ভানুসিংহের পত্রাবলি (Bhanusingher Patrabali) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 | WBBSE
ভানুসিংহের পত্রাবলি প্রশ্ন ও উত্তর
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১. বর্ষামঙ্গল (আষাঢ় / অগ্রহায়ণ / শ্রাবণ) মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর –আষাঢ়
১.২. শান্তিনিকেতন (বীরভূম / বাঁকুড়া / পুরুলিয়া) জেলায় অবস্থিত।
উত্তর -বীরভূম
১.৩. কবি (আত্রাই / পদ্মা / শিলাবতী) নদীর ওপর বোটে করে ভেসে চলেছেন ।
উত্তর –আত্রাই
১.৪. পৃথিবীর মনের কথাটি কবি শুনতে পান (জলের ওপর / নদীর ওপর / মাটির ওপর)।
উত্তর -নদীর ওপর
১.৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি পত্রসাহিত্যের উদাহরণ হল—(শেষের কবিতা / গীতাঞ্জলি / ছিন্নপত্র)।
উত্তর - ছিন্নপত্র
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও :
২.১.“কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে”—কবির এই অপছন্দের কারণ কী?
উত্তর - কলকাতা একটি জনবহুল শহর। খোলা আকাশ, মাঠ, নদী এই শহরে নেই বললেই চলে। সর্বত্র বড়ো বড়ো ইটের তৈরি অট্টালিকা, কড়িবরগা প্রকৃতিকে আড়াল করেছে। ইট-কাঠের এক-একটা মস্ত বড়ো জন্তু যেন গিলে ফেলবে বলে লেখকের মনে হয়। এই রকম জনবহুল কোলাহলমুখর শহর প্রকৃতিপ্রেমী লেখক রবীন্দ্রনাথের পছন্দ নয়।
২.২. " সে গান কি কলকাতা শহরের হাটে জমবে” – কোন্ গানের কথা বলা হয়েছে? সে গান কলকাতা শহরের হাটে জমবে না-কবির এমন ভাবনা কেন?
উত্তর - শ্রাবণ মাসে শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গল উৎসব উপলক্ষ্যে বিভিন্ন গান রচিত হয় এবং সেখানকার মাঠে সেইসব গান খুবই জমে ওঠে। এবার কলকাতায় বর্ষামঙ্গল উৎসব অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই উপলক্ষ্যে লেখককে গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কলকাতার বৈঠকখানায় বর্ষামঙ্গলের গানের সুর জমে ওঠে না, এ বিষয় কবির খুব অভিজ্ঞতা আছে। সেই কারণে শান্তিনিকেতনের মাঠে তৈরি গান কলকাতা শহরের হাটে জমে উঠবে কিনা এ কথাই লেখক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
২.৩. “তোমাদের ওখানে এতদিনে বোধহয় বর্ষা নেমেচে ?”—কার উদ্দেশ্যে কবি একথা লিখেছেন? ‘ওখানে’ বলতে কোন্ জায়গার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর - রানি চন্দকে উদ্দেশ্য করে লেখক রবীন্দ্রনাথ একথা লিখেছেন।
ওখানে বলতে শান্তিনিকেতনের কথা বলা হয়েছে।
২.৪. “শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে...”–তখন কবির কেমন অনুভূতি হয় ?
উত্তর - লেখকের ভাষায় শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোরম। এখানে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বাদল দিনে লেখক নিজের অনুভবের কথা ব্যক্ত করে বলেছেন, শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে তখন তার ছায়ায় আকাশের আলো করুণ হয়ে আসে, তৃণভূমি আনন্দে পুলকিত হয়ে ওঠে। গাছেরা নিজেদের মধ্যে যেন কথা বলতে চায়, লেখকের মনে গান জেগে ওঠে, যার সুর তাঁর ভাইপো দিনুর ঘরে ভেসে যায়।
২.৫. “আজ সকালেই সে পালাবে স্থির করেছে”– 'আজ' বলতে যে দিনটির কথা বলা হয়েছে তার সাল ও তারিখ কত? ‘সে’–বলতে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোথায় পালাবে এবং কেন ?
