গাছের কথা (Gacher Kotha) অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর | Class 8 | WBBSE
গাছের কথা
নামকরণ
নামকরণকখনাে হয় বিষয়কেন্দ্রিক, কখনােহয় চরিত্রকেন্দ্রিক, আবার, কখনাে হয়ব্যঞ্জনাবাহী। নামকরণ-এর মধ্যেই থাকেমূল বিষয়ের গূঢ়তা। লেখকজগদীশচন্দ্র বসু আলােচ্য প্রবন্ধটিরনামকরণ করেছেন গাছের কথা। জগদীশচন্দ্রবসু যেহেতু একজন বিজ্ঞানী, তথাকথিত সাহিত্যিক নন, তাই তিনিপ্রবন্ধটির নামকরণ সরল ভাষায়, সহজ ভঙ্গিতে করেছেন। যাসরাসরি বিষয়বস্তুকে উপস্থাপিত করে। প্রবন্ধটিবিশ্লেষণ করলে দেখা যায়প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তলেখক গাছের কথাই বলেগিয়েছেন। গাছেরবিভিন্ন লক্ষণ অর্থাৎ তারাওআমাদের মতাে আহার করে, ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে, আমাদের মতাে তাদেরও অভাব, দুঃখ-কষ্ট আছে, আমাদেরমতাে তারাও পরস্পরের সঙ্গেবন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তােলে, একেঅপরকে সাহায্য করে সব কথাইলেখক তুলে ধরেছেন।কীভাবে বীজ মাটিতে ছড়িয়েপড়ে এবং কীভাবে জল, মাটি ও উত্তাপের সংস্পর্শেবীজ থেকে বৃক্ষশিশুর জন্মহয়, তারও বর্ণনা দিয়েছেনলেখক। গাছেরমৃত ডালের সঙ্গে জীবিতডালের পার্থক্যও লেখক পাঠ্যাংশে তুলেধরেছেন। সমগ্রঅংশ জুড়ে রয়েছে গাছেরপ্রসঙ্গ। তাইপাঠ্যাংশটির নামকরণ ‘গাছের কথা অবশ্যইযথার্থ ও সার্থক হয়েছে।
১.১ জগদীশচন্দ্রবসুরলেখাএকটিবইয়েরনামলেখাে।
উত্তর - জগদীশচন্দ্রবসুর লেখা একটি বইয়েরনাম ‘অব্যক্ত।
১.২ জগদীশচন্দ্রবসুকীআবিষ্কারকরেছিলেন?
উত্তর - জগদীশচন্দ্রবসু আবিষ্কার করেছিলেন গাছেদেরও প্রাণ আছে।এ ছাড়াও তিনি ক্রেসকোগ্রাফ’ নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কারকরেছিলেন।
২. নীচের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে লেখাে :
২.১ লেখককবেথেকেগাছেদেরঅনেককথাবুঝতেপারেন?
উত্তর - লেখকযেদিন থেকে গাছেদেরকে ভালােবাসতেশিখেছেন, সেদিন থেকেই গাছেদেরঅনেক কথা বুঝতে পারেন।
২.২ ‘ইহাদেরমধ্যেওতাহারকিছুকিছুদেখাযায়।—কীদেখাযায়?
উত্তর - মানুষেরমধ্যে যেসব সদগুণ আছে, গাছেদের মধ্যেও তার কিছুকিছু দেখা যায়।
২.৩ জীবিতেরলক্ষণকীতালেখকেরঅনুসরণেউল্লেখকরাে।
উত্তর - জীবিতেরলক্ষণ হল— যা জীবিততা ক্রমশ বাড়তে থাকেএবং যার গতি আছে। অর্থাৎ, জীবিতের লক্ষণ। হল— বৃদ্ধি ও গতি।
২.৪।বৃক্ষশিশুনিরাপদেনিদ্রাযায়।বৃক্ষশিশুকোথায়নিদ্রাযায়?
উত্তর - বীজেরউপরে থাকা কঠিন ঢাকনারমধ্যে বৃক্ষ শিশু নিরাপদেনিদ্রা যায়।
২.৫ অঙ্কুরবেরহওয়ারজন্যকীকীপ্রয়ােজন?
