চিঠি (Chithi) অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর | Class 8 | WBBSE

 চিঠি (Chithi) অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর | Class 8 | WBBSE


চিঠি


নামকরণ

নামকরণ হলো এমন একটি বিষয়,যার মধ্য দিয়ে পাঠকরা বিষয়বস্তুর ইঙ্গিত পেতে পারে ইঙ্গিতবাহীতাই  পাঠককে

বিষয়ের গভীরে অনুপ্রবেশে আগ্রহ বৃদ্ধি করে তবে কোনাে বিষয়ের নামকরণ চরিত্রকে কেন্দ্র করে বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিংবা কোনাে বিষয়কে তাৎপর্যমন্ডিত করার জন্য করা হয়ে থাকে প্রদত্ত চিঠি তিনটিকে একত্র করে নামকরণ করা হয়েছেচিঠি তিন রকম বিষয়ের চিঠি আলাদা আলাদা ব্যক্তিকে, চিঠির নিয়ম বৈশিষ্ট্য মেনে পাঠিয়েছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত একটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়কে বিষয়সম্পত্তি দেখাশােনার জন্য আবেদন, অন্যটি গৌরদাস বসাককে দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার মনােরম বর্ণনা আর শেষেরটি প্রিয় রাজনারায়ণ বসুকেমেঘনাদবধ কাব্য সম্পর্কে মতামত প্রদানের অনুরােধ তিনটি রচনাই চিঠির আকারে লেখা তাইচিঠিনামকরণটি যুক্তিযুক্ত সার্থক হয়েছে

 

. মধুসূদন দত্ত কোন্ কলেজের ছাত্র ছিলেন ?

উত্তর -  মধুসূদন দত্ত হিন্দু কলেজের ছাত্র ছিলেন

 

.পদ্মাবতী' নাটকে তিনি কোন ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন ?

উত্তর -পদ্মাবতীনাটকে তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন


২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :

 

. মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর প্রিয় পুরাতন বন্ধু গৌরদাস বসাককে কোথা থেকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছিলেন ? তার যাত্রাপথের বিবরণ পত্রটিতে কীভাবে ধরা পড়েছে আলােচনা করাে

উত্তর - মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর প্রিয় পুরাতন বন্ধু গৌরদাস বসাককে লন্ডন যাওয়ার সময়সীলােননামক জাহাজ থেকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছিলেন

যাত্রাপথের বিবরণ দিয়ে লেখা এই চিঠিটিতে মাইকেলের সৌন্দর্যবােধ, তীক্ষ অনুভূতি, নিজের কর্তব্যকর্ম কৌতুকবােধের সুন্দর ছাপ আছে জাহাজের জাঁকজমক বিশালতাকে তিনি রাজবাড়ির বৈভব বিলাসিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি বলেছেন, জাহাজের কেবিনগুলাে রাজকুমারদের উপযােগী কবি ভূমধ্যসাগরের মধ্যে দিয়ে ভেসে চলতে চলতে উত্তর অফ্রিকার পর্বতাকীর্ণ উপকূল দেখতে পাচ্ছিলেন উত্তাল সমুদ্রের পাশাপাশি তিনি সমুদ্রের শান্তরূপও প্রত্যক্ষ করেছিলেন এই শান্ত সমুদ্রকে তিনি হুগলি নদীর সাথে তুলনা করেছেন এছাড়াও সেখানকার আবহাওয়া যতটা ঠান্ডা হবে বলে কবি ভেবেছিলেন, বস্তুত, তা সেরকম নয় বরং, অনেকটাই আমাদের দেশের নভেম্বর মাসের মতাে কবি, শিশুকাল থেকে এই দেশ সম্পর্কে চিন্তা করে এসেছেন, ফলে বাস্তবে তিনি যখন সেই দেশের নিকটবর্তী হয়েছেন, তখন স্বভাবতই ভাবপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তার পরিচয়ই আলােচ্য চিঠিতে রয়েছে

 

. মধুসূদনের জীবনের উচ্চাশার স্বপ্ন কীভাবে পত্রটিতে প্রতিভাসিত হয়ে উঠেছে ?

উত্তর -  মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছােটোবেলা থেকে লন্ডন যাওয়ার আশা মনে মনে পােষণ করতেন সেখানে গিয়ে সেখানকার কবিসমাজে খ্যাতিলাভের প্রত্যাশা করতেন কিন্তু সেই কবিখ্যাতির আশা ভঙ্গ হলেও তিনি ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডনে যান সেই বিষয়ে বন্ধু গৌরদাস বসাককে বলেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য এবং সম্মান অর্জনের জন্য তিনি লন্ডনে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তখন বন্ধুদের সময় দিতে পারবেন না কারণ সেই কাজেই তখন তিনি একান্ত মনােনিবেশ করবেন সেটিই তাঁর দৃঢ় সংকল্প 

 

. বিদেশে পাড়ি জমানাের সময়েও তাঁর নিজের দেশের কথা কীভাবে পত্ৰলেখকের মনে এসেছে ?