উত্তর - ‘আজ’ বলতে যে দিনটির কথা বলা হয়েছে তার সাল ও তারিখ হল – ১৩২৯ সাল, ২৯ আষাঢ়।
‘সে’ বলতে এখানে দিনুবাবুর কথা বলা হয়েছে।
দিনুবাবু কলকাতা ছেড়ে শান্তিনিকেতনে চলে যাবেন। লেখকের ভাষায় তিনি সাহিত্যরসিক নন। ঋতুচক্রের গান-নৃত্যে তাঁর আগ্রহ কম, সেইজন্যই তিনি চলে যাবেন।
২.৬. “সমস্তটার উপর বাদল- সায়াহ্নের ছায়া” – কবির চোখ দিয়ে দেখা এই 'সমস্তটা'-র বর্ণনা দাও।
উত্তর - বর্ষাকালে কবি আত্রাই নদীতে নৌকায় ভেসে বেড়ান, মেঘ-ছায়ায়
ভরা প্রকৃতির অপূর্ব বৈচিত্র্য অবলোকন করেন। ঘন বর্ষা মেঘে ঢাকা আকাশে ঝড়ো হাওয়ায়
কবি নৌকায় চড়েছেন। বর্ষার পানিতে ভরে যাওয়া আত্রাই নদীর দুটি পুল ইতিমধ্যেই পূর্ণ।
গ্রামের উঠানে পানি। আম, কাঁঠাল, তেঁতুল, শিমুলের ঘন সবুজ চাদরে ছেয়ে গেছে পুরো বনাঞ্চল।
দূরের মেঘের ফাঁক দিয়ে সূর্যাস্তের ক্ষীণ আভা প্রকৃতিকে নতুন রূপ দিয়েছে। 2.7।
"কলকাতায় না এলে আরও মিটিং"—কী মিটিং? কবির কলকাতায় এসে জমে না যাওয়ার
সম্পর্ক কী? উত্তর - শান্তিনিকেতনে যখন বর্ষামঙ্গল উৎসব হয়, তখন প্রকৃতিপ্রেমী লেখক
কলকাতা শহরের বড় ইটের দালানের মাঝে বর্ষা ঋতুর আনন্দ খুঁজে পান না, যা তিনি শান্তিনিকেতনের
মাটিতে উপলব্ধি করতে পারেন। শ্রাবণ মাসে কলকাতায় বর্ষামঙ্গল উৎসব হলে শান্তিনিকেতনের
মতো নতুন বর্ষার গান ও নৃত্য এখানে জড়ো হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে লেখকের।
২.৮. “খাতার দিকে চোখ রাখবার এখন সময় নয়”— কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? খাতার দিকে চোখ রাখবার সময় কবির নেই কেন?
উত্তর - লেখক রবীন্দ্রনাথ বর্ষাকালে আত্রাই নদীতে পাল তুলে নৌকা করে ভেসে যাওয়ার সময়ের কথা বলা হয়েছে। বর্ষামুখর আত্রাই নদীর দুই কুলের প্রাকৃতিক পরিবেশ লক্ষ করে লেখক এমনই অভিভূত হয়ে পড়েছেন যে নিজের খাতার দিকে চোখ দেওয়ার অবসরটুকু এখন তাঁর নেই।
৩. দু-চার কথায় পরিচয় দাও :
উত্তর –
শান্তিনিকেতনঃ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বসন্ত উৎসব থেকে আরম্ভ করে পৌষের উৎসব এবং অন্যান্য প্রায় সকল উৎসবই শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গণে পালন করা হয় অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে।
দীনুঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো ছিলেন দীনু। কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে দীনু অর্থাৎ দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। শিল্পী হিসেবে তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তাঁর আঁকা চিত্রসমূহ বিশ্বের মূল্যবান সম্পদ।
বর্ষামঙ্গলঃ শান্তিনিকেতনে উদ্যাপিত উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম হল বর্ষামঙ্গল উৎসব। প্রধানত বর্ষাকেন্দ্রিক এই উৎসব স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ প্রথম শুরু করেন। বর্ষার আগমনকালে এই উৎসব পালন করা হয়। বিশ্বকবির গান, কবিতা, নাটক ইত্যাদির মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করা হয়।
আত্রাই : বর্ষার জলে পুষ্ট আত্রাই নদীর উৎসস্থল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা। এই নদীটি অধুনা বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পদ্মা নদীতে মিশেছে। এই নদীর জলধারায় বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলগুলি কৃষিকাজে উন্নত হয়েছে।
৪. একটি বর্ষণমুখর দিনের অভিজ্ঞতা বিষয়ে একটি ছোটো অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর - সকাল থেকেই শুরু হয় অবিরাম বৃষ্টি। সারা আকাশ কালো মেঘে ঢেকে