উত্তর - অঙ্কুরবের হওয়ার জন্য উপযুক্তউত্তাপ, জল ও মাটিপ্রয়ােজন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
৩.১ ‘আগেএসবকিছুইজানিতামনা।—কোন্বিষয়টিলেখকেরকাছেঅজানাছিল?
উত্তর - লেখকজগদীশচন্দ্র বসু যেদিন থেকেগাছ, পাখি ও কীটপতঙ্গদেরভালােবাসতে শিখেছেন, সেদিন থেকেই তিনিগাছেদের অনেক কথাই বুঝতেপারেন। তিনিবুঝেছিলেন, গাছেরা কথা নাবললেও এদেরও একটা জীবনআছে। আমাদেরমতাে এরাও যে আহারকরে এবং দিন দিনবেড়ে ওঠে, তাও তিনিবুঝতে পারেন। আগেতিনি এসব কিছুই জানতেপারতেন না।
৩.২' ইহাদেরমধ্যেওতাহারকিছুকিছুদেখাযায়।' ---কাদেরকথাবলাহয়েছে? তাদেরমধ্যেকীলক্ষকরাযায়? আলােচ্যঅংশেগাছ, পাখিওকীটপতঙ্গেরকথাবলাহয়েছে।
উত্তর - আমাদেরজীবনে যেমন মাঝে মাঝেঅভাব, দুঃখ ও কষ্টদেখা যায়, তেমনই এদেরমধ্যেও সেগুলি দেখা যায়। কষ্টেপড়ে এরাও আমাদের মতােকেউ কেউ চুরি-ডাকাতিকরে। মানুষেরমধ্যে যেমন সচরাচর কিছুকিছু সদগুণ লক্ষ করাযায়, তেমনই এদের মধ্যেওসেই সমস্ত সদগুণের প্রকাশলক্ষ করা যায়।
৩.৩ ‘গাছেরজীবনমানুষেরছায়ামাত্র।– লেখকেরএমনউক্তিঅবতারণারকারণবিশ্লেষণকরাে।
উত্তর - লেখকজগদীশচন্দ্র বসু গাছকে নিবিড়ভাবেভালােবেসে তাদের জীবনের বিভিন্নদিকগুলিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এরথেকে তাঁর মনে হয়েছে, গাছের বৈশিষ্ট্যগুলি মানুষের মধ্যেকার নানান স্বভাব বৈশিষ্ট্যেরঅনুরূপ। মানুষেরমতাে এদের জীবনেও অভাব-অনটন এবং দুঃখকষ্টআছে। অভাবেপড়ে এরাও মানুষের মতােচুরি-ডাকাতি করে।মানুষের মধ্যে যেমন সদগুণআছে, এদের মধ্যেও সেইসগুণের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। এরাওএকে অন্যকে সাহায্য করে। এদেরমধ্যেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠতে দেখাযায়। মানুষেরপ্রধান গুণ। হল— স্বার্থত্যাগ। এইগুণটি গাছেদের মধ্যেও লক্ষ করাযায়। মনুষ্যসমাজে মা তার নিজেরজীবন দিয়ে সন্তানের জীবনরক্ষা করে। উদ্ভিদেরক্ষেত্রেও এই মানবিক বৈশিষ্ট্যেরপরিচয় মেলে। এইসমস্ত লক্ষণের প্রতি দৃষ্টিপাত করেজগদীশচন্দ্র বসু বলেছেন, “গাছেরজীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র”।
৩.৪ জীবনেরধর্মকীভাবেরচনাংশটিতেআলােচিতওব্যাখ্যাতহয়েছেতাবিশ্লেষণকরাে।
