পিঁপড়ে (Pipre)প্রশ্ন উত্তর | Clas 6 | Chapter 12 | WBBSE
পিঁপড়ে প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ অমিয় চক্রবর্তী কোথায় অধ্যাপনা করতেন?
উত্তর। অমিয় চক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যু পলজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন।
১.২ তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখাে।
উত্তর। তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম হল ‘পুষ্পিত ইমেজ’ ও ‘ঘরে ফেরার দিন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখাে :
২.১ কবির কী দেখে কেমন যেন চেনা লাগে’ মনে হয়েছে?
উত্তর। ক্ষুদ্র জীব পিঁপড়ের আনাগােনা দেখে কবির ‘কেমন যেন চেনা লাগে’ মনে হয়েছে।
২.২ কেমন যেন চেনা লাগে’-কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। কবির মনে হয়েছে পিঁপড়ের গতিবিধি তার পূর্বপরিচিত। তাই তিনি একথা বলেছেন।
২.৩ কবি কাউকে দুঃখ দিতে চাননি কেন?
উত্তর। কবির ইচ্ছা ছােটো পিঁপড়ে ধুলাের রেণ মেখে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখুক। তাই তিনি তাকে স্থানচ্যুত করে দুঃখ দিতে চাননি।
২.৪ ‘কোন অতলে ডাকুক’-কে কাকে এই ডাক দেয় ?
উত্তর। গাছের নীচে কোমল হাওয়া বইতে থাকে। সে ছােটো পিপড়কে এই ডাক দেয়।
২.৫ কবি আজ প্রাণের কোন পরিচয় পেয়েছেন?
উত্তর। চলমানতাই জীবন আর থেমে থাকাই মৃত্য। এই কবিতার কবি আমাদের প্রাণের চলমানতাকে বুঝিয়েছেন।
২.৬ ‘দু দিনের ঘর’ বলতে কী বােঝ?
উত্তর। আমাদের মতাে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। তাই কবি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বকে বােঝাতে ‘দু দিনের। ঘর’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।
৩. প্রার্থনা, নির্দেশ, অনুরােধ বােঝাতে বাংলায় ক্রিয়ার শেষে ‘উক যােগ হয়। (যেমন এই কবিতায় থাক্ + উক = থাকুক) কবিতা থেকে এমন আরও পাঁচটি শব্দ খুঁজে বের করাে।
উত্তর। ঘুরুক, দেখুক, রাখুক, মাখুক, ডাকুক।
৪. নীচের সমােচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থপার্থক্য দেখিয়ে প্রত্যেকটি ব্যবহার করে পৃথক পৃথক বাক্যরচনা করাে। ভরে-- | ঘরে
আনল-- ভােরে-- ঘােরে
অনল
মেদুর উত্তর। ভরে—ভরতি করে বাড়ির মেয়েরা কলশিতে জল ভরে আনে।
ভােরে—খুব সকালে ভােরের বেলা পাখিরা আমাদের ঘুম ভাঙায়। ঘরে-বাড়িতে--ঘরে ঘরে আজ উৎসব চলছে। ঘােরে-বেড়ায়-ঘােরাই তার নেশা। ছুঁয়েস্পর্শ করে-বড়ােদের চরণ ছুঁযে আমরা প্রণাম করি। টুযে-ভেদ করে—পুরানাে বাড়ির ছাদ থেকে বর্ষায় জল ছুঁয়ে পড়ছে। আনল—নিয়ে এল—গ্রীষ্মের বৃষ্টি আমাদের স্বস্তি বয়ে আনল। অনল-অগ্নি-অনল সর্বভুক। মধুর—মিষ্ট—তােমার মধুর আচরণের জন্য তুমি আমার প্রিয়।
মেদুর-মাখানাে—বাবামায়ের মমতামেদুর দৃষ্টি সন্তানকে সাহস দেয়।
৫. পাশের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নীচের ছকটি পূরণ করাে :
শব্দড়ি-মাটি, পিপীলিকা, যারা, ধুলা।
উত্তর। পিপীলিকা > পিঁপড়ে ধুলাে > ধূলা | মৃত্তিকা > মাটি যাহারা > যারা
৬. কবিতা থেকে সর্বনামগুলি খুঁজে বের করে আলাদা আলাদা বাক্যে ব্যবহার করাে।
উত্তর। সর্বনামগুলি হল—তার, ওকে, ও, কাউকে, ওই যারা। তার—তার কথা আমার জানা নেই! ওকে—ওকে আমার কাছে ধরে আনাে। ওর—ওব কথায় আমি চলি
। কাউকে—একথা কাউকে বলবে না। ওই—ওহ যে সামনের মাঠ ওখানেই আমি থাকি। যারা—যারা কাল এসেছিলে তারা সবাই জানাে।
৭. নীচের স্তম্ভদুটি মেলাও :
উত্তর। বি + স্মরণ = বিস্মরণ।
প্রতি + দিন = প্রতিদিন।
অ + চেনা = অচেনা।
কু + কথা = কুকথা
সু + মধুর = সুমধুর।
৮. কবিতা থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়াগলি খুঁজে নীচের খােপে যথাস্থানে বসাও : |
সমাপিকা ক্রিয়া | অসমাপিকা ক্রিয়া |
ঘুরুক, দেখুক, থাকুক, রাখুক, মাখুক,ডাকুক, থিরেছে, লাগে, আনল, আছি। | চলায়, ছুঁয়ে, ভরে, করে, দিতে, নিতে চলে, |
উত্তর।
৯. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখাে :
উত্তর। মাটির বুকে সবাই এই দুদিনের ঘরে আছি। তার স্মরণে সবাইকে আজ আদর ঘিরেছে।
১০. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১০.১ পিঁপড়ের ভাষাহীন চলাচলের মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি কেমন?