গেছে। সূর্যোদয়ের কোনো লক্ষণ নেই। আমি রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে রাস্তাগুলি
খুব কম জনবসতিপূর্ণ। স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিজে ভিজে বাড়ি
ফিরছে। মানে স্কুলেও 'বৃষ্টির দিন' ঘোষণা করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে পানি জমে রাস্তাগুলো
নদীতে রূপ নেয়। স্কুল থেকে ফিরে ছোট শিশুরা কাগজের নৌকা বানিয়ে পানিতে ভাসছে। বিভূতিভূষণ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চান্দের পাহাড়' গল্পে মেঘলা দিনের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম
আজ এমনই হবে। খিচুড়ি আর ভাজা মাছের গন্ধ ঘরে ভেসে উঠতেই বুঝলাম আজকের দিনটা খারাপ
হবে না।
৫. অর্থ লেখো :
উত্তর - পুলক—আনন্দ।
উত্তরীয়—শরীরের ওপরের অংশের চাদর।
এসরাজ—বাদ্যযন্ত্র বিশেষ।
আঙিনা—উঠান, বারান্দা।
সায়াহ্ন—সন্ধ্যাবেলা।
প্রয়াস – চেষ্টা।
নিভৃত—নির্জন স্থান।
৬. কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো :
৬.১ কোলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে।
উত্তর - কর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি।
৬.২ তার উপরে আবার আকাশ মেঘে লেপা।
উত্তর - কর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি।
৬.৩ আমার মনের মধ্যে গান জেগে ওঠে।
উত্তর - কর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি।
৬.৪ কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে।
উত্তর - অধিকরণে ‘য়' বিভক্তি।
৬.৫ সে গান কি কলকাতা শহরের হাটে জমবে।
উত্তর - কর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি।
৭. বাক্যরচনা করো :
শান্তিনিকেতন— শান্তিনিকেতন ছিল কবিগুরুর প্রিয় পরিবেশ। |
হার্ট— গ্রামে সপ্তাহে একদিন বা দুদিন হাট বসে। |
বাদল – বাদল দিনে সারা আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকে। |
বৃষ্টিধারা— শ্রাবণের অবিশ্রান্ত বৃষ্টিধারা নদনদীকে পরিপূর্ণ করে তোলে। |
৮. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও :
সুর—গানের সুর
শুর-বীর।
আষাঢ় মাসবিশেষ।
আসার আগমনের।
বর্ষা—ঋতু বিশেষ ৷
বর্ণা—অস্ত্র বিশেষ।
কুল-বংশ।
কূল-তীর।
নৃত্য—নাচ ।
নিত্য—প্রতিদিন।
সাড়া—উত্তর দেওয়া।
সারা—সমস্ত / সম্পন্ন করা।
৯. বর্ষার কলকাতা শহরকে কবির বিশেষভাবে অপছন্দ করার কারণ কী?
উত্তর - কলকাতা একটি জনবহুল শহর। খোলা আকাশ, মাঠ, নদী এই শহরে নেই বললেই চলে। সর্বত্র বড়ো বড়ো ইটের তৈরি অট্টালিকা, কড়িবরগা প্রকৃতিকে আড়াল করেছে। ইট-কাঠের এক-একটা মস্ত বড়ো জন্তু যেন গিলে ফেলবে বলে লেখকের মনে হয়। এই রকম জনবহুল কোলাহলমুখর শহর প্রকৃতিপ্রেমী লেখক রবীন্দ্রনাথের পছন্দ নয়।
১০. নববর্ষা বলতে কী বোঝো?
উত্তর - নতুন রূপে বর্ষাকে আহ্বান করে শ্রাবণ মাসে যে উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তাকেই নববর্ষা বলা হয়।
১১. বর্ষার ঋতুকে নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের দুটি গান ও দুটি কবিতার নাম লেখো ।
উত্তর - বর্ষা ঋতুকে নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের দুটি গান – (১) 'এপারে মুখর হল কেকা ওই’(২) ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী'। দুটি কবিতা— (১) 'বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর নদে এল বান' (২) ‘গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষায়।'
১২. সবুজ রঙের উত্তরীয় বলতে কবি কী বুঝিযেছেন?
উত্তর - বর্ষার জল পেয়ে গাছপালা যেন তাদের প্রাণ ফিরে পায়। সজীবতায় পরিপূর্ণ গাছপালাকে সবুজ রঙের উত্তরীয় বোঝানো হয়েছে।
১৩. কলকাতা শহরে হাট...শহরকে হাটের সঙ্গে তুলনার ব্যঞ্জনাটি কোথায় ?