উত্তর - ‘গাছেরকথা’ নামক রচনায় বিজ্ঞানাচার্যজগদীশচন্দ্র বসু গাছের জীবনধর্মেরআলােচনা প্রসঙ্গে জীবনের স্বাভাবিক ওসাধারণ ধর্ম সম্পর্কে সুচিন্তিতমতামত দিয়েছেন। শুকনােডাল আর জীবিত গাছেরতুলনা করে তিনি বলেছেন— বিকাশ, বৃদ্ধি ও গতিহল জীবনের ধর্ম।শুকনাে ডালের এই বৈশিষ্ট্যনেই।‘গতি’ বােঝাতে লেখক লতানাে গাছেরউদাহরণ দিয়েছেন। বিকাশও পরিণতি যে প্রাণেরধর্ম— তা বােঝাতে তিনিবীজ ও ডিমের কথাবলেছেন। উত্তাপ, জল ও মাটির সংস্পর্শেবীজ থেকে অঙ্কুরােদগম হয়এবং তা থেকে যথাসময়েচারাগাছ বৃদ্ধি পেয়ে পরিণতহয়ে ওঠে। অনুরূপভাবে, মানব জীবনেও উপযুক্ত পরিবেশেরগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
৩.৫ নানাউপায়েগাছেরবীজছড়াইয়াযায়।উপায়গুলিপাঠ্যাংশঅনুসরণেআলােচনাকরাে।
উত্তর - বীজছড়ানাের প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখক জানিয়েছেন প্রথমত, পাখিরা ফল খেয়ে দূরদূর দেশে বীজ নিয়েযায়। ফলেঅনেক জনমানবহীন দ্বীপেও গাছ জন্মে থাকে। এছাড়া অনেক সময় বীজপ্রবল বাতাসে উড়ে গিয়েদূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত, শিমুল গাছের ফল রৌদ্রেফেটে যাওয়ার পর তার বীজতুলাের সঙ্গে উড়ে বেড়াতেথাকে। এইভাবেদিনরাত দেশদেশান্তরে বীজ ছড়িয়ে পড়ছে।
৩.৬ লেখকতারছেলেবেলারকথাপাঠ্যাংশেকীভাবেস্মরণকরেছেন, তাআলােচনাকরাে।
উত্তর - বিজ্ঞানাচার্যজগদীশচন্দ্র বসু তাঁর গাছেরকথা নামক প্রবন্ধে নিজেরব্যক্তিগত অনুভূতি-অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে ছেলেবেলার দিনগুলির কথা স্মরণ করেছেন। প্রবন্ধেরশুরুতেই তিনি বলেছেন— ছেলেবেলায়একা মাঠে বা পাহাড়েবেড়াতে গেলে সবকিছুই যেনখালি খালি লাগত।গাছ, পাখি, কীটপতঙ্গকে লেখকতখনও সেভাবে ভালােবাসতে শেখেননি। পরেযখন ভালােবাসতে শিখলেন, তখন তাদের সঙ্গেএকাত্ম হয়ে বুঝতে পারলেনযে, গাছ কথা না-বললেও এদের জীবনআছে। লেখকপ্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়েঅপার আনন্দ লাভ করতেশিখলেন। পেয়েগেলেন চেতনার চাবিকাঠি।দৃশ্যমান প্রকৃতিতে তিনি নিয়ম-শাসিতবলিষ্ঠ অন্য জীবনের সন্ধানপেলেন। এরপরশিমুল ফল ফেটে তুলােরসঙ্গে হাওয়ায় উড়তে থাকার ঘটনারউল্লেখ করে তিনি ছােটোবেলারকথা মনে করেছেন।বাতাসে ভাসতে থাকা তুলােরপিছনে তিনি যখন ছুটোছুটিকরতেন, সেগুলি বাতাসের গতিতেএদিক-ওদিক চলে যেত। হাতবাড়িয়ে ধরা সম্ভব হতনা। কিন্তুলেখক এর মধ্যে খেলারআনন্দ খুঁজে পেতেন।এভাবেই লেখক পাঠ্যাংশে তাঁরছেলেবেলার কথা স্মরণ করেছেন।
৩.৭ ভিন্নভিন্নসময়েভিন্নভিন্নপাকিয়াথাকে।উদ্ধৃতিটিরসাপেক্ষেনীচেরছকটিপূরণকরাে।
বীজ | |
১. আম, কাঁঠাল | গ্রীষ্ম ঋতু |
২. লিচু, জাম | গ্রীষ্ম ঋতু |
৩. তাল | বর্ষা ঋতু |
৪. ধান | শরৎ ও হেমন্ত ঋতু |
৫. কূল | বসন্ত ঋতু |
৩.৮ পৃথিবীমাতারন্যায়তাহাকেকোলেলইলেন।—বিশ্বপ্রকৃতিসম্পর্কেলেখকেরগভীরউপলব্ধিউদ্ধৃতিটিতেকীভাবেপ্রতিফলিতহয়েছেতাআলােচনাকরাে।