উত্তর। পিপড়ে ভাষাহীনভাবে চলাফেরা করে। সেই চলাফেরার মধ্যে বিনিময়ের ভঙি|টি ভালােবাসা এবং ব্যস্ততার।
১০.২ “মাটির বুকে যারাই আছি এই দুদিনের ঘরে” – এই দু-দিনের ঘরে' বলতে কী বােঝ? কে সবাইকে কীভাবে এই দুদিনের ঘরে আদরে ঘিরে রাখে?
উত্তর। আমাদের সকলে জন্মগ্রহণ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের তাবসানে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিই তার্থাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হই। এই দুদিনের ঘর’ কথার মাধ্যমে কবি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বকে বুঝিয়েছেন।
আমাদের এই দুদিনের ঘরে পিপড়ে সকলকে ভালোবাসার বাধনে আদর করে ঘিরে রাখে।
১০.৩. এই কবিতায় কবির কীরূপ মনােভাব প্রকাশ পেয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। এই পৃথিবীতে আমরা বিশ্বপিতার অংশবিশেষ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। যে জীব যত ছােটোই হােক না কেন | এই পৃথিবীতে সকলের সমান অধিকার আছে। সকলে মিলে পারস্পরিক ভালােবাসার বাঁধনে আনন্দের মাধ্যমে বেঁচে থাকাই কাম্য। তাই কবিতার মূল সুরই হল সকলকে আপন করে নিয়ে সুখে ও শান্তিতে দিন অতিবাহিত করা।
১০.৪ বিভিন্ন রকমের পিপড়ে এবং তাদের বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপ্রণালী সম্বন্ধে তােমার পর্যবেক্ষণগুলি একটি খাতায় লেখাে। প্রয়ােজনে ছবিও আঁকতে পারাে।
উত্তর। পিপড়ে আমাদের পরিচিত প্রাণী। সাধারণত আমরা তিনধরনের পিপড়ে দেখতে পাই আমাদের চারপাশে।
| 1. কালাে পিপড়ে | ২. লাল পিপড়ে |
বাসস্থান। | মাটির নীচে | মাটির নীচে |
খাদ্যাভ্যাস | গৃহস্থের বাড়ির খাবারদাবার,চিনি মিষ্টি। | মিষ্টি জাতীয় যে-কোনাে দ্রব্য খায়। |
জীবনযাত্রা। | বিষাক্ত নয়, কম কামড়া, । দলবেঁধে থাকে, নিজেদের কাজেই ব্যস্ত থাকে। সঞ্চয়ী | বিষাক্ত, কামড় দিলে। জ্বালা করে। দলবেঁধে খাদ্য সংগ্রহ করে। গন্ধের মাধ্যমে যােগাযােগ রাখে। |
৩. ডেঙো পিপড়ে - গর্ত মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য এবং একত্রে থাকে, শিকার ধরে। মানুষের যে-কোনাে খাদ্য আকারে বড়াে এবং কালাে। মৃত জীবজন্তু। রঙের খাদ্য জোগাড় করে গর্তে জমা করে।
১০.৫ একটি লাল পিঁপড়ে ও একটি কালাে পিঁপড়ের মধ্যে কাল্পনিক একটি কথােপকথন রচনা করাে।
কালাে পিঁপড়ে : ওহে লাল ভাই, চললে কোথায় ?
লাল পিঁপড়ে :যাব, আর কোথা, কাবারের সন্ধানে চলেছি। দেখি কোথায় মেলে ?
কালাৈ পিপড়ে : তােমার তাে খাদ্য জোগাড়ের কোনাে চিন্তা নেই ভাই। যত জ্বালা আমাদের।
লাল পিপড়ে :চিন্তা নেই আবার? তবে একটা বড়াে খাবারের সন্ধান আছে। সেখান থেকে খাবার আনতে | পারলে অনেকদিন আমার চলে যাবে। চিন্তা করতে হবে না।
কালাে পিপড়ে : কোথায় কোথায়? বল না ভাই তাহলে আমিও তােমার সঙ্গে যাব।
লাল পিঁপড়ে :আরে ওটা কোনাে গৃহস্থের বাড়ি নয়। ওটা রেশন দোকান। ওখানে সর্বদা কেউ পাহারা দেয় | না বা ওষুধও দেওয়া থাকে না। তাই চুরি করার সমস্যা নেই।
কালাে পিপড়ে : তাহলে কি করে ঢুকবে ভাই সেখানে ?
লাল পিপড়ে :ঢােকার কোনাে সমস্যা নেই। ছাদের নীচে একটা ঘুলঘুলি আছে। সেখান দিয়ে ঢুকে দেয়াল দিয়ে নেমে বস্তার কাছে পৌছােলেই হল। আর ভাবনা নেই।
কালাে পিপড়ে : চলাে তবে আমরা সবাই মিলে অভিযান শুরু করি। মালিক জানতে পারার আগে আমরা সবাই
চিনি সরিয়ে ফেলব।
<< Read More >>
Class 6 English (Blossoms) Solutions >>
Class 6 Bengali (সাহিত্যমেলা ) Solutions >>
Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Solutions >>
Class 6 অতীত ও ঐতিহ্য Solutions >>
Class 6 গণিত প্রভা Solutions >>