উত্তর - মাইকেল মধুসূদন দত্তের উচ্চাশা বিদেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠালাভের স্বপ্ন থাকলেও নিজের দেশের প্রতি তাঁর ভালােবাসা ছিল অকৃত্রিম চিরন্তন তাই বিদেশে পাড়ি জমানাের সময় তিনি বারবার নিজের দেশের কথা স্মরণ করেছেন প্রথমত, যাত্রাপথের সুনিপুণ বর্ণনা তিনি ইন্ডিয়ান ফিল্ড পত্রিকায় দিতে চান এই বর্ণনা হবে সুদীর্ঘ বিস্তারিত আসলে তিনি সৃষ্টির ভাবনায় নিজের দেশের কথা মনে রেখেছেন দ্বিতীয়ত, কতদিন আগে কলকাতায় ছিলেন তাও স্পষ্ট করে বলেছেন তৃতীয়ত, জাহাজে থাকার সময় যদি আধা-ডজনখানেক দেশের লােক থাকত, তবে তিনি একটি গােষ্ঠী গড়ে তুলতেন, এটিও জানিয়েছেন চতুর্থত, বন্ধুর কাছে হরির কথাও জানতে চেয়েছেন পঞ্চমত, জিব্রলটার বর্ণনায় বলেছেন, এখানকার সমুদ্র যেন কলকাতার হুগলি নদীর মতাে বেশ শান্ত ষষ্ঠত, এখানকার আবহাওয়া দেশের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি যেমন হয়, তেমনই নাতিশীতােয় এভাবে মাইকেল মধুসূদন দত্ত যাত্রাপথে একাধিকবার নানা প্রসঙ্গে নিজের দেশের কথা মনে করেছেন

 

. " . কথা যেন আমার বিশ্বাস হচ্ছে না”—কোন কথা ? সে-কথাকে বক্তার অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে কেন?

উত্তর - মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর শিশুকাল থেকে লন্ডন সম্পর্কে যেসব চিন্তাভাবনা করে এসেছিলেন, আজ তা তাঁর নিকটবর্তী হতে চলেছেএই কথাটিই যেন তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না » আসলে স্বপ্ন বাস্তবের এই মিলন যেন তাঁর কাছে অবিশ্বাস্য ছােটোবেলা থেকে তিনি স্বপ্ন দেখতেন, লন্ডনে যাবেন সেখানকার বিদ্বৎসমাজে তাঁর খ্যাতি হবে, প্রতিপত্তি হবে কিন্তু সেই যশােলাভ ইচ্ছা তাঁর এতদিন পূরণ হয়নি বরং তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন আর আজ সেখানে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে জীবিকানির্বাহের পেশা অর্জনের আশায় তিনি ব্যারিস্টারি পড়তে চলেছেন শুধু তাই নয়প্রতি মুহূর্তে সেই দেশ তাঁর নিকটবর্তী হচ্ছে এতকাল যে-চিন্তা, ধ্যানধারণা মনে পােষণ করে এসেছেন, আজ তার বাস্তব রূপায়ণ দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত, আবেগতাড়িত কল্পনা যে বাস্তব রূপ নিতে পারে, সেই অদ্ভুত বিষয়টি কার্যে পরিণত হওয়ার ব্যাপারেই তিনি কথা বলেছেন

 

. প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে হৃদ্যতার ছবি পত্রটিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি-সহ আলােচনা করাে

উত্তর -  মানুষে মানুষে হৃদ্যতার ছবি তাদের কথাবার্তা আলাপ-আলােচনায় স্পষ্ট হয় মধুসূদন দত্ত বন্ধুকে চিঠি লিখেছেন সেই আলাপের ঢঙে বন্ধুর সঙ্গে কেবল কেজো-কথার সম্পর্ক নয়, তার সঙ্গে থাকে আন্তরিকতা, ব্যক্তিগত উৎসাহ পরিমিতি বােধ সেখানে তাদের রুচিবােধও ফুটে ওঠে সেই দিকটি গৌরদাস বসাককে লেখা মধুসূদন দত্তের চিঠিতে স্পষ্ট জাহাজ যাত্রার বিষন্ন ব্যাপার তুলে ধরার আগে সকৌতুকে তিনি তাই লেখেন—“ধৈর্য ধরাে বন্ধু, ধারণ করাে ধৈর্যএই সমস্ত ক্ষেত্রই হৃদ্যতার পরিচয় বহন করে আবার তিনি বলেন, লন্ডনে পৌঁছােনাের পর তিনি ঠিকানা দিলে তবেই যেন চিঠি লেখা হয় তখন অনবরত পত্রাঘাত করা সম্ভব হবে, সঙ্গে নিজের কর্তব্যকর্ম সম্পর্কে উল্লেখ করে বন্ধুকে বলেন, সেখানে গিয়ে তিনি নিজে বন্ধুদের জন্য বেশি সময় খরচ করতে পারবেন না এইসব কথা কেবলমাত্র পরম বন্ধুকেই বলা যায় আর এখানেই মধুসূদন দত্তের সঙ্গে তার প্রিয় বন্ধুর গৌরদাস বসাকের হৃদ্যতার ছবি ফুটে উঠেছে