উত্তর - জগদীশচন্দ্রবসু বিজ্ঞানী হলেও তাঁর মধ্যেভারতীয় দর্শন চেতনা ছিলপ্রবল। ভারতীয়দর্শনে প্রকৃতির মধ্যে মাতৃত্বসত্তার প্রকাশলক্ষ করা যায় ।তাই গাছের কথা’ প্রবন্ধেপ্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে মাতৃসত্তারবিকাশকে লক্ষ করেছেন লেখক। বিশ্বপ্রকৃতিকে লেখক মায়ের সঙ্গেতুলনা করেছেন। মাযেমন সন্তানকে পরম স্নেহে কোলেতুলে নেয় এবং সমস্তপ্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে সন্তানকে আড়ালকরে তাকে লালিত পালিতকরে, বিশ্ব প্রকৃতিও তেমনইগাছের বীজকে সন্তান স্নেহেকোলে তুলে নেয়।তার ধুলাে ও মাটিদ্বারা তাকে আবৃত করেরাখে এবং শীত ওঝড়ের হাত থেকে তাকেরক্ষা করে। মায়েরমতাে বিশ্বপ্রকৃতিও বীজরূপী সন্তানকে ধীরে ধীরে জল-আলাে-বাতাস ওমাটি দ্বারা ছােট্ট চারাগাছ থেকে বৃহৎ বৃক্ষেপরিণত করে। এভাবেবিশ্বপ্রকৃতি যথার্থ মায়ের ভূমিকাপালন করে।
৩.৯ প্রত্যেকবীজহইতেগাছজন্মেকিনা, কেহবলিতেপারেনা।বীজথেকেগাছেরজন্মেরজন্যঅত্যাবশ্যকীয়শর্তগুলিআলােচনাকরাে।
উত্তর - বীজথেকে গাছের জন্মের জন্যঅত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলি হল—উত্তাপ, জলও মাটি। প্রতিটিবীজ থেকে গাছ।জন্মায় কিনা তা কেউবলতে পারে না।কারণ, কোনাে। বীজহয়তাে পাথরের ওপর পড়ল, ফলে সেখানে সেই বীজথেকে অঙ্কুর বের হওয়াসম্ভব হল না।যতক্ষণ মাটির সংস্পর্শে উপযুক্তস্থানে বীজ পড়ে—ততক্ষণপর্যন্ত তা থেকে অঙ্কুরজন্মাতে পারে না।জল ছাড়া বীজের অঙ্কুরােদগমসম্ভব হয় না।জল শােষণ করেই বীজথেকে গাছ জন্মায়।অতিরিক্ত উন্নতা বা শীতলতা। বীজেরঅঙ্কুরােদগমের পক্ষে সহায়ক নয়। যথােপযুক্তঅনুকুল উয়তা প্রয়ােজন।সর্বোপরি যথােপযুক্ত অনুকূল পরিবেশেই বীজেরঅঙ্কুরােদগম ঘটে।
৩.১০ ‘তখনসবখালিখালিলাগিত।'—কখনকারঅনুভূতিরকথাবলাহল? কেনতখনসবখালি-খালিলাগত? ক্রমশতাকীভাবেঅন্যচেহারাপেলতাপাঠ্যাংশঅনুসরণেবুঝিয়েদাও।
উত্তর - লেখকজগদীশচন্দ্র বসু যখন একাএকাই মাঠে কিংবা পাহাড়েবেড়াতে যেতেন, তখনকার অনুভূতিরকথা বলা হয়েছে।
তখন সব খালি খালিলাগত। কারণতখন তিনি গাছ পাখিবা কীটপতঙ্গদেরকে নিবিড়ভাবে ভালােবাসতে পারেননি। ফলেতাদের সঙ্গে তাঁর হার্দিকসম্পর্কও গড়ে ওঠেনি।তাই সব খালি খালিলাগত।
লেখক যখন থেকে গাছ, পাখি ও কীটপতঙ্গদের গভীরভাবেভালােবেসেছেন, তখন থেকেই তাদেরজীবনের অনেক কথা তিনিবুঝতে পারেন। তারাওযে আমাদের মতাে আহারকরে, দিন দিন বেড়েওঠে, মানুষের মতাে তাদেরও যেআলাদা আলাদা চরিত্র-বৈশিষ্ট্যআছে, তা তিনি বুঝতেপারলেন। ফলে, তার একাকিত্ব আর হয় না।
৪. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করাে ।
৪.১ আগে যখনএকা মাঠে কিংবা পাহাড়েবেড়াইতে যাইতাম, তখন সব খালিখালি লাগিত। (সরল বাক্যে)
উত্তর - আগে একা মাঠেকিংবা পাহাড়ে বেড়াইতে গেলে সব খালিখালি লাগত।
৪.২ তাদের অনেককথা বুঝিতে পারি, আগেযাহা পারিতাম না। (হা-সূচক বাক্যে)
উত্তর - তাহাদের অনেক কথা বুঝিতেপারি, আগে যাহা বুঝিতেঅপারগ ছিলাম।
৪.৩ ইহাদের মধ্যেওআমাদের মতাে অভাব, দুঃখ-কষ্ট দেখিতে পাই। (জটিল বাক্যে)
উত্তর - আমাদের মধ্যে যেঅভাব, দুঃখকষ্ট আছে ইহাদের মধ্যেওতাহা দেখিতে পাই।
৪.৪ তােমরা শুষ্কগাছের ডাল সকলেই দেখিয়াছ। (না-সূচক বাক্যে)
উত্তর - তােমাদের মধ্যে এমন কেহনাই যারা শুষ্ক গাছেরডাল দ্যাখাে নাই।
৪.৫ প্রবল বাতাসেরবেগে কোথায় উড়িয়া যায়, কে বলিতে পারে ? (প্রশ্ন পরিহার করাে)
উত্তর - প্রবল বাতাসের বেগেকোথায় উড়িয়া যায়, কেহ বলিতেপারে না।
৫. নীচের শব্দগুলির ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখাে :
i. কীটপতঙ্গ- কীটও পতঙ্গ – দ্বন্দ্ব সমাস
ii. স্বার্থত্যাগ- স্বার্থকেত্যাগ – কর্ম তৎপুরুষ সমাস
iii. বৃক্ষশিশু- বৃক্ষেরশিশু – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
iv. বনজঙ্গল- বনও জঙ্গল — সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস
v. জনমানবশূন্য- জনমানবশূন্য যে স্থান – কর্মধারয় সমাস
vi. দিনরাত্রি- দিনও রাত্রি — বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস
vii. দেশান্তরে- অন্যদেশে – নিত্য সমাস
viii. নিরাপদ- নয়আপদ – নঞ-তৎপুরুষ সমাস
৬. নিম্নেরেখাঙ্কিত অংশের কারক-বিভক্তি নির্দেশ করাে :
৬.১ ইহাদের মধ্যেএকের সহিত অপরের বন্ধুত্ব হয়।
উত্তর - বন্ধুত্ব - কর্মকারকেশূন্য বিভক্তি
৬.২ আর কিছুকালপরে ইহার চিহ্নও থাকিবে না।
উত্তর - ইহার - সম্বন্ধপদে‘র’ বিভক্তি
৬.৩ বীজ দেখিয়াগাছ কত বড়াে হইবেবলা যায় না।
উত্তর - বীজ - কর্মকারকেশূন্য বিভক্তি
৬.৪ মানুষের সর্বোচ্চগুণ যে স্বার্থত্যাগ, গাছে তাহাওদেখা যায়।
উত্তর - গাছে - অধিকরণকারকে ‘এ’ বিভক্তি
৭. সন্ধিবদ্ধ পদগুলি খুঁজে নিয়ে সন্ধিবিচ্ছেদ করাে :
৭.১ তাহার মধ্যেবৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায়।
উত্তর - নিরাপদে - নিঃ+ আপদে।
৭.২ অতি প্রকাণ্ডবটগাছ সরিষা অপেক্ষা ছােটোবীজ হইতে জন্মে।
উত্তর - অপেক্ষা - অপ+ ইক্ষা।
৭.৩ এই প্রকারেদিনরাত্রি দেশ দেশান্তরেবীজ ছড়াইয়া পড়িতেছে।
উত্তর - দেশান্তরে - দেশ + অন্তরে।
<< Read More >>
Class 8 All Subject Solution >>