উত্তর - আমরা জানি গ্রামে একটা
বাজার আছে। শহরে একটা বাজার আছে। এখানে লেখক 'হাট' শব্দটি 'হাট-বাজার' অর্থে ব্যবহার
করেননি। 'হাট' বলতে লেখক এখানে উৎসবকে বুঝিয়েছেন। লেখক মনে করেন শান্তিনিকেতনের গ্রামীণ
এলাকায় বর্ষমঙ্গল উৎসব যেমন মিলিত হয় কলকাতার মতো জনবহুল শহরে জড়ো হবে না এবং এই
প্রসঙ্গেই 'হাট' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
১৪. আষাঢ় মাসের বর্ষাকে কলকাতা শহরে মানায় না—কবির এ জাতীয় মন্তব্যের অর্থ কী?
উত্তর - বর্ষাকালে প্রকৃতি রানী নতুন পোশাক পরেন। কলকাতার মতো ঘনবসতিপূর্ণ
শহরে, যেখানে গগনচুম্বী দালানগুলো লেখকের চোখে বিশাল জন্তুর মতো লাগে, সেখানে বর্ষার
প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই লেখক বলেছেন
আষাঢ় মাসের বর্ষা কলকাতায় মানায় না।
১৫. আত্রাই নদীটি কোথায়? সেই নদীতে বোটে যেতে যেতে কবি কবে নির্বাচিত পত্রটি লিখেছিলেন ?
উত্তর - উত্তরবঙ্গের একটি বিখ্যাত নদী হল আত্রাই। আত্রাই নদীতে নৌকায় বেসে যেতে যেতে লেখক ১৩২৯ সালের ২ শ্রাবণ নির্বাচিত পত্রটি লিখেছিলেন।
১৬. নদীপাড়ের গ্রামগুলির ছবি কীভাবে কবির চোখে ধরা পড়েছে?
উত্তর - বর্ষার মেঘে আকাশ আচ্ছন্ন, লেখক নৌকা করে আত্রাই নদীতে ভেসে চলেছেন। লেখক দেখছেন নদীর দুই কূল জলে পরিপূর্ণ। পল্লির আঙিনা পর্যন্ত জল উঠেছে, ঘন বাঁশের ঝাড়। আম, কাঁঠাল, তেঁতুল, কুল, শিমুল নিবিড় হয়ে গ্রামগুলিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
১৭. আকাশ আর নদীর প্রতি ভালোবাসা, সর্বোপরি বর্ষা প্রকৃতির প্রতি কবির পক্ষপাত কীভাবে পত্রদুটিতে
প্রতিফলিত হয়েছে?
উত্তর - বর্ষাকাল লেখকের প্রিয়। বর্ষাকালে প্রকৃতি নতুন রূপ ধারণ করে।
লেখক এই বর্ষা দেখে মুগ্ধ হয়ে গান ও কবিতা রচনা করেন। মেঘলা দিনে, কালো মেঘ আকাশ ঢেকে
দেয়, সূর্যকে ঢেকে দেয়। লেখক প্রকৃতির নিভুল রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, যা 'ভানুসিংহের
চিঠি' সিরিজের দুটি চিঠিতে প্রতিফলিত হয়েছে।
১৮. নীচের বাক্যগুলিকে দুটি বাক্যে আলাদা করে লেখো :
১৮.১ কথা হচ্ছে এবার শ্রাবণ মাসে আর বছরের মতো কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে।
উত্তর - এবার শ্রাবণ মাসে কথা হচ্ছে। আর বছরের মতো কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে।
১৮.২ শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে তখন তার ছায়ায় আকাশের আলো করুণ হয়ে আসে।
উত্তর :শান্তিনিকেতনের মাঠে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি নামলে তার ছায়ায় আকাশের আলো করুণ হয়ে আসে।
১৮.৩ আমার এই বোট ছাড়া নদীতে আর নৌকা নেই।
উত্তর :নদীতে শুধু আমার এই বোট আছে। নদীতে আর কোনো বোট নেই।
১৮.৪ আমার দুই চক্ষু এখন বাইরের দিকে চেয়ে থাকতে চায়, খাতার দিকে চোখ রাখবার এখন সময় নয়।
উত্তর :আমার দুই চক্ষু এখন বাইরের দিকে চেয়ে থাকতে চায়। খাতার দিকে আমার চোখ রাখবার এখন সময় নয়।
১৮.৫ আজ রাত্রের গাড়িতেই কলকাতায় যাব মনে করে ভালো লাগচে না।
উত্তর - আজ রাত্রের গাড়িতেই কলকাতায় যাব। এই মনে করে ভালো লাগচে না।
<< Read More >>
Class 7 All Subject Solution >>