ে (থেকে) — শহরের জীবনযাত্রা গ্রামের চেয়ে অনেক বেশি
প্রগতিশীল।
চেয়ে (চাওয়া) — রবি তার শিক্ষকের কাছ থেকে দুটো বই চেয়েছিল।
জন (লোকসংখ্যা) — সভাতে ৩২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জন (মানুষ) — মানুষের মধ্যে সে একজন হয়ে উঠেছে।
৯.
সমোচ্চারিত/প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে আলাদা আলাদা বাক্যরচনা
করো :
উত্তর :
চাপা
— পুলিশ গোটা ঘটনাটা চাপা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
চাঁপা
— চাঁপা ফুলের আবির্ভাব প্রকৃতির সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে তোলে।
যোগ
— মণীশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাতে যোগদান করতে ইচ্ছুক।
যুগ
— প্রমাণ মিলেছে যে হরপ্পা তাম্র-প্রস্তর যুগের সভ্যতা।
লক্ষ
— গতকাল একটি গয়নার দোকানে ৪ লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়।
লক্ষ্য
— প্রত্যেকেই জীবনে একটি লক্ষ্যের পিছনে ছুটে চলে।
দেশ
— পৃথিবীর উন্নতিকামী দেশগুলিই বসুন্ধরা শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।
দ্বেষ
- (ঈর্ষা)—প্রতিবেশী দুজনের মধ্যে দূরত্বের প্রধান কারণ
হল দ্বেষ।
চুরি
— চুরি করার অপরাধে পুলিশ পাড়ার একটি ছেলেকে জেলে নিয়ে গেল। ৷
চুড়ি
— মেলা থেকে আমরা নানা রঙবেরঙের চুড়ি কিনেছিলাম।
কাটা
- অনেক উত্তর কাটা যাওয়ায়, পরীক্ষাতে তার ভালো ফল হয়নি।
কাঁটা
— বনবাদাড়ে ঘোরার সময় দুজন পর্যটক কাঁটায় আহত হন।
১০ একটি দুটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১০.১
'মেঘ-চোর' -এর মতো তোমার পড়া দু-একটি কল্পবিজ্ঞানের গল্পের নাম বলো।
উত্তরঃ পাগলা গনেশ, বঙ্কুবাবুর বন্ধু
১০.২
এই গল্পে ক-জন
চরিত্র? তাদের নাম কী?
উত্তরঃ এই গল্পে মূল চরিত্র দুটি - পুরন্দর চৌধুরি ও অসীমা। যদিও আর - একজনের নাম পাওয়া যায় এই গল্পে তিনি হলেন কারপভ।
১০.৩
মেঘ-চোর কাকে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ মেঘ-চোর গল্পের মুখ্য চরিত্র বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে।
১০.৪
পুরন্দরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি হলেন বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী। যিনি সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সাংঘাতিক কান্ড ঘটিয়েছেন। এজন্য তিনি যতটা প্রশংসিত হয়েছেন, ঠিক ততটাই নিন্দিত হয়েছেন।
১০.৫
অসীমা সম্বন্ধে দু-একটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ সাতাশ বছর বয়সি অসীমা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের গবেষক। বোস্টনে আবহাওয়া বিষয়ক একটি আলোচনা সভায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন রাশিয়ান বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে। নিজের বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তিনি পৃথিবীতে মহাপ্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১০.৬
পুরন্দর কী
সাংঘাতিক কান্ড করেছেন?
উত্তরঃ বাঙালি বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি ধূসর, রুক্ষ সাহ্যরা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে এক সাংঘাতিক কান্ড ঘটিয়েছেন।
১০.৭
রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন দেশ কী
দাবি তুলেছে?
উত্তরঃ মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এক দেশ থেকে মেঘ তাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে অন্য দেশে বৃষ্টিপাত ঘটানো বেআইনি, যাকে মেঘ চুরি বলা হয়েছে। রাষ্টসংঘের বিভিন্ন দেশ এই মেঘ চুরিকে আইন করে বদলের দাবি তুলেছে।
১০.৮
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-এ অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির
মধ্যে অন্যতম।
১০.৯
পুরন্দরের মুখটা হাঁ হয়ে গেল কেন?
উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি যখন জানতে পারলেন তাঁর সঙ্গের রকেটযাত্রীটি তাঁর ভাইঝি নয়, তাঁর শত্রু কারপভের মেয়ে। সে ইতিহাসের গবেষক হলেও কম্পিউটারেও দক্ষ ও তীক্ষ্ণবুদ্ধির অধিকারী - তখন পুরন্দরের মুখটি হাঁ হয়ে গেল।
১০.১০
জ্ঞান ফিরে পুরন্দর অবাক হয়েছিলেন কেন?
উত্তরঃ আমেরিকার বোস্টনে আবহাওয়া সংক্রান্ত এক আলোচনায় কারপভ নামে এক বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে 'মেঘ-চোর' বলায় পুরন্দর চিৎকার করে কিছু বলতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফিরে এলে তিনি দেখতে পান, একটি সুন্দরী মেয়ে তাঁর মাথায় হাত বোলাচ্ছে। আত্মীয়স্বজনহীন পুরন্দর এই সেবা পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
১০.১১
'দিকবিজয়' কে
ছিলেন?
উত্তরঃ দিকবিজয় পুরন্দর চৌধুরির ছোটো ভাই ছিলেন। তিনি প্রায় পঁচিশ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন।
১০.১২
গল্পের ঘটনা যখন ঘটেছে তখন চরিত্রগুলি কোথায় ছিল?
উত্তরঃ গল্পের ঘটনা যখন ঘটেছে তখন চরিত্রগুলি আলাস্কার আকাশে উড়তে থাকা রকেটের মধ্যে ছিল।
১০.১৩
ইগলুর পরিবর্তে সেখানে তখন কী
দেখা যাচ্ছিল?
উত্তরঃ ইগলুর পরিবর্তে সেখানে বড়ো বড়ো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এস্কিমোদের বাড়ি দেখা যাচ্ছিল।
১০.১৪
কেন বলা হয়েছে অসীমা ভূগোলও বেশ ভালো জানে?
উত্তরঃ আলাস্কার আকাশে একটি সোনালি পাহাড়ের চূড়া দেখে পুরন্দর চৌধুরি সেটির সম্বন্ধে জানতে চাইলে, তখন তার উত্তরে অসীমা জানান, সেটি মাউন্ট চেম্বারলিন এবং তার পাশে কুয়াশায় ঢাকা হ্রদটি লেক শ্রেভার। তাই মনে করা হয়েছে অসীমা ইতিহাসের ছাত্রী হলেও ভূগোলটাও বেশ ভালো জানে।
১০.১৫
কে, কোথা থেকে, কোথায় মেঘ এনেছিল?
উত্তরঃ সাইবেরিয়া থেকে সাহারা মরুভূমিতে মেঘ নিয়ে এসেছিলেন বিশিষ্ট বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি।
১০.১৬
তুষার যুগ কাকে বলে?
উত্তরঃ আজ থেকে বহু লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর উত্তাপ একসময় তিন থেকে চার ডিগ্রি ফারেনহাইট কমে গিয়েছিল। তাতে গোটা উত্তর আমেরিকা বরফে ঢেকে গিয়েছিল। এই সময়টি পৃথিবীতে তুষার যুগ নামে চিহ্নিত হয়ে আছে। তুষার যুগ কে ইংরেজিতে 'Ice-Age' বলা হয়। কখনো কখনো একে "Glacial
Age" বলে।
১০.১৭
পৃথিবী থেকে কত জল
সারা বছর বাষ্পা হয়ে মেঘ হয়ে উড়ে যায়?
উত্তরঃ পৃথিবী থেকে সারা বছর পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল জল বাষ্প হয়ে মেঘ হয়ে যায়।
১০.১৮
মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার কেন?
উত্তরঃ গাছপালা, জীবজন্তু সর্বোপরি, মানুষের জন্য বৃষ্টির ভীষণ প্রয়োজন। পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে আর বৃষ্টির জলের সাহায্যেই চাষাবাদ করে খাদ্যশস্যের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। তাই মানুষের জন্য বৃষ্টি দরকার।
১০.১৯
'আটলান্টিকস' কী?
উত্তরঃ আটলান্টিস হল একটি লুপ্ত সভ্যতা। যদিও এটি ইতিহাসের বিষয় নয়। ব্যাপারটি আসলে গ্রিক লেখকদের জল্পনা-কল্পনা। কোথাও এই সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
১০.২০
পুরন্দরের মতে, আটলান্টিসের অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ পুরন্দরের মতে, আটলান্টিসের অবস্থান হল আলাস্কার কাছে মাউন্ট চেম্বারলিনের পাশে থাকা লেক শ্রেভারের তলায়। সেখানেই সভ্যতাটি চাপা পড়ে আছে।
১০.২১
সাইবেরিয়া কোথায়?
উত্তরঃ সাইবেরিয়া রাশিয়ায় উত্তরে অবস্থিত চিরতুষারাবৃত্ত এক দেশ।
১০.২২
অসীমা কেন পুরন্দরকে ফেরিওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করেছে?
উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরির মতে, সে বিশাল মেঘের অধিকারী হয়ে মেঘকে আকাশে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আবার দরকারমতো যে-কোনো দেশের প্রধানকে বৃষ্টি নেওয়ার প্রস্তাবও দিতে সক্ষম হবে। ফেরিওয়ালারা যেভাবে নিজেদের দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি করে, পুরন্দর চৌধুরির পরিকল্পনাও ঠিক তেমনই। এই দিকটি উপলদ্ধি করেই অসীমা তাঁকে ব্যঙ্গ করেছিল।
১০.২৩
'অ্যালয়' কী?
উত্তরঃ 'অ্যালয়' হল একপ্রকার সংকর ধাতু, যা একাধিক ধাতুর মিশ্রণে সৃষ্টি। এগারটি ধাতুর সঙ্গে মার্কারি বা পারদকে মিশিয়ে পুরন্দর চৌধুরি একটি অ্যালয় তৈরি করেছিলেন।
১০.২৪
পুরন্দরের তৈরি গোলকটিতে আছে এমন কোন্ ধাতুর নাম গল্পে পেলে?
উত্তরঃ পুরন্দরের তৈরি গোলকটিতে এগারটি ধাতু আছে, যদিও সেগুলির কোনো উল্লেখ নেই। কিন্তু একটি তরল ধাতুর নাম উল্লিখিত আছে - সেটি হল পারদ বা মার্কারি।
১০.২৫
পুরন্দরের তৈরি গোলকটি এয়ারটাইট রাখতে হয় কেন?
উত্তরঃ পুরন্দরের তৈরি গোলকটি এয়ারটাইট রাখতে হয়। কারণ, ওই গোলকটি সংস্পর্শে এলেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। আর তাতে নিমেষে বরফ বাষ্প হয়ে যায়। তাই একে এয়ারটাইট বা বায়ুনিরুদ্ধ রাখতে হয়।
১০.২৬
"প্রকৃতিকে ধ্বংস করা একটা অপরাধ" - কে,
কাকে। কখন এই কথাটি বলেছে?
উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি তাঁর অ্যালয় নির্মিত গোলকটির সাহায্যে লেক শ্রেভারের সব বরফকে বাষ্পে পরিণোত করতে চেয়েছিলেন। তখন অসীমা পুরন্দরকে বাধা দিয়ে উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছিল।
১০.২৭
অসীমার প্রকৃত পরিচয় কী?
উত্তরঃ অসীমা ইতিহাসের গবেষক, কম্পিউটারে দক্ষ। সে আসলে সে রাশিয়ান বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে। যদিও তার মা বাঙালি।
১০.২৮
"তাহলে আমরা গুঁড়ো হয়ে যাব।" - কে,
কাকে কেন এই কথাটি বলেছে?
উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরির প্রকৃতি ধ্বংসকারী কাজে অসীমা বাধা দিয়েছিল। এমনকি রিভলভার দেখিয়ে পুরন্দরকে ক্ষান্ত করতেও চেয়েছিল। তবুও নাছোড় পুরন্দর তাঁর অ্যালয়টি লেক শ্রেভারে ফেলবার জন্য রকেটের একটি অংশ খোলার চেষ্টা করতেই অসীমা প্রশ্নোক্ত উদ্ধৃতিটি করেছিল।
১০.২৯
অসীমার বিশেষ আগ্রহ কোন্ বিষয়ে?
উত্তরঃ অসীমা ইতিহাসের গবেষক হলেও কম্পিউটারেই তার বিশেষ আগ্রহ। তাই কম্পিউটারে সে এমনভাবে প্রোগ্রাম করে রেখেছিল, যাতে তাদের কোনো বিপদ না-হয়।
১০.৩০
"পৃথিবীর জল
যেমন আছে তেমন থাকুক" - কে, কখন এই কথাটি বলেছে?
উত্তরঃ পুরন্দর চৌধুরি একজন পৃথিবী বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী। এক আবহাওয়া বিজ্ঞানী তাঁকে যে অপমান করেছিল, সেই অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পৃথিবীর একটি হ্রদের বরফকে তিনি বাষ্পের মেঘ করতএ চেয়েছিলেন। তাঁর সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন এক ঠান্ডা মাথার বুদ্ধিমতী মেয়ে অসীমা। সে প্রকৃতির বিরুদ্ধে যেতে চায়নি। তাই পুরন্দরের তৈরি অ্যালয় বলটি মহাশূন্যে নিরাপদে রেখে দিয়ে সে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।
(১১) আট-দশোটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১১.১ এই
গল্পে কাকে, কেন 'মেঘ-চোর' বলা হয়েছে? তার মেঘ চুরির কৌশলটি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত 'মেঘ-চোর- গল্পে বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে। সাহারা মরুভূমিতে এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তিনি সাংঘাতিক কান্ড করেছেন। কিন্তু অন্য দেশ থেকে মেঘ চুরি করে এনে সাহারায় বৃষ্টি ঝরানোর জন্য তাঁকে মেঘ-চোর বলা হয়েছে।
পুরন্দর চৌধুরি বৃষ্টিবিজ্ঞানী হিসেবে প্রখ্যাত। কিন্তু এক আলোচনা সভায় সকলের সামনে তাঁকে মেঘ-চোর হিসেবে গালাগাল দিয়েছিলেন কারপভ নামক আর-এক রাশিয়ান বিজ্ঞানী। তাঁকে জব্দ করার জন্য পুরন্দর চৌধুরি একটি গোটা লেকের জলকেই মেঘে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। এগারটি ধাতুর সঙ্গে পারদ মিশিয়ে তিনি এমন একটি অ্যালয় তৈরি করেছিলেন, যার যাহায্যে একটি গোটা হ্রদের বরফজলকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মেঘে পরিণত করে কারপভের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। এজন্য তিনি নিজেকে আকাশের দেবতা ইন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি যারা তাঁর নিন্দে করেছে, তাদেরকেও বৃষ্টি রাখবেন বলে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
১১.২ "বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অমিত বল,
কিন্তু অযোগ্য মানুষের হাত সেই ক্ষমতা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী" - পঠিত গল্পটি অবলম্বনে উপরের উদ্ধৃতিটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর একটি কল্পবিজ্ঞানের গল্প। এই গল্পে লেখক দেখিয়েছেন, বিজ্ঞানের অমিত বল অযোগ্য মানুষের হাতে পড়ে কতটা বিপজ্জঙ্ক হয়ে উঠতে পারে। পুরন্দর চৌধুরি একজন বিখ্যাত আবহাওয়াবিজ্ঞানী। সারা পৃথিবী তাঁকে বৃষ্টিবিজ্ঞানী হিসেবে চেনে। বৃষ্টিহীন সাহারা মরুভূমিতে সাইবেরিয়া থেকে মেঘ এনে একসঙ্গে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তিনি সাংঘাতিক কান্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু এক আলোচনা সভায় তাঁকে মেঘ-চোর বলে গালাগাল দেওয়ায় তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে, এক ভয়ংকর পরিকল্পনা করে বসেন।
আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে আলাস্কা প্রদেশের মাউন্ট চেম্বারলিন-এর পাশে অবস্থিত এক বিরাট হ্রদ শ্রেভার। যাকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর নির্মিত অ্যালয়ের সাহায্যে তিনি বাষ্পে পরিণত করে মেঘরূপে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। সেই মেঘকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তিনি তাঁর অপমানকারীর দেশের ওপর ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এইভাবে প্রকৃতির নিয়মবিরুদ্ধ কাজের মাধ্যমে তিনি নিজেকে দেবতার সঙ্গে তুলনা করতেও কুন্ঠাবোধ করেননি। এইভাবে বিজ্ঞান মানুষকে অফুরন্ত ক্ষমতা দিয়ে যে অপদেবতা তৈরি করেছে আলোচ্য গল্পটি তারই সাক্ষাৎ নিদর্শন।
১১.৩ পুরন্দর চৌধুরির চরিত্র তোমার কেমন বলে মনে হয়েছে - বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল পুরন্দর চৌধুরি, যিনি বিখ্যাত বিখ্যাত আবহাওয়া বিজ্ঞানী। পৃথিবীতে তিনি বৃষ্টিবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত। সমগ্র গল্প পাঠ করে পুরন্দর চৌধুরি সম্পর্কে যে-ধারণা জন্মায়, তা হল - পুরন্দর বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পারেন কিন্তু তিনি সংকীর্ণমনা, নীতিহীন এক হিংসুটে ধরনের মানুষ, অহংকারী স্বার্থসম্পন্ন এক কুটিল চরিত্র। প্রথমত, তিনি সংকীর্ণমনা। কারণ, বিজ্ঞানের আশীর্বাদপুষ্ট এই মানুষটি শুধুমাত্র নিজের অপমানটাকেই বড়ো করে দেখে প্রকৃতির সর্বনাশ করতে চলেছিলেন। দ্বিতীয়ত, তিনি নীতিহীন। কারণ পুরন্দর বিজ্ঞানী হয়েও নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সর্বোপরি, হিংসার বশবর্তী হয়ে একজন মানুষকে শিক্ষা দিতে গিয়ে জাগতিক নিয়ম লঙ্ঘন করতেও তিনি পিছপা হননি। পুরন্দর অহংকারী হয়ে নিজেকে দেবতা ইন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। নিজেকে আকাশের দেবতা চৌধুরী বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পারেন কিন্তু মানুষ হিসেবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
১১.৪ গল্পটি অবলম্বনে অসীমা চরিত্রটি সম্বন্ধে তোমার মতামত জানাও।
উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর গল্পের অন্যতম চরিত্র অসীমা। গল্পের শুরুতেই যার পরিচয় আমরা পাই বিখ্যাত বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরির ভাইঝি হিসেবে। সে ইতিহাসের ছাত্রী ও গবেষক। কিন্তু ভূগোলটাও বেশ ভালোই জানে। তার পাশাপাশি কম্পিউটারেও দক্ষ। বেশ নিপুণভাবে সে নিজেকে পুরন্দর চৌধুরির ভাইঝি বলে পুরন্দরের বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছিল। যার ফলে পুরন্দর তাকে নিজের আত্মীয় হিসেবে মেনে নিয়ে তাঁর অভিযানের সঙ্গী করে নিয়েছিলেন। এই সুযোগটিই হয়তো অসীমা খুঁজছিল। গল্পের পরিসমাপ্তিতে এসে আমরা উপভোগ করি, অসীমা অসাধারণ বুদ্ধিমতী ও ঠান্ডা মাথায় মেয়ে। পুরন্দর যখন অ্যালয় বলটি হ্রদে ফেলতে যাবে, ঠিক সেইসময় অসীমা নিজের পরিচয় দিয়ে গল্পের চূড়ান্ত পরিণতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে অসীমা যথার্থ মানবতার পরিচয় দান করেছে।
১১.৫ এই
গল্পে পুরন্দর এবং অসীমা আসলে দুটি পৃথক এবং পরস্পরবিরোধী বিজ্ঞানচেতনার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কে, কোন্ ধারণার প্রতিনিধিত্ব করেছেন জানিয়ে তুমি এঁদের মধ্যে কাকে, কেন সমর্থন করত তা বিশদে জানাও।
উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর গল্পটি কল্পবিজঙানের কাহিনি। গল্পের দুটি চরিত্রকে লেখক তাঁর পৃথক বিজ্ঞানচেতনার সাহায্যে সুচারুভাবে উপস্থাপন করেছেন। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিখ্যাত আবহাওয়া বিজ্ঞানী পুরন্দর। দুনিয়াজোড়া তাঁর খ্যাতি। তাঁর সাম্প্রতিক ক্রিয়াকলাপ মানুষকে অবাক করে দিয়েছে। ধূসর সাহারা মরুভূমির বুকে একশো ইঞ্চিন বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে বিজ্ঞানী মহলে তিনি প্রবলভাবে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু এই ক্রিয়াকলাপ তাঁকে বিজ্ঞানের ধ্বংসাত্মক দিকের প্রতিনিধি করে তুলেছে। বিজ্ঞান সর্বদা মানুষের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হওয়ার সদর্থক বার্তা দেয়। যা তাঁর ক্ষেত্রে পরিপন্থী হয়ে উঠেছে।
অপরদিকে অসীমা বিজ্ঞানের ছাত্রী না-হলেও বিজ্ঞানের কল্যাণকর দিকের পূজারি। প্রকৃতির অনিষ্ট রোধের কারণে নিজের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন করে সে পুরন্দরের ধ্বংসাত্মক কার্যের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। পুরন্দরকে তাঁর ধাতব বল বরফজমা হ্রদে নিক্ষেপ করতে দেয়নি। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করেছে। এই দুটি পরস্পরবিরোধী বিজ্ঞানচেতনার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গল্পটি উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।
আমি অবশ্যই অসীমাকে সমর্থন করব। কারণ, এই সুন্দর পৃথিবী কয়েকটি মানুষের খেয়ালের কারণে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাক - তা আমি চাইব না। অসীমা বিজনগানের ছাত্রী না-হলেও বিজ্ঞানের কল্যাণকর দিকের প্রতিনিধি। সে সৃষ্টিসুখের সন্ধানকারী এক অভিযাত্রী। তাই তাকে সমর্থন করাটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি।
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>