. রাজনারায়ণ বসুকে লেখা পত্রে লেখক তার এই প্রিয় বন্ধুটির কাছে কোন আবেদন জানিয়েছেন ?

উত্তর - বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে লেখা চিঠিতে মধুসূদন দত্ত তাঁরমেঘনাদবধ কাব্যসম্পর্কে জানিয়েছেন একই সঙ্গে তিনি জানিয়ছেন, কাব্যটি খুব জনপ্রিয় হচ্ছে মিলটনের চেয়ে উৎকৃষ্টতর বলে অনেকে প্রশংসা করলেও সেটি তিনি তা মানেন নাএটিও বলেছেন তবে কাব্য সম্পর্কে যে যাই বলুক, রাজনারায়ণের খােলামেলা অভিমত তাঁর কাছে অনেক বেশি গ্রহণযােগ্য তিনি বন্ধুকে বলেন, তাঁর স্ত্রী যাতে বইটি পড়তে পারে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত সুতরাং, চিঠিতে কথা স্পষ্ট যে-মধুসূদন দত্ত তাঁর কাব্য বিষয়েই বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে যাবতীয় আবেদন জানিয়েছেন এবং তাঁর মতামত প্রত্যাশা করেছেন

 

.এই কাব্য অদ্ভুতরকম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেকোন কাব্যের কথা বলা হয়েছে ? সে কাব্যের জনপ্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে লেখক কোন্ কোন্ প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন ?

উত্তর - উদ্ধৃতাংশটির মাধ্যমে পত্রলেখক মধুসূদন দত্ত তাঁরমেঘনাদবধ কাব্য’-এর কথা বলেছেন

এই কাব্যের জনপ্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে তিনি দেশি-বিদেশি একাধিক কবি কাব্যের কথা বলেছেন বিদেশি কবি মিলটন, ভার্জিল তাসের প্রসঙ্গও সেক্ষেত্রে উঠে এসেছে আর সেইসঙ্গে দেশি কবি কালিদাসের প্রসঙ্গও এনেছেন মিলটন তাঁর কাব্যপ্যারাডাইস লস্ট’-এর প্রসঙ্গ টেনে বলেছেনমিলটনের সঙ্গে তুলনায় তাঁর কাব্য উৎকৃষ্টতর নয়, কারণ মিলটনের কাব্য স্বর্গীয় তবে ভার্জিল, তাসসা কিংবা কালিদাসের সমতুল্য হওয়া অসম্ভব নয়কবির নিজের কথায়—“অনেকে বলেছেন এটি কালিদাসের কাছাকাছি কথায় আমার কোনাে আপত্তি নেই ভার্জিল, কালিদাস বা তাসাের সমতুল্য হওয়া আমি অসম্ভব বলে মনে করিনে তাঁরা যদিও কীর্তিমান, তবুও তারা নশ্বর পৃথিবীর কবি, কিন্তু মিলটন স্বর্গীয়তিনি এও শুনেছেন যে, অনেক হিন্দু মহিলা বইটি পড়ে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন তাই বন্ধু গৌরদাস বসাকের স্ত্রীও যাতে বইটি পড়তে পারেন,  সে ব্যাপারে ব্যবস্থা করার পরামর্শও তিনি বন্ধুকে দিয়েছেন যদিও মধুসূদন দত্ত তাঁর বন্ধুর উদ্দেশ্যে বলেছেন, হাজার-হাজার জয়ধ্বনির থেকেও তার বন্ধুর  অভিমত তাঁর কাছে অনেক নির্ভরযােগ্য

 

. প্রিয় বন্ধুর প্রতি, সর্বোপরি সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগের যে-পরিচয় রাজনারায়ণ বসুকে লেখা পত্রটিতে পাওয়া যায়, তা বিশ্লেষণ করাে

উত্তর - প্রিয় বন্ধু রাজনারায়ণ বসু তাঁর সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগের প্রসঙ্গে মাইকেল বলেছেনতাঁর কাছ থেকে তিনিমেঘনাদবধ কাব্যসম্পর্কে জানতে আগ্রহী তিনি তাঁর রায় জানার জন্য অপেক্ষা করছেন একই সঙ্গেমেঘনাদবধ কাব্য সম্পর্কে অনেকের সমালােচনার চেয়ে রাজনারায়ণ বসুর অভিমত তাঁর কাছে যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ, সে কথাও জানিয়েছেন মেঘনাদকে বধ করতে গিয়ে তাকে অনেক অশ্রুপাতও করতে হয়েছে সে-কথা জানিয়েই বলেছেন, “তােমার যা মনে হয়েছে তুমি তা লিখে জানাবেই এরকম হাজার হাজার মানুষের জয়ধ্বনির চেয়ে তােমার অভিমত অনেক নির্ভরযােগ্যঅনেক হিন্দু মহিলা কাব্যটি পড়েছেন শুনে তিনি বন্ধুকে বলেছেন, তাঁর স্ত্রীও যাতে সেটি পড়তে পারে, তার ব্যবস্থা করাও বন্ধুর কর্তব্য সঙ্গে বন্ধুর সমালােচনা প্রসঙ্গে তাঁর আন্তরিকভাবের প্রকাশ করে বলেছেন যে, তিনি রাজনারায়ণ বসুর অকপট বক্তব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ অনুরাগী এছাড়াও, আলােচনা প্রসঙ্গে কবি মিলটন, ভার্জিল, টাসাে, কালিদাস প্রমুখ বিশ্ববিখ্যাত কবির নাম উঠে এসেছে এর থেকেই সাহিত্যের প্রতি কবির অনুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়

 

. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নভেম্বর ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে লেখা মধুসূদনের চিঠিটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলােচনা করাে

উত্তর -  ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর বিদ্যাসাগরকে লেখা চিঠিতে মধুসূদন দত্ত তাঁর লন্ডনে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তাঁর বিষয়-আশয়ের দেখভাল করা সম্পর্কে গভীর কৃতজ্ঞতার কথা বলেছেন একই সঙ্গে লন্ডনে গিয়ে তাঁকে যেন কোনাে নতুন বিপদের মধ্যে না-পড়তে হয়, সে দিকটি দেখারও অনুরােধ করেছেন এরপর তিনি সেখানকার জলবায়ু আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য দিয়ে সেখানে কীভাবে আছেন তাও বলেছেন ঠান্ডার বিষয়ে বলেছেন, এদেশের ঠান্ডার চেয়ে সেখানে ছয় গুণ বেশি শীত ভারতচন্দ্রের লেখার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি ইউরােপের প্রচণ্ড শীতের উল্লেখ করেছেন তিনি যে ফ্রেঞ, ইটালিয়ান, জার্মানি প্রভৃতি ভাষা শিখছেন, তা- বলেছেন অর্থাৎ, মধুসূদন দত্ত বিদ্যাসাগরকে লেখা চিঠিতে তাঁর সম্পত্তি-উদ্ধার, দেখভাল তাঁকে সাহায্য করার কথা এবং প্রবাসে বসবাস করার কথা জানিয়েছেন

 

.১০ বিদ্যাসাগরকে লেখা পত্রটিতে মধুসূদনের জীবনে তাঁর ভূমিকার যে আভাস মেলে, তা বিশদভাবে আলােচনা করাে

উত্তর - বিদ্যাসাগরকে লেখা চিঠিতে মধুসূদন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ওপর বিদ্যাসাগরের গভীর প্রভাবের কথা বলেছেন আমরা জানি, মধুসূদন দত্ত ব্যক্তিজীবনে বেপরােয়াভাবে খরচ করতেন তারপর তাঁর বাবা তাঁকে সম্পত্তিচ্যুত করেন এই অবস্থায় তাঁকে সংকটে পড়তে হয় এই সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁকে উদ্ধার করেন তিনি একা লন্ডন যাবেন, তাই তাঁর বিষয়সম্পত্তি দেখাশােনার দায়িত্ব তিনি বিদ্যাসাগরকেই দিতে চান আন্তরিক কৃতজ্ঞতায় নিজের ওপর তার সার্বিক ভূমিকার কথা স্বীকার করে মধু কবি তাই বলেন—“যে ঝাক্ষুদ্ধ জলরাশি থেকে আপনি আমাদের উদ্ধার করেছেন, আবার গিয়ে সেই বিপদে না পড়ি আপনি তা দেখবেনএর থেকে বােঝা যায়বেপরােয়া বেহিসাবি মধুসূদন দত্ত তাঁর আর্থিক দায়ভার যাবতীয় বিষয়-সম্পত্তি বিদ্যাসাগরের হাতে সমর্পণ করে নিশ্চিন্ত থেকেছেন


<< Read More >>

 

Class 8 All Subject Solution >>

Click Here